নিমাইজুড়ি নদী দখলের অভিযোগ
৬ মার্চ ২০২৫ ১২:৫২
আবুল কালাম আজাদ, মুরাদনগর (কুমিল্লা): মুরাদনগরে নিমাইজুড়ি নদী দখল করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। অথচ প্রশাসন নীরব। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা চাপিতলা ইউনিয়নের চাপিতলা বাস টার্মিনালের পশ্চিম পাশে চাপিতলা-বিষ্ণুপুর সড়কের ওপর ও নিমাইজুড়ি নদী দখল করে দোকান ঘর উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে মুকছেদুর রহমান আবির ও তার ভাই ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, এ সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার পূর্ব ঘোড়াশাল গ্রামের বুড়িনদী থেকে প্রবাহিত হওয়া নিমাইজুরি নদীটি চাপিতলা গ্রাম হয়ে রামচন্দ্রপুর তিতাস নদীতে গিয়ে মিলিত হয়েছে। এটি বুড়িনদীর একটি শাখা। যার নাম নিমাইজুড়ি নদী। একসময় এ নদী দিয়ে যাত্রী ও মালবাহী শত শত নৌকা এবং ট্রলার চলাচল করতো। কিন্তু নদীটির দুই পাড় দিয়ে দখল হয়ে যাওয়ায় আজ বিলীনের পথে এ নদী। চাপিতলা-বিষ্ণুপুর সড়ক ও কোম্পানীগঞ্জ-নবীনগর সড়কের পাশদিয়ে গিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর দুই পাড় দিয়ে অবৈধভাবে দখল করে নির্মাণ হয়েছে দোকান ঘর।
রেজাউল করিমসহ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের দল এখন ক্ষমতায়। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার শক্তি কারোর নেই। দলীয় ক্ষমতা অপব্যবহার করে এ নদীর ওপর দোকানঘর নির্মাণ করছেন। প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এ অবৈধ দখল বন্ধ করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মুকছেদুর রহমান আবির বলেন, আমার জায়গায় ২টি দোকানঘর নির্মাণ করেছি। সরকারি জায়গা নয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু মুছা আল কবির বলেন, দোকানঘর নির্মাণের বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়টি নিয়ে আমি খোজঁখবর নিচ্ছি।
মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, নিমাইজুড়ী নদীর ওপর ঘর উঠাইছে বিএনপি নেতারা বিষয়টি আমার জানা নেই। আমরা বিষয়টির বিষয়ে খবর নিচ্ছি। এরা বিএনপির নেতাকমী নয়। এরা সুবিধাবাদী।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুর রহমান বলেন, নিমাইজুড়ী নদীতে কেউই স্থাপনা নির্মাণ করতে পারে না। ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে খবর নিচ্ছি। বিষয়টি সত্য হলে ওই স্থাপনাটি উচ্ছেদ করা হবে।