বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উৎপাদন বন্ধ
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:০০
মো. আফজাল হোসেন, দিনাজপুর: দেশের উত্তর অঞ্চলে একমাত্র দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক উৎপাদনশীল দুটি ইউনিট থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুতের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের উত্তর অঞ্চলের ভারী, মাঝারি শিল্পকারখানাগুলো ও বোরো ধান সেচ মৌসুমে উত্তর অঞ্চলের ১৬টি জেলায় বিদ্যুৎ সংকট বিরাজ করছে। দিনাজপুরের পার্শ্ববর্তী কয়লাখনির উৎপাদিত কয়লাদিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট নির্মাণকৃত ৩টি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রমের মধ্যে ২নং ইউনিটটি প্রায় ৫ বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই ইউনিট থেকে একসময় ১২৫ মেগাওয়াড বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও উৎপাদন হতো মাত্র ৬০-৭০ মেগাওয়াড বিদ্যুৎ। সেই ইউনিটিও এখন অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ১নং ইউনিটি মেরামত করে জোড়াতালি দিয়ে চালু করলেও বছরে কয়েকবার নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যহত হয়। গত ৫ বছর আগে ৩য় ইউনিটি নির্মাণ করা হয় এবং যার বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৭৫ মেগাওয়াড। উৎপাদনে যাওয়ার পরেও এ পর্যন্ত কতবার যে যান্ত্রিক ত্রুটিতে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছিল তার কোনো হিসাব নেই। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৩নং ইউনিট ও ১নং ইউনিরট বন্ধ হয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি জানান, ইউনিটটির বয়লার লিকেজ এর কারণে বন্ধ করে দিতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়। ১নং ও ২নং ইউনিট ওভার হোলিংয়ে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। যার কারণে ২নং ইউনিটটি ৫ বছর ধরেই বন্ধ রয়েছে। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সব মিলে ৫ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। এদের পিছনে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কোটি কোটি টাকা ব্যয়। ৩টি ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তর অঞ্চলে কৃষিতে ও শিল্পতে বিদ্যুতের চরম সংকট চলছে।
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইউনিট দুটি বন্ধ হয়ে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যে মেরামত কাজ শেষ করে পুনরায় উৎপাদন কাজ শুরু করা হবে।