উচ্চ কারিকুলামে নেই ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা
৬ মার্চ ২০২৫ ১২:৪১
॥ সৈয়দ খালিদ হোসেন ॥
গত পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে যারা শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করেছেন, তারা একজন শিক্ষার্থীকে কর্মক্ষেত্রে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট ছিলেন। কোনো কোনো সময় একে কর্মমুখী শিক্ষা বা কারিগরি শিক্ষার ওপর নজর বাড়িয়েছেন আবার উন্নত দেশে আমাদের শিক্ষার্থীরা গিয়ে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে যাওয়ার পন্থা বের করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু একইসঙ্গে একজন শিক্ষার্থীকে ভালোভাবে শিক্ষাগ্রহণ করার পাশাপাশি ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা যথাযথভাবে হয়নি। দেশের নাগরিকরা যেসব ধর্ম পালন করে থাকেন, যেসব ধর্ম স্বভাবতই অনুসারীদের সৎ ও নৈতিকতা শেখায়। সাম্য ও সম্প্রীতি শেখায়। বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম মানুষকে সৎ ও নৈতিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশে বিদ্যমান অন্য ধর্মের অনুসারীদের স্ব-স্ব ধর্মে নিশ্চিয়ই অনিয়ম-দুর্নীতিতে উৎসাহিত করে না কার্যত সততা ও নৈকতা শেখায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে, গত ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে এদেশে যারা শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করেছেন, তারা ধর্ম ও নৈতিকতা শেখানোয় সিরিয়াস ছিলেন না। ফলে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেও কর্মক্ষেত্রে আমরা পাচ্ছি ঘুষখোর, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজ অফিসার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের দ্বারা ঘটছে ধর্ষণের মতো বর্বরোচিত ঘটনা।
দেশের বিদ্যমান উচ্চশিক্ষার সিলেবাস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, উচ্চশিক্ষায় ধর্ম ও নৈতিকতা শেখার কোনো চান্সই নেই। আমাদের শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়নকারীরা এটার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধিই করেননি। মাস্টার্স বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়া হয় কোনো একটি নির্ধারিত বিষয়ের ওপর। ফলে কেউ চাইলেও নির্ধারিত বিষয়ের বাইরে অন্য বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ নেই। স্নাতক বা বিএ, বিবিএস, বিএসএস এবং বিএসসি ডিগ্রির ক্ষেত্রে বিভাগভিত্তিক লেখাপড়ার ব্যবস্থা থাকলেও ধর্ম ও নৈতিকতা শেখার মতো কোনো বিষয় সেখানে নেই।
যেমন আমরা যদি বিবিএস (বিকম) ডিগ্রির সিলেবাস দেখি, তাহলে দেখতে পারবো এই গ্রুপে হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পড়ানো হয়। বিএসসিতে উদ্ভিদ বিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থ বিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, গণিত কম্পিউটার বিজ্ঞান, ভূগোল এবং পরিবেশ, জৈব রসায়ন এবং আণবিক জীববিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, মৃত্তিকা বিজ্ঞান পড়ানো হয়। এতগুলো বিষয়ের মধ্যে কোনো ধর্ম বা নৈতিকতা শেখার কোনো ব্যবস্থা নেই। এসব পাঠ্যবই পর্যালোচনা করে দেখা গেছে বইগুলোর একটি পৃষ্ঠা এমন নেই যেখানে একজন মানুষের নীতি-নৈতিকতা কেমন হওয়া উচিত তা শেখা যাবে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানে যারা অনার্স পড়ছেন বা পড়েন তাদের সাবজেক্টগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, সেখানে আব্যশিক বিষয়ের মধ্যে ঐচ্ছিক বিষয়ও রয়েছে। চার বছর মেয়াদি এই অনার্স কোর্সে প্রথম বর্ষে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষে মেজর সাবজেক্ট হলো পাঁচটি। এছাড়া ঐচ্ছিক সাবজেক্ট রয়েছে তিনটি। ‘স্বাধীন বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের ইতিহাস, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন, পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তা, প্রধান প্রধান বৈদেশিক সরকার (যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স), লোকপ্রশাসন পরিচিতি পড়ানো হয়। ঐচ্ছিক সাবজেক্ট হচ্ছে- সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি, অথবা সমাজকর্ম পরিচিতি, প্রিন্সিপলস অব ইকোনমিকস ইত্যাদি। অনার্স ২য় বর্ষে ‘ব্রিটিশ ভারতের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক উন্নয়ন, বাংলাদেশ রাজনৈতিক অর্থনীতি, নারী রাজনীতি ও উন্নয়ন, প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তা, ঐচ্ছিক বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশের সমাজবিজ্ঞান অথবা বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতি, বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং ইংরেজি (আবশ্যিক) পড়তে হয়।’ অনার্স ৩য় বর্ষে এসে ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক রাজনীতির মূলনীতি, দক্ষিণ এশিয়ার সরকার ও রাজনীতি (ভারত, পাকিস্তান, নেপাল এবং শ্রীলংকা), রাজনীতি অধ্যয়নের পদ্ধতি, শান্তি এবং সংঘাত অধ্যয়ন পরিচিতি, বাংলাদেশের লোকপ্রশাসন, গবেষণা পদ্ধতি ও পরিসংখ্যান, রাজনৈতিক সমাজতত্ত্ব পড়ানো হয়।’ অনার্স ৪র্থ বর্ষে মোট সাবজেক্ট হলো ৯টি। এটি অনার্সের ফাইনাল বর্ষ ও শেষ বিভাগ। সেই শেষ বর্ষে এসে ‘রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিবর্তন ও ধারাবাহিকতা, বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন, সরকারি নীতি পরিচিতি, পূর্ব এশিয়ার সরকার ও রাজনীতি: চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া, পরিবেশ ও উন্নয়ন, বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক, বাংলাদেশের আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া, বিশ্বায়ন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তা পাড়ানো হয়।’ টানা চার বছর এতগুলো বিষয়ের ওপর পড়তে হচ্ছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থীকে। কিন্তু এ বিষয়গুলোর মধ্যে কোথাও ধর্ম ও নৈতিকতা শেখার সুযোগ রাখা হয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার রূপরেখা’ এবং ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থ্া প্রতিষ্ঠা হলে সব ধর্ম ও শ্রেণি-পেশার মানুষের কী ধরনের কল্যাণ হতে পারে এমন বিষয়গুলো সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা যেত। কিন্তু যারা শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করেছেন তারা এ বিষয়ে দৃষ্টি দেননি। অনার্সের এই বয়সে এসেও যখন একজন শিক্ষার্থীর ধর্ম ও নৈতিকতা শেখার সুযোগ থাকে না, তখন কর্মক্ষেত্রে বা ক্যাম্পাসে ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নৈতিক কিছু আশা করা কতটা যৌক্তিক। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাসে ইংরেজি শেখানোর বাধ্যকতা রয়েছে। এমনকি অনার্সে এসেও অন্তত ১০০ মার্ক এর ইংরেজি শিখতে হবে এবং ওই ইংরেজিতে পাসও করতে হবে, ইংরেজি শিখতে অনার্সে এসেও কারিকুলাম ঠিকই কড়াকড়ি করছে কিন্তু ধর্ম শেখার জন্য কড়াকড়ি দূরে থাক উৎসাহও দেয়া হয়নি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজে সমাজকল্যাণ বা সমাজকর্ম নামে একটি সাবজেক্ট পড়ানো হয়। বিষয় হিসেবে সামাজিক বিজ্ঞানের সাবজেক্টগুলোর মধ্যে এটি যথেষ্ট বিজ্ঞানসম্মত ও উন্নত। সাধারণভাবে বললে এটি অনেকটা অ্যাপ্লাইড বেইসড সাবজেক্ট। মানুষের জীবন ও সমাজের সমস্যা সমাধানের এবং উন্নয়নের উপায়গুলো সমাজকর্মের মাধ্যমে অ্যাপ্লাই করা হয়। এজন্য একটি মানুষের জীবন ও সমাজের সমস্যা ও সমাধানের বিষয়বস্তু এই সাবজেক্টের পড়ার অন্তর্গত। বিশেষ করে সাইকোলজি, ফিজিওলজি, হেলথ, ইকোনমিকস ইস্যু কান্ট্রি ওয়েলফেয়ার পলিসি ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়ে থাকে। কিন্তু চার বছরব্যাপী অনার্স কোর্স এবং পরবর্তী এক বছরব্যাপী মাস্টার্স কোর্সে কোথায়ও একবারের জন্য নৈতিকতা বা ধর্ম শেখার সুযোগ নেই।
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক স্তরের নবম-দশম শ্রেণির জন্য ৩৩টি পাঠ্যপুস্তক নির্ধারিত রয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এ। এগুলো হচ্ছে- বাংলা সাহিত্য, বাংলা সহপাঠ, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ঊহমষরংয ঋড়ৎ ঞড়ফধু, ঊহমষরংয এৎধসসধৎ ধহফ ঈড়সঢ়ড়ংরঃরড়হ, গণিত, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত, ভূগোল ও পরিবেশ, অর্থনীতি, কৃষিশিক্ষা, গার্হস্থ্যবিজ্ঞান, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, হিসাববিজ্ঞান, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, ব্যবসায় উদ্যোগ, ইসলাম শিক্ষা, হিন্দুধর্ম শিক্ষা, বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা, খ্রিষ্টধর্ম শিক্ষা, ক্যারিয়ার শিক্ষা, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, চারু ও কারুকলা, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা, আরবি, সংস্কৃতি, পালি ও সংগীত। এখানে প্রথম বিষয়ের পর ২১ নম্বরে এসে ইসলাম শিক্ষা বই রয়েছে। কিন্তু অন্যান্য সাধারণ বিষয়গুলোর মধ্যে নৈতিকতা শেখানোর কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
রাজধানীর তিতুমীর কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইমরান খানের ভাষ্য, সরাসরি ধর্মভিত্তিক বিষয় নিয়ে লেখাপড়া না করলে ধর্ম শেখার সুযোগ থাকছে না আমাদের শিক্ষা কারিকুলামে। অথচ সরকার চাইলেই যে যে বিষয়ের পড়ুক না কেন, ওই বিষয়ের মধ্যেই নীতি-নৈতিকতা ও ধর্মীয় অনুশাসন শেখানো সম্ভব।
ভোলা জেলার সদর উপজেলার চরসামাইয়া বন্ধুজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ. সহিদের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, কারিকুলাম এমনভাবে সাজিয়েছে যেখানে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি অথচ এটা খুবই জরুরি। প্রতিটি শ্রেণিতে যদি ধর্ম ও নৈতিকতা শেখানোর ব্যবস্থা থাকে তাহলে শিক্ষিত হওয়ার পর বাংলার কোনো ঘরে ঐশীর (পুলিশ দম্পতি বাবা-মাকে গলা কেটে হত্যাকারী আলোচিত কন্যা) জন্ম হবে না। সমাজে নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষ পেতে হলে আামাদের শিক্ষা কারিকুলামকে ধর্ম ও নৈতিকতার ভিত্তিতে ঢেলে সাজাতে হবে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম মনে করেন, আমাদের শিক্ষা কারিকুলামকে কল্যাণমুখী ও কর্মমুখী করে ঢেলে সাজাতে হবে। এ প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। পাশাপাশি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করেন তিনি। তার মতে, দুর্নীতির প্রধান কারণ হলো কম বেতন প্রাপ্তি। তাই যথাযথ বেতন নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষা, আইনব্যবস্থার ইসলামীকরণ হয়নি। ব্রিটিশদের প্রণীত শিক্ষাব্যবস্থা এখনো চালু থাকার ফলে বাঙালি মুসলমান শরীরগত দিক দিয়ে হয়তো মুসলমান, কিন্তু মন-মগজে তারা এখনো ব্রিটিশদের শিক্ষা ও চিন্তাকেই শেষ পর্যন্ত লালন করে। তাই বাঙালি স্বাধীন হলেও তারা তাদের মাথা অন্যের কাছে বিক্রি করে নত হওয়ার ফলে এখনো পরাধীনই হয়ে আছে। ব্রিটিশদের শাসনব্যবস্থা যেখানেই ছিল, সেখানে তারা রাষ্ট্রীয় ও শাসনতান্ত্রিক প্রয়োজনে দুই ধরনের কাজ চালু রেখেছিল। প্রথমত, প্রশাসনের জন্য কর্মচারী তৈরি করা। দ্বিতীয়ত, পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
আফ্রিকার ঘানার বিখ্যাত বুদ্ধিজীবী, পণ্ডিত ও প্রধানমন্ত্রী ড. কুফি বুসিয়া আফ্রিকান দেশসমূহের শিক্ষাব্যবস্থা আলোচনা করতে গিয়ে বলেছিলেন, “বিদেশি শিক্ষাব্যবস্থা অনুসরণ করে আমরা যদি অগ্রসর হই, তাহলে আমাদের সমূহ ক্ষতি হবে। এই কারণে ক্ষতি হবে যে, আমরা স্বাধীনতার তাৎপর্য অনুভব করতে পারবো না এবং পূর্বতন শিক্ষাব্যবস্থার আদলে আমরা আমাদের জীবনকে নিয়ন্ত্রিত করবো। তার ফলে আমাদের জীবনের যথার্থ পরিস্ফুটন ঘটবে না।” শিক্ষার একটা উদ্দেশ্য থাকা একান্ত আবশ্যক। অর্থাৎ শিক্ষা কেন, শিক্ষার মাধ্যমে আমরা কী অর্জন করব? কিংবা শিক্ষা না হলে ক্ষতি কী? সে ক্ষতিরই বা কারণ কী? এ বিষয়গুলো আমাদের সামনে পরিষ্কার থাকা দরকার। বস্তুত মানুষের জন্য শিক্ষা অপরিহার্য। এ ব্যাপারে দুনিয়ার সর্বকালের জ্ঞানী-গুণী ও চিন্তাবিদদের পূর্ণ ঐকমত্য রয়েছে। সে কারণে শিক্ষা হতে হবে ধর্ম ও নৈতিকতার ভিত্তিতে এবং নিজস্ব সংস্কৃতি ও বাস্তবতার আলোকে।