পাবনা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি বাচ্চু, সম্পাদক এহিয়া খান
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:০১
পাবনা সংবাদদাতা : পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন-২০২৫ গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ ও জামায়াত সমর্থিত সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণ করে। এ নির্বাচনে ৪২৫ ভোটের মধ্যে ৩৭৪ ভোটার ভোট প্রদান করেন। কঠোর পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে সুষ্ঠু ও শাস্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের ১৩টি পদের মধ্যে সভাপতিসহ ১১টিতে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের প্রার্থীরা জয়লাভ করে। সেক্রেটারিসহ ২টি পদে জয়লাভ করে জামায়াত সমর্থিত সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্যপরিষদের প্রার্থী।
সভাপতি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের প্রার্থী আলহাজ মো. আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু ২১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলহাজ মো. আব্দুল হামিদ পিকে পান ১৫১ ভোট। সহ-সভাপতির দুটি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের প্রার্থী শামছুদ্দোহা জামী ২১৩ ভোট ও মো. আলমগীর হোসেন ১৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মতিয়ার রহমান ১৬৭ ভোট ও আলহাজ মো. গোলাম রব্বানী ১৩৩ ভোট পান। সাধারণ সম্পাদক পদে জামায়াত সমর্থিত সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের প্রার্থী সুলতান মাহমুদ খান এহিয়া ১৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী মাহবুবুল আলম (কাজী আলম) পান ১৭৫ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের মো. রফিকুল ইসলাম ২০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আব্দুল আউয়াল জোয়াদ্দার পান ১৫২ ভোট। যুগ্ম সম্পাদক (উন্নয়ন) পদে মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (রনি) ২০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম ফরিদ উদ্দিন পান ১৫০ ভোট। যুগ্ম সম্পাদক (লাইব্রেরি) পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের আমিনা খাতুন শুভ ১৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আমিনুল ইসলাম পান ১৫৯ ভোট। যুগ্ম সম্পাদক (সংস্কৃতি) পদে মো. রাশিদ নিস্তার (মিশুক) ২১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল হোসাইন পান ১৩৮ ভোট। অডিটর পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের মো. পলাশ আলী ২১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
সদস্যপদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের মো. মেজবাহ আহসান অনিক ১৮৮ ভোট, শামছুজ্জামান নান্নু ২২২ ভোট, মো. আহসান হাবীব (পিনু বিশ্বাস) ১৮৭ ভোট ও জামায়াত সমর্থিত সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের খন্দকার শাহ আলম স্বপন ১৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
জামায়াতের সংবর্ধনা: পাবনা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদ খান এহিয়া ও সদস্য খন্দকার শাহ আলী স্বপনসহ জামায়াত মনোনীত প্যানেলের সকল আইনজীবীকে সংবর্ধনা প্রদান করেছেন পাবনা জেলা জামায়াত। গত ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার দারুল আমান ট্রাস্ট মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। পাবনা জেলা জামায়াতের আইন বিভাগীয় সম্পাদক এডভোকেট কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পাবনা জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল। সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য রাখেন পাবনা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সেক্রেটারি এডভোকেট সুলতান মাহমুদ খান এহিয়া, পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা জহুরুল ইসলাম খান, সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল গাফফার খান, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আবু সালেহ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, এস এম সোহেল, পাবনা পৌর আমীর উপাধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ, এডভোকেট গোলাম রব্বানী, এডভোকেট শাহ আলী স্বপন প্রমুখ। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসাইন, তারবীয়াত সেক্রেটারি মাওলানা হাবিবুর রহমান, বায়তুলমাল সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল মমিন, ব্যবসা ও বাণিজ্য সেক্রেটারি আব্দুর রহমান, সাবেক পৌর আমীর আলহাজ আবিদ হাসান, অফিস বিভাগের সহকারী সম্পাদক আসাদুজ্জামান ও জামায়াত মনোনীত প্যানেলের আইনজীবীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
পাবনা পৌর জামায়াতের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন: পাবনা পৌর জামায়াতের উদ্যোগে জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। গত শনিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আছির উদ্দিন সরদার অডিটোরিয়ামে নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল কাদেরের সঞ্চালনায় ও পৌর আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসাইন, বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনা পৌর জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক রাকিব উদ্দিন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ডক্টর ইদ্রিস আলম, সংগঠনের তারবিয়াত সেক্রেটারি আব্দুল আউয়াল, ইঞ্জিনিয়ার ফরিদুল হাসান, এস এম ইদ্রিস প্রমুখ।
ইকবাল হোসাইন বলেন, বাংলা ভাষার ব্যবহার চালু করতে হবে। তিনি আরো বলেন, অন্য ভাষা শেখার আগে প্রথমে বাংলা ভাষা ভালো করে আয়ত্ত করতে হবে। পরবর্তীতে প্রয়োজনে অন্য ভাষা শিক্ষা গ্রহণ করা দরকার রয়েছে। তিনি আরো বলেন, মাতৃভাষাকে মূল্যায়ন না করতে পারলে আমাদের দেশ ও জাতির অগ্রগতি কখনো সম্ভব নয়।