প্রভুদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ফ্যাসিস্ট সরকার ব্যস্ত ছিল

স্টাফ রিপোর্টার: দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে ফ্যাসিস্ট সরকার এ অনুষ্ঠানটিকে তাদের প্রভুদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের উপলক্ষ বানিয়েছিল, যার মাধ্যমে তারা দেশীয় সংস্কৃতির বিপরীতে পৌত্তলিকতাকেই প্রমোট করত। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাই, তারা মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে মূল নামে এবারে আনন্দ শোভাযাত্রায় ফিরেছে।
সাংস্কৃতিক ঐক্যফ্রন্ট গত ১৪ এপ্রিল সোমবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক বাচিকশিল্পী শরীফ বায়জীদ মাহমুদ। বক্তব্য রাখেন গীতিকার ও সুরকার তফাজ্জল হোসেন খান, সুরকার শিল্পী সাইফুল্লাহ মানছুর, বিসিএ সভাপতি আবেদুর রহমান, সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর পরিচালক জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
নাট্যকার মাহবুব মুকুল, আহসান হাবীব খান ও শিল্পী হাসানাত আব্দুল কাদেরের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত ওই নতুনের কেতন ওড়ে স্লোগানে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান সাজানো হয়। যেখানে ছিল চিরায়ত বাংলা গান, দেশাত্মবোধক গান, জারি-সারি, পুঁথিপাঠ, গম্ভিরা ও নাটিকা, আবৃত্তি ইত্যাদি।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী, অনুপম সাংস্কৃতিক সংসদ, জাগরণ শিল্পীগোষ্ঠী, উচ্চারণ শিল্পীগোষ্ঠী, সন্দীপন সাংস্কৃতিক সংসদ, সওগাত সাংস্কৃতিক সংসদ, নিমন্ত্রণ সাংস্কৃতিক সংসদ, স্পন্দন সাংস্কৃতিক সংসদ, মহানগর ও রাজধানী শিল্পীগোষ্ঠী, মহানগর নাট্যসংসদ, রাজধানী থিয়েটার ও স্বপ্নবাড়ী সাংস্কৃতিক সংসদ।
হাজারো দর্শক-শ্রোতা তীব্র গরম উপেক্ষা করে শিল্পীদের বর্ণিল পরিবেশনা উপভোগ করেন। অনেকেই সপরিবারে এসে মুক্ত পরিবেশে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টাব্যাপী এ অনুষ্ঠান দেখেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।