মাফিয়াতন্ত্রের রানির রাজনীতি আর নয়
১৩ মার্চ ২০২৫ ১৫:৩৪
॥ হারুন ইবনে শাহাদাত ॥
পাপের সূচনাকারীর জন্য দুঃসংবাদ হলো- তার দেখানো পথে পৃথিবীতে যত অপরাধ যত জন ঘটাবে, তার একটি অংশ সেই অর্বাচীনের আমলনামায় যোগ হবে। পতিত পলাতক ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন কিছু অপরাধ যোগ করেছেন, যার দৃষ্টান্ত শুধু তিনিই। তার আগে দেশের মানুষ এসব অপরাধের নাম পর্যন্ত জানতো না। যেমন- ‘আয়নাঘর, একতরফা নির্বাচন, ডামি প্রার্থীর নির্বাচন, সেগুনবাগিচায় ব্যালট ভরার ভোট, অর্থ লুট ও পাচারের জন্য অলিগার্ক তৈরি। গুম-খুন, মানুষ হত্যা, প্রতিপক্ষের মিছিল-মিটিং পণ্ড করতে ক্যাডার বাহিনী লালনের সূচনা তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করলেও তিনি এ কাজে বৈচিত্র্য আনার কৃতিত্বের দাবি করতেই পারেন। কারণ এ কাজে তার বাবা রক্ষী বাহিনী, লাল বাহিনী ব্যবহার করার রেকর্ড করলেও সংবিধানের আলোকে গড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেমন- পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিডিআর (তার দেয়া নাম বিজিবি) এবং প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গর্ব সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করার মতো অপকর্ম হাসিনার আমলনামাতেই মনে হয় প্রথম যোগ হয়েছে। আধাসামরিক বাহিনীতে অসন্তোষ সৃষ্টি করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সহযোগিতায় নিজ দেশের চৌকস ৫৭ সেনা কর্মকর্তা হত্যার ইতিহাসের স্রষ্টাও শেখ হাসিনা। নাগরিকদের বিক্ষোভ দমনে জাতিসংঘের লোগোসংবলিত সাজোয়াযান, হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে নারী ও শিশুসহ নিরীহ নাগরিকদের রক্তে হাতরাঙানোর পৈশাচিকতার জন্যও হাসিনার তুলনা তিনি নিজেই।
তার সবচেয়ে বড় অর্জন তিনি উল্লেখিত বিষয়গুলোর জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধে অপরাধী হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। সত্যি তিনি তার দেড় দশকের স্বৈরাচারী শাসন টিকিয়ে রাখতে রাজমুকুটে অনেক কুখ্যাতির পালক যোগ করেছেন, যা এদেশের কোনো রাজনৈতিক নেতা এবং শাসক পারেননি। এককথায় রাজনীতি বিশ্লেষকরা তার এ অর্জন সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় কোনো সরকারব্যবস্থা ছিল না, তিনি মূলত মাফিয়াতন্ত্রের রানি ছিলেন।
হাজার রাতের সাধক এক পাপে হয় দেউলিয়া
গত ১০ মার্চ সোমবার ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যেও এ প্রতিধ্বনিরই প্রতিফলন ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘হাসিনার শাসনে কোনো সরকার ছিল না। এটি ছিল এক ডাকাত পরিবারের শাসন। সরদারের কাছ থেকে শুধু আদেশ হতো আর তা পালন হয়ে যেত। কেউ কোনো সমস্যা করলে তাকে গুম করে ফেলা হতো। নির্বাচন করা হলে জয় নিশ্চিত করা হতো। কেউ অর্থ চাইলে ব্যাংক থেকে লাখ লাখ ডলার ঋণের মাধ্যমে নিয়ে নেওয়া হতো এবং তা আর কখনোই দেওয়া লাগতো না।’
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশের যে ক্ষতি করেছেন, তার কোনো তুলনা নেই। গাজার মতোই বাংলাদেশ এক বিধ্বস্ত দেশ ছিল। শুধু তফাৎ ছিল এখানে কোনো ভবন ধ্বংস হয়নি। বরং পুরো প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা, নীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ধ্বংস করা হয়েছে। জনগণের অর্থ লুট করতে ব্যাংকগুলোকে সম্পূর্ণ লাইসেন্স দেওয়া ছিল। তারা তাদের কর্মকর্তাদের বন্দুক নিয়ে পাঠাতো সব লুটে নিতে।’
রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির নামে তিনি রাজনৈতিক দলটিকে দুঃশাসন আর শোষণের হাতিয়ারে পরিণত করেছিলেন। তার এ অপকর্মের কারণে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে অপ্রাসঙ্গিক। দলটির হাসিনা পূর্ববর্তী অতীত বিবেচনায় আসবে না। সাধারণ স্বত্বসিদ্ধ নিয়ম হলো, ‘শেষ ভালো যার সব ভালো তার/শেষের কালিতে হারায় মনিহার/শত খুনের পর খুনি বধে নিজাম হলেন আউলিয়া/হাজার রাতের সাধক এক পাপে হয় দেউলিয়া।’ কিন্তু আওয়ামী লীগ এক পাপ নয়, হাজার পাপ নয়, তার পাপ অগণিত। সেই পাপের ফিরিস্তি জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তাকেই মাস্টারমাইন্ড হিসেবে সনদ দিয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন। এ প্রতিবেদন আওয়ামী লীগ ও হাসিনার কফিনে শেষ পেরেক বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক বিশ্লেষক। এ শিরোনামে প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
