আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান


২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৩৭

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির এক যৌথসভা মগবাজার অফিসে অনুষ্ঠিত হয়। বাআশিফের সভাপতি প্রফেসর ড. এম কোরবান আলীর সভাপতিত্বে এবং জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করীমের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের শিক্ষা বিভাগীয় প্রধান ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, সমাজে শিক্ষকের মর্যাদা অতুলনীয়। সৎ-যোগ্য-দক্ষ, স্কলার দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। একটি সভ্য সমাজ গঠনে শিক্ষকরা যে ভূমিকা রাখতে পারে অন্য কেউ তা পারে না। সভ্যসমাজ বা নৈতিকতাসম্পন্ন আদর্শ মানুষ তৈরি করার লক্ষ্যে ৯টি পরিষদ নিয়ে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম দুটি পরিষদ হলো বাংলাদেশ পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিষদ। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হলো বিশ্ববিদ্যালয়। এখান থেকেই পড়ালেখা শেষ করে শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ছড়িয়ে পরে। এ শিক্ষার্থীদের যদি আমরা আদর্শ ও নৈতিকার শিক্ষা দিতে পারি, তাহলে তাদের দ