আন্দোলন সংগ্রামে শ্রমিকদের অবদান অবিস্মরণীয় : ড. আ জ ম ওবায়দুল্লাহ


২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:০৭

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরের নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়দুল্লাহ বলেছেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি জীবন দিয়েছে এদেশের শ্রমিকরা। আন্দোলন সংগ্রামে শ্রমিকদের অবদান অবিস্মরণীয়। তারা রক্ত দিয়ে এ দেশের সাহিত্য সংস্কৃতি ও ইতিহাস নির্মাণ করেছে। তাই অবশ্যই এ দেশে শ্রমিকদের মূল্যায়ন থাকতে হবে।
তিনি সম্প্রতি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুস্তক প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক আমার দেশের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, দৈনিক কর্ণফুলী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ ও সাবেক কাউন্সিলর শামসুজ্জামান হেলালী। এতে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের মহানগর সহ-সভাপতি মকবুল আহমদ ভূঁইয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শিহাব উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ হামিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ নূর নবী, প্রকাশনা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, রেলওয়ে এমপ্লয়িজ লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মজুমদার ও কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
আ জ ম ওবায়দুল্লাহ বলেন, শ্রমিকরা এদেশের অর্থনীতির কারিগর। একই সাথে শ্রমিকদের এদেশের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য ভূমিকা পালন করতে হবে। যে সব ভাষা ও সংস্কৃতি আমাদের তাহজীব তামদ্দুনের সাথে যায় না। তা পরিহার করতে হবে। একটি মহল বিভিন্ন কৌশলে আমাদের সংস্কৃতিকে গ্রাস করতে চায়। তাদের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সদা সতর্ক থাকতে হবে। শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে বিগত আঠারো বছরে এ দেশের মানুষ কথা বলতে পারেনি। শ্রমজীবীরা তাদের অধিকার পায়নি। অথচ বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ একজন শ্রমিক। আবার চব্বিশের সর্বশেষ শহীদও একজন শ্রমিক। তাদের আত্মত্যাগকে আমাদের ধারণ করতে হবে। এই ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে আগামীর প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এ ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে এস এম লুৎফর রহমান বলেন, শ্রমিকরা যে আশা আকাক্সক্ষা নিয়ে বায়ান্নর আন্দোলন-স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। সেই আকাক্সক্ষা আমরা আজও পূরণ করতে পারিনি। কিন্তু চব্বিশের বিপ্লব পরবর্তীতে জানিয়ে দিতে চাই, এবারের বিপ্লব আর ধূলিসাৎ করতে দেবো না। আমরা যেমন শ্রমিকদের অবদান ও আত্মত্যাগকে স্মরণ করব ঠিকইভাবে তাদের অংশগ্রহণে এদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।