কেন কফিনে শেষ পেরেক
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ফ্যাসিবাদী প্রমাণিত হওয়ার পর সেই রাজনৈতিক দলকে প্রচলিত আইনে চিরদিনের জন্য রাজনীতির মাঠ থেকে বিদায় নিতে হয়। দেশের জনগণের সহযোগিতায় পরবর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো প্রয়োজনে নতুন আইন তৈরি করে। তারা জাতিসংঘ বা কোনো আন্তর্জাতিক সনদের অপেক্ষা করে না। শক্তিশালী সনদ তাদের হাতে না থাকলেও সাহস করে ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে না। কিন্তু বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি বিশ্লেষণ করলে এ ব্যাপারে ঐকমত্য দেখা যাচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা দেশের রাজনীতির মাঠের ভারতীয় এজেন্টদের প্রভাবকে দায়ী করেন। সাথে সাথে ভারতের সহযোগিতা ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না, গেলেও টিকে থাকা যাবে নাÑ এমন অলীক ভিত্তিহীন চিন্তার নেতাদের হাতে কিছু রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বও বিলম্বের কারণ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
এখন আর কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্বের কারণ নেই। কারণ জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদন নিয়ে খবর প্রচার করেছে বিবিসি, এএফপি, সিএনএন, রয়টার্স, আল-জাজিরা, টাইমস অব ইন্ডিয়া থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সব গণমাধ্যম। এ নিয়ে দেশ ছাড়িয়ে গোটা বৈশ্বিক রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে। বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ‘হাসিনার সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছে’- এমন শিরোনামে বিস্তারিত তথ্য বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এমনকি শিশুসহ নিরীহ নাগরিকদের হত্যায় জড়িত অপরাধীরা যেন দায়মুক্তি না পায়, সে বিষয়টিতে জাতিসংঘ জোর দেওয়ায় খোদ আওয়ামী লীগেই নানা ধরনের হিসাব-নিকাশ তৈরি হয়েছে। দলটিতে শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রমনা ও মানবাধিকারের পক্ষের হাতে গোনা যে কয়জন নেতা আছেন, তারা বিকল্প ভাবছেন। এমনকি পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর তার মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার আদালতকে বলেছেন, তিনি আর রাজনীতি করবেন না। তিনি আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকেও অব্যাহতি নিয়েছেন।
যারা এখনো ভারতের দিকে তাকিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখছেন, তাদের প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট এলিনা খান মনে করেন, ‘জুলাই-আগস্টের ঘটনা আমরা নিজের চোখে দেখেছি। এবার জাতিসংঘের প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার আমলের দুঃশাসনের চিত্র ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশে পুলিশের তদন্ত ম্যানিপুলেট হয়। অনেক ক্ষেত্রে প্রকৃত চিত্র উঠে আসে না। জাতিসংঘের রিপোর্টে পুরো বিষয়টি উঠে এসেছে। আমার প্রশ্ন হলোÑ জাতিসংঘ খুব কম সময়ে এত বড় একটি রিপোর্ট তৈরি করতে পারল অথচ বাংলাদেশের তদন্তকারীরা একটা চার্জশিট দিতে পারল না। এটা দুঃখজনক। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর কী ধরনের হামলা হয়েছে, জাতিসংঘের রিপোর্টে সারা দুনিয়ায় তা প্রমাণ হয়ে গেল। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার বলবে, সেটা সবাই ধরে নিন। কিন্তু এবার জাতিসংঘের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর প্রমাণ হলোÑ অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যা বলছে, তা মিথ্যা বা অতিরঞ্জিত নয়। জাতিসংঘ নিরপেক্ষ চিত্র তুলে ধরেছে। জাতিসংঘের এ রিপোর্ট দেখে ভারতের বোধোদয় হওয়ার কথা। সে দেশের মিডিয়া যেভাবে প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে, আমি মনে করি, এখন তারা সত্যিটা জেনে থামবে। আর যদি না থামে, তাহলে ধরে নিতে হবে, এতে ভারত সরকারের ইন্ধন রয়েছে। এতদিন ভারত ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ফাইট দিয়েছে, এবার জাতিসংঘের সঙ্গে ফাইট দিতে হবে। তা না হলে জাতিসংঘের এ রিপোর্ট মেনে নিয়ে তারা চুপ হয়ে যাবে বলে আমার ধারণা। আমি মনে করি, এ রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর ভারত সরকারের উচিত হবে, ‘সরি’ বলে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করা।’
ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনে যারা ভূমিকা রেখেছেন, তারা আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস বিশ্লেষণ করে দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা, ঐক্য সংহতি এবং রাজনীতি থেকে হিংসা-বিদ্বেষ, সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তদের নির্বাসনে পাঠাতেই আওয়ামী লীগকে রাজনীতির মাঠে দেখতে চায় না।
নিষিদ্ধ ও বিচার
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পক্ষে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেছেন। সরকার নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা বাসসকে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এটা অত্যন্ত ইতিবাচক যে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এক ধরনের ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘আমাদের মুহতারাম আমীরে জামায়াত জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই আমাদের অবস্থান তুলে ধরে বলেছেন, ভোটের ময়দানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ফিরে আসার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শত শত মানুষ খুন, সাভারের আশুলিয়ায় লাশ ট্রাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি আরো বলেন, ‘অনেকে বলে এরা নাকি এদেশে রাজনীতি করতে চায়, এরা এদেশে এসে আবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়। যারা গোটা জাতির বিরুদ্ধে এভাবে যুদ্ধ করেছে, তারা নির্বাচনে ভোট চাইবে কার কাছে? এদের কোনো নৈতিক অধিকার নেই ভোটের ময়দানে ফিরে আসার। যদি তারা জনগণের ভোটে বিশ্বাসী হতো, তাহলে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে ফেয়ার নির্বাচন দিত। তারা তা চায়নি। তারা চেয়েছে মেরেকেটে যেভাবেই হোক, তাদেরই ক্ষমতায় থাকতে হবে।’ আমি মনে করি, জনগণের ভোটাধিকার ছিনতাইকারী ফ্যাসিস্ট দর্শনে বিশ্বাসী কোনো দলেরই রাজনীতি করার অধিকার নেই। যারা বুকের রক্ত দিয়ে ফ্যাসিস্ট তাড়িয়েছে তারা কোনোদিন আওয়ামী লীগের মতো দলকে রাজনীতির মাঠে মেনে নেবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন আবদুল হান্নান মাসউদ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতিসংঘের প্রতিবেদনের পর শেখ হাসিনা এখন আন্তর্জাতিভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী। তার দল আওয়ামী লীগও সন্ত্রাসী দল। গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা সরকারের পুলিশ, প্রশাসন ও তার দলকে ব্যবহার করে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছে। শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা অপ্রাসঙ্গিক বিষয়। তার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ রাখতে হবে।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘শেখ হাসিনা গণহত্যার অপরাধ করেছেন। তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তার পুলিশ, প্রশাসন, দলীয় নেতা-কর্মীদের ব্যবহার করে মানুষ হত্যা করেছেন। তার বিচার প্রক্রিয়া চলছে। যদি সুষ্ঠু বিচার হয়, তাহলে তিনি দোষী সাব্যস্ত হবেন। আর সেটা হলে তার তো আর রাজনীতিতে ফিরে আসার সুযোগ নাই।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফিরে আসার চেয়েও জাতিসংঘের প্রতিবেদনের পর আমি ভাবছি কোন মুখে আওয়ামী লীগ বা তাদের নেত্রী রাজনীতিতে ফিরে আসার চিন্তা করতে পারে। তাদের তো এখন লজ্জায় মুখ ঢাকার কথা। এখন জাতিসংঘের প্রতিবেদনের পর তাদের অপরাধ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এরপর তাদের আর রাজনীতি করার অধিকার আছে বলে আমি মনে করি না।’