ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে পণ্য পরিবহন সক্ষমতায় যাচ্ছে বাংলাদেশ
২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:০৫
পণ্য পরিবহনে ভারতের ভূখ- ব্যবহারে প্রতি বছর বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ১৬ কোটি ডলারের বেশি খরচ করে। স্থানীয় মুদ্রায় তা আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে এ পরিমাণ অর্থ চলে যায় ভারতে। খরচের পুরোটাই পরিশোধ করতে হয় বৈদেশিক মুদ্রায়। ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করায় বাংলাদেশের বিশাল এ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়ে রিজার্ভে ঢুকবে। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো যে, আগে জরুরি প্রয়োজনে পণ্য পরিবহনে ঢাকার বিকল্প হিসেবে একটি দেশ অর্থাৎ শুধু ভারতনির্ভরতা ছিল। এখন তা থেকে বেরিয়ে প্রয়োজনে শ্রীলঙ্কা, দুবাই, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপের মতো দেশ ব্যবহার করে সরাসরি পশ্চিমা দেশে পণ্য পাঠানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের ঢাকার সঙ্গে সিলেট ও চট্টগ্রামের দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো পরিবহনের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এটি হলে পণ্য পরিবহনে ঢাকা থেকেই সব দেশে সরাসরি আকাশপথে যোগাযোগ স্থাপন হবে। সময় ও অর্থ বাঁচবে বাংলাদেশের। এতে ফের প্রমাণ হলো, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত যে বাংলাদেশের চির শত্রু, সুযোগ পেলেই তারা ছোবল মারবে। জরুরি সেবাগুলো বন্ধ করে দেবে। এর আগে গত আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয় ভারত। তারপরই দেশটিতে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ বন্ধ করে দেয় ভারত।
অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন, নিত্যপণ্য পেঁয়াজ, মরিচ থেকে শুরু করে চালের বাজারসহ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পণবন্দি করার পুরনো অভ্যাস থেকে কখনোই বের হতে পারবে না ভারত। এজন্য দিল্লির সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক সব ধরনের সম্পর্কের বিকল্প বাজার দেখার সময় হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে সে পথে হাঁটতেও শুরু করেছে কিছুটা। মোটরসাইকেলের খুচরা যন্ত্রাংশ, পেপার বোর্ডসহ স্থলপথে সুতা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এতেও প্রতি বছর দুই বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি বন্ধ হবে দেশটি থেকে। এভাবে কয়েক বিলিয়ন ডলারের বেশি আমদানি বন্ধ হচ্ছে দেশটি থেকে। ফলে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি বছর শেষে আরো কমে আসবে।
ট্রান্সশিপমেন্ট কেন বাতিল করলো
নিজ দেশের পরিবর্তে দ্বিতীয় কোনো দেশের ভূখ- বা বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানির নামই হচ্ছে ট্রান্সশিপমেন্ট। জরুরি প্রয়োজনে ভারতের কলকাতা ও দিল্লি বিমানবন্দর ব্যবহার করে জরুরি প্রয়োজনে পশ্চিমা দেশগুলোয় পণ্য পাঠায় বাংলাদেশ। এটিই হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট। এজন্য প্রতি বছর দেশটিকে সেবা বাবদ কোটি কোটি ডলারের বেশি অর্থ দেয় বাংলাদেশ।
করোনা মহামারির সময়ে ২০২০ সালে আটকেপড়া তৈরি পোশাক দ্রুত রপ্তানি করতে বিদেশি ক্রেতাদের অনুরোধে ভারতের কলকাতা ও দিল্লি বিমানবন্দর ব্যবহারের জন্য চুক্তি করে বাংলাদেশ। ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় কলকাতা ও দিল্লিতে ট্রাকযোগে পণ্য যাবে। সেখান থেকে উড়োজাহাজে চড়ে পশ্চিমা দেশে চলে যাবে পণ্য।
কয়েক বছর ধরে চলা সুবিধাটি গত ৮ এপ্রিল বাতিল করে ভারত। ভারত এমন সময়ে এ সুবিধাটি বাতিল করে, যখন ঢাকায় গত ৭ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগকারিদের একটি সম্মেলন চলছিল। বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে গড়ার এমন উদ্যোগে বিশ্বের ৫০ দেশ থেকে বিনিয়োগকারীরা অংশ নিয়েছিল। সফল ও আলোচিত এ সম্মেলনটিতে বিনিয়োগাকারীদের রাষ্ট্রীয় সহযোগিতার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকেও সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়া হয়। দেশে সর্বপ্রথম বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মুখোমুখি করা হয় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে। বাংলাদেশের এমন সফলতায় দেশটি ভীত হয়ে যায়।
বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্মেলনটি দক্ষিণ এশিয়ায় আলোচনার জন্ম দেয়। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দেশের আবাসন, চিকিৎসা, আইটি, জ্বালানি ও যোগাযোগ খাতে বিপুল সম্ভাবনা দেখতে পায়। ঠিক সেই সময়ে ভারত সিদ্ধান্ত জানায়। তারা বিদেশিদের একটি বার্তা দিতে চেয়েছিল যে, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে পণ্য রপ্তানিতে সমস্যা হবে। কিন্তু সরকারের ত্বরিত পদক্ষেপে সেই আশায় গুড়েবালি হয়।
বিনিয়োগ সম্মেলন চলার সময় ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে ভূ-রাজনৈতিক কারণকে প্রধান হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. লাইলুফার ইয়াসমিন। তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘‘ভারত দেখেছে, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে তার নিজের ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে এবং এটি ভারত পলিটিক্যালি (রাজনৈতিকভাবে) পছন্দ করছে না। বাংলাদেশের সাথে তোমরা বাণিজ্য করো না, এমন একটি বার্তা দেওয়ার জন্যই ভারত এ সময়ে এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ভারত চাইছে বাংলাদেশ যেন ভারতের বলয় থেকে বের না হয়ে যায়। একইসাথে ভারত বরাবরই জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কের চেয়ে সরকারের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়। তাই ভারতের এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে এটি একটি অন্যতম কারণ হতে পারে।’
মূলত দুটি কারণে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা তৈরি পোশাক বা পণ্য তৃতীয় দেশে পাঠিয়ে থাকেন। এর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে, কলকাতা থেকে পাঠানোর খরচ কম ও বিমানবন্দরটি থেকে পশ্চিমা দেশের প্রায় সবগুলো রুটেই সরাসরি পণ্য পরিবহন সম্ভব। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, হরতাল, বন্যা বা দুর্যোগের মতো সময়ে দ্রুত ও সময়মতো ক্রেতা দেশের কাছে পণ্য পৌঁছাতে তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তরা ভারতের বিমান ও স্থলবন্দরকে ব্যবহার করে। ভারত সেই সুবিধা বাতিল করায় পোশাক খাতের খুব একটা সমস্যা হবে না জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
বিকল্প হিসেবে শ্রীলঙ্কার কলম্বো, মালদ্বীপ, পাকিস্তান বা দুবাইয়ের কোনো বিমানবন্দর ব্যবহার করতে হবে উদ্যোক্তাদের। এতে খরচ না বাড়লেও বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের পথগুলো সংকুচিত হবে মনে করছেন পোশাক খাতসংশ্লিষ্টরা।
কোনো প্রভাব পড়বে না রপ্তানিতে
বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পণ্যের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি যায় সমুদ্রপথে। জরুরি প্রয়োজন ও অল্পসংখ্যক পণ্যের বেলায় অর্থাৎ প্রায় ২০ শতাংশ যায় আকাশপথে। সর্বশেষ ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময়ে ঢাকা বিমানবন্দরে কার্গো চাপ বেড়ে গেলে কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তরা ক্রেতাদেশে পণ্য পাঠিয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান গণমধ্যমকে বলেন, কলকাতা বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি বেশি। সেখান থেকে পশ্চিমা বিশ্বের প্রায় সবগুলো রুটেই সরাসরি উড়োজাহাজ যায়। আমাদেরও পণ্য পাঠানো সহজ হয়। শুধু জরুরি সময়ে বিকল্প হিসেবে ভারতের বন্দরগুলো বাংলাদেশিরা ব্যবহার করেন। ভারতের এ সুবিধা বাতিল করায় বাংলাদেশের রপ্তানি বাজারের পথগুলো তথা আমাদের অপশনগুলো কমে আসবে আপাতত। কিন্তু কোনো সমস্যা হবে না। আমাদের বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়লে তাতেই চলবে।
পণ্য তৈরিতে কোনো কারণে দেরি হলে ক্রেতারা উড়োজাহাজে পাঠানোর অনুরোধ করেন। ক্রেতা ধরে রাখতে পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সেই অনুরোধ রাখতে হয়।
ঢাকার চেয়ে কম খরচে কার্গো ভাড়া নেয়ার সুযোগ পাওয়া যায় ভারতে। ঢাকার বিমানবন্দরে সেই সুবিধা চালুর দাবি করে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ভারতের কার্গো ভাড়া কেমন হবে, তা ঠিক করে দেশটির সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। এ কারণে কোনো পরিবহন বিমান চাইলেই ভাড়া বাড়াতে পারে না। তার বিপরীতে বাংলাদেশে ভাড়া ঠিক করে বিভিন্ন পরিবহনের বিমানগুলো। একটু চাপ বেশি হলেই ভাড়া বাড়িয়ে দেয় তারা। এখানে সরকার চাইলে ভাড়া ঠিক করে দিতে পারে।
পোশাক রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়বে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখন জাহাজে করে কলম্বো, মালদ্বীপ, দুবাই বা পাকিস্তানে পাঠাতে হবে। সেখান থেকে উড়োজাহাজে করে পণ্য যাবে।
বহুমাত্রিক সম্পর্ক গড়ার পথে বাধা
দুই দেশের সম্পর্ককে বহুমাত্রিক করার যে প্রচেষ্টা গত কয়েক দশক ধরে চলছিল, বাণিজ্য বাধায় সেই উদ্যোগে ছেদ পড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও কূটনীতিকরা। ভারতের সিদ্ধান্তটা ‘ঠিক হয়নি’ মন্তব্য করে এ সুবিধা থাকলে বরং ভারতেরই লাভ ছিল বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আমেনা মহসিন। তিনি বলেন, ‘কারণ পার্টিকুলারলি দেখেন, বিমসটেক সম্মেলনের পরে যখন আমরা কানেক্টিভিটির কথা বলছি, একটা রিজিওনাল সম্পর্কের কথা বলছি, তখন এ জিনিসটা হলো এবং কানেক্টিভিটির ওপরে তো ভারতেরই সবচেয়ে বেশি লাভ হতো। এ আইডিয়াগুলো (কানেক্টিভিটি) সবকিছু তো ভারতেরই ছিল। তো সেখান থেকে সরে গেল ভারত। ভালো প্রতিবেশীসুলভ আচরণ থেকে তারা চলে গেল। আমরা তাই তো দেখছি।’
বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোট বিমসটেকের সদস্য দেশ হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। ব্যাংককে ‘সমৃদ্ধ, স্থিতিস্থাপক এবং উন্মুক্ত বিমসটেক’ থিমে আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনে জোটের নেতারা গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় মিলিত হয়েছেন চলতি মাসেই।
এদিকে চলতি মাসের শুরুতেই বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যযুদ্ধ গভীর করে কয়েক ডজন দেশের ওপর চাপানো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা ‘পাল্টা’ শুল্ক ১৬ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যে চীনের পণ্যে আরোপিত ১০৪ শতাংশ শুল্কও আছে। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় ৩৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের মুখোমুখি হবে। এতদিন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ, যা এখন বেড়ে হলো মোট ৫২ শতাংশ। ভারতের ক্ষেত্রেও পাল্টা শুল্ক বসেছে ২৬ শতাংশ। পাশর্^বর্তী অন্যান্য সকল দেশও আছে এ তালিকায়।
এমন পরিস্থিতিতে ভারতের আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়িয়ে বাণিজ্য বৃদ্ধির আলোচনা চলছিল। সেই সময়ে আঞ্চলিক দেশগুলো, নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়িয়ে বাণিজ্য বৃদ্ধি করার সময় হয়েছে। কিন্তু ভারত সেই উদ্যোগে বাধা হয়ে দাঁড়াল। গত আগস্টে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সরকারে আসা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ভালোভাবে নেয়নি ভারত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক দিয়ে ভারতের ওপর এতদিন যে নির্ভরতা দেখিয়েছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার, সেখান থেকে বের হওয়ার সময় হয়েছে। ভারত কখনোই চাইবে না, বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্র হোক। বৈশ্বিকভাবে স্বতন্ত্র স্থান গড়ে নিক। অর্থনীতি, ব্যবসা, আমদানি, রপ্তানি ও চিকিৎসা সেবাসহ সব ধরনের বিকল্প এখনই খুঁজে বের করতে হবে বাংলাদেশকে। একসময়ে গরু, পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচে দেশটির ওপর নির্ভরশীলতা ছিল। এখন তাতে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পেরেছি। ভারতের বাইরে গিয়ে মুসলিম দেশ পাকিস্তান, কাতার, মালদ্বীপ, তুরস্কসহ সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা ও আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আমাদের বাড়াতে হবে। কূটনীতি ও অর্থনৈতিক বিষয়ে ভারতকে বাদ দিয়ে পরিকল্পনা সাজাতে হবে বাংলাদেশকে। সেই সুযোগ আছে বাংলাদেশের।