এবারের রমজানে স্বস্তি ফিরেছে নিত্যপণ্যের বাজারে
১৩ মার্চ ২০২৫ ১৬:০৮
॥ সাইদুর রহমান রুমী ॥
বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবারের রমজানে দু-একটি পণ্য ছাড়া নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকায় স্বস্তিতে রয়েছে সাধারণ মানুষ। সরকারি দূরদর্শী পরিকল্পনা ও আন্তরিকতা থাকলে যে দ্রব্যমূল্যের মতো কঠিন একটি বিষয় সামাল দেয়া সম্ভব, তা অবারো প্রমাণ হলো। ভারতীয় পণ্য সহায়তা ছাড়া বাংলাদেশের বাজার পরিচালনা অসম্ভব বলে যারা এতদিন প্রচার চালিয়ে ছিলেন, এখন তাদের মুখে ছাই পড়েছে। রমজানের এ সাফল্য সারা বছর ধরে রাখাই এখন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামই স্থিতিশীল নয়, এবার ক্ষেত্র বিশেষে কোন কোন পণ্যের দাম গত বছরের তুলনায় আরো কমেছে। আর সবচেয়ে স্বস্তির বিষয় হচ্ছে মার্চ মাসে সার্বিক মূল্যস্ফিতিও বিগত সময়ের চেয়ে নিম্নমুখী।
পণ্যমূল্যে স্বস্তি এবারের রোজা : বিগত ১৬টি বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময় রমজান মানেই ছিল এক ভীতিকর অবস্থা। রোজা আসার কয়েক মাস আগে থেকেই জিনিসপত্রের দাম ছিল অগ্নিমূল্য। রোজা ছিল মানুষের ভোগান্তির এক নাম। কিন্তু এবার তার পুরোপুরি ব্যতিক্রম। দু-একটি পণ্যের দাম ছাড়া বেশিরভাগ পণ্যের দামই আছে স্থিতিশীল। এমনকি গত রমজানের চেয়েও কম।
পেঁয়াজ, আদা, রসুন, আদা, তেল
বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে রমজানে পেঁয়াজ, রসুনের চাহিদা কিছুটা বেড়ে যায়। রান্নার কাজে ব্যবহৃত এসব প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী যেমন পেঁয়াজ, আদা, রসুন, মরিচ বাজারভেদে একটু দাম কমবেশি থাকলেও সেগুলো এবার রোজায় ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি আদার দাম ১০০ টাকা কেজি, ইন্ডিয়ান আদার দাম ২০০ টাকা কেজি। আর দেশি রসুনের দাম ১০০ টাকা আর চায়না রসুন ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর পেঁয়াজ (বড়) ৩৫-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
বাজারে রোজার শুরুতে সয়াবিন তেলের কিছুটা বাড়তি দাম থাকলেও বর্তমানে স্থিতিশীল। কোথাও কোথাও বোতলের গায়ের চেয়ে ১০-২০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। তবে বেশিরভাগ দোকানেই সয়াবিন তেলের ১,২ লিটার বোতল পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। তবে ৫ লিটারের বোতল মিলছে। সেখানেও ৫০ টাকার মতো দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।
এবার সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা। আর বিক্রেতাদের দাবি, গায়ের দামের চেয়ে বেশি কেনায় বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন মুদি দোকান, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও সুপারশপ ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ জায়গায় ৫০০ মিলিগ্রাম ও ১ এবং ২ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল কমবেশি পাওয়া যাচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বোতলজাত সয়াবিন তেলের ব্ল্যাকআউটের মতো যে অবস্থা তৈরি হয়েছিল সেটি এখন তেমন নেই। প্রায় দোকানেই ক্রেতারা সয়াবিন তেলের বোতল চাইলে পাচ্ছেন। তবে এখনো অদৃশ্য ৫ লিটারের বোতল।
দোকানিরা জানান, বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ আগের তুলনায় কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছে। পরিবেশকরা চাহিদা অনুযায়ী তেল সরবরাহ আগের তুলনায় বাড়িয়েছেন। ফলে তেলের বোতল আগের তুলনায় মার্কেটে বেড়েছে। তবে এখনো ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল তেমন একটা পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েক দিন পরপর ২ থেকে ৫টি করে বোতল দিচ্ছেন। সেগুলো আবার ক্রেতারা সঙ্গে সঙ্গেই কিনে নিয়ে যান। ক্রেতারা বলছেন, শুধু রোজা উপলক্ষে অসাধু ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে দাম বাড়াতে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন, যা ভোক্তাদের মধ্যে যথেষ্ট উদ্বেগ ও ভোগান্তির সৃষ্টি করেছে। এ সংকটের প্রধান কারণ হিসেবে বাজার বিশ্লেষকরা সিন্ডিকেটের কারসাজি, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি এবং সরবরাহ ব্যবস্থার দুর্বলতাকে দায়ী করেন। সরকারিভাবে টিসিবিকে কাজে লাগিয়ে নিজস্ব উদ্যোগে তেল আমদানি করা গেলে সয়াবিন তেলের সিন্ডিকেট ভাঙা যেত বলে বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা।
আলু-পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, ‘আলুর দাম বর্তমানে ২০-২৫ টাকা কেজি। মাঝখানে আমরা ছোট আলুটা (বাছার পর) ১৫ টাকা কেজিও বিক্রি করেছি। তবে আলুর দাম রোজার পর বাড়তে পারে। দেশি পেঁয়াজের দাম ৩৫-৪০ টাকা কেজি। তারা বলেন, ‘দেশি নতুন রসুন মাত্র ১০০ টাকা কেজি। আর চায়না রসুন ২০০ টাকা কেজি। আদা পুরনোটা ১০০ টাকা কেজি আর নতুনটা ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
২০২৪ সালের চিত্র
ব্যবসায়ীরা জানান, ২০২৪ সালে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৯০-১১০ টাকা কেজি। এমনকি ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের দামও ছিল ৮০ টাকা কেজি। চায়না রসুনের দাম ছিল ২৪০-২৬০ টাকা কেজি। দেশি রসুন বিক্রি হতো ১৫০-১৬০ টাকায়। এছাড়া ইন্ডিয়ান আদার দাম ছিল ২৫০ টাকা। আর দেশি আদা বিক্রি হতো ১৫০-১৬০ টাকায়। আলু ছিল ৪০ টাকা কেজি। পরে বাড়তে বাড়তে আলু ৫৫-৬০ টাকায় পর্যন্ত পৌঁছেছিল। সয়াবিন তেল ছিল ২১০-২২০ টাকা লিটার। দাম বেশি হলেও গত রোজায় তেলের সংকট ছিল না। এবারেও সংকট নেই। তবে বাজার সিন্ডিকেটদের কারণে কৃত্রিম সংকট রয়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
ডিম, মাছ, মুরগি, খাসি ও গরু
প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন ডিমের দাম এবার মোটামুটি হাতের নাগালে রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ১২০-১২৫ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে ডিম। মাছের দাম রোজা শুরুর আগে যেমন ছিল প্রায় তেমনই রয়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে ১৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৪০ টাকা কমে সোনালি কক মুরগি ২৭০ টাকায় এবং সোনালি হাইব্রিড ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল লেয়ার মুরগি ৩০০, সাদা লেয়ার ২৯০, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমে ১৯০ ও দেশি মুরগি ৫৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির গোশত আগের দামেই ১০০০-১১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর গরুর গোশত বাজারভেদে ৭৭০-৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে যা এবার রোজা উপলক্ষে বাড়েনি।
গত বছর রোজায় গরুর গোশত বিক্রি হয়েছে ৮০০-৮৫০ টাকা কেজি, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে উঠে এসেছে। সে সময় সাধারণ মানুষ যাতে কম দামে গোশত কিনে খেতে পারে সেসময় শুধু শাহজাহানপুরে খলিল গোশত বিতানে ৬০০ টাকাও গোশত বিক্রি করেছিল। প্রাণিজ সম্পদ অধিদফতরের পক্ষ থেকেও ৬৫০ টাকায় গোশত বিক্রি করতে দেখা গেছে। এরপরও বাজারে গোশতের দামে পরিবর্তন আসেনি। ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২১০ টাকা ২৪০ টাকা কেজি। আর কক ছিল ৩০০ টাকা কেজি। এছাড়া দেশি মুরগি ৪৫০-৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ ব্রয়লার যেটি সবচেয়ে বেশি চলে সেটি এবার কেজিতে প্রায় ৩০-৪০ টাকা কম পাচ্ছে ক্রেতারা।
শসা-বেগুন
ইফতারের সময় প্রতি বছরই বেগুনির চাহিদা অনেক বেশি থাকে। বাড়তি এ চাহিদার সুযোগে ব্যবসায়ীরা গত বছর বেগুনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। গত বছর রোজায় বেগুনের দাম একশ’ টাকা ছাড়িয়ে যায়। রোজার শেষের দিকে অবশ্য তা কমে আসে। শসার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। প্রতি কেজি শসার দাম উঠেছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। এছাড়া টমেটো ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও লেবুর হালি ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সে তুলনায় এ বছর কাঁচামরিচ কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা আর টমেটো ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসা ৪০-৫০ টাকা কেজি, খিরা ৩০-৪০ টাকা কেজি এবং বেগুন ৪০-৫০ টাকা কেজিতে এবার পাওয়া যাচ্ছে, যা ভোক্তাদের স্বস্তি দিচ্ছে। তবে মৌসুম না হওয়ায় রোজার শুরুতে লেবুর দাম সাধারণ মানুষকে ভুগিয়েছে। তবে রোজার ১০ দিন যাওয়ার পর লেবুর দাম কমে আসছে। এভাবে শসা ও বেগুনের দামও কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল, পরে অবশ্য সে দাম কমে যায়।
একইভাবে গত বছর সাধারণ মানের যে খেজুরের কেজি ছিল ২৫০-৩০০ টাকা। এবার তা ১৬০-১৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। একইভাবে ভালোমানের বিভিন্ন খেজুর যেখানে দাম ছিল ১০০০-১২০০ টাকা। এবছর তা ৬০০-৬৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। জানা গেছে, সরকার খেজুরের ওপর হতে যে পরিমাণ শুল্ক কমিয়েছে ব্যবসায়ীরা সেভাবে দাম কমায়নি। জানা গেছে, সরকারের শুল্ক হ্রাসের সুযোগে অনেক ব্যবসায়ী এ বছর বিপুল খেজুর মজুদ করেছেন।
সরকারি পদক্ষেপ
রোজা উপলক্ষে নিত্যপণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে সরকার থেকে বহুমুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়। এর মধ্যে আমদানি পণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের ওপর বিভিন্ন ধরনের কর কমানো হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে কর একেবারে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এলসি মার্জিন শিথিল করা হয়েছে। এলসির ক্ষেত্রে ন্যূনতম কমিশন রাখতে বলা হয়েছে। নিত্যপণ্য আমদানিতে ডলারের জোগান বাড়ানো হয়েছে। ব্যাংকের নির্ধারিত দামেই ডলার বিক্রি নিশ্চিত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বন্দর থেকে পণ্য খালাস দ্রুত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, রমজানে পণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকবে। খাদ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল থেকেও আরও নিম্নগামী থাকবে। খেজুর, ছোলা, ডালসহ প্রয়োজনীয় সব পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। সে প্রস্তুতি আছে। রমজান আসার পর এর প্রভাবে পণ্যমূল্য কমে আসে। তবে যেভাবে করহার কমেছে, সেভাবে পণ্যের দাম কমেনি বলে অনেক বাজার বিশ্লেষক জানান। বর্তমানে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা। এক মাস আগে বিক্রি হয়েছিল ১৩০ টাকা কেজি। এ হিসাবে দাম কমেছে মাত্র ৫ টাকা। তবে প্রতি কেজি চিনিতে শুল্ক কর কমেছে ১০ থেকে ১১ টাকা। এ হিসাবে চিনির দাম আরও কমার কথা। একইভাবে ২১ নভেম্বর খেজুর আমদানিতে মোট শুল্ক সাড়ে ৬২ থেকে কমিয়ে একলাফে ৪১ শতাংশ করা হয়। পাশাপাশি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কায়ন মূল্য যৌক্তিক করা হয়, যা চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে। এতে খেজুরের মূল্য এবছর কিছুটা হ্রাস পেলেও দাম আরো অনেক কমার কথা ছিল।
কী বলছেন ক্রেতা-ব্যবসায়ীরা
কথা হয় মানিকনগর এলাকার বাসিন্দা আবু ইউসুফের সাথে। তিনি জানান, এবারের রমজানে একটু স্বস্তিতে জিনিসপত্র কিনতে পেরেছি। কোনো আতঙ্ক কাজ করেনি। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ রমজানে সবজির দাম কম থাকায় মানুষ অনেক স্বস্তি পেয়েছে।’
রামপুরা বাজারে কুমিল্লা স্টোরের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ হাফিজ জানান, সরবরাহ প্রচুর হওয়ায় বেশিরভাগ পণ্যের দাম সন্তোষজনক। মতিঝিল এলাকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইনসাফ বলেন, এ বছর পেঁয়াজ, আলু, টমেটো, কাঁচামরিচ ও ডিমের দাম ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত। সরকারের কঠোর নজরদারি এবং শুল্কছাড় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল করতে ভূমিকা রেখেছে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
ক্যাবের বক্তব্য
বাজার বিশ্লেষক ও কনজ্যুমার, অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, গত বছরের রোজার বাজারের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের রোজার বাজার কিছুটা স্বস্তিদায়ক ক্রেতার জন্য। তবে এবার ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা যেভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে, সেটি মেনে নেওয়ার মতো নয়। দেশে প্রচুর ভোজ্যতেল আমদানি করা হয়েছে, কিন্তু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে ঠিকমতো সরবরাহ না করে। ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা আগের সরকারের আমলে যেভাবে দেশের মানুষকে জিম্মি করে দাম বাড়িয়েছে- এবারও একই কাজ করেছে। সরকারও এ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আর ভোক্তা অধিকারকে সেভাবে কাজে লাগাতে পারেনি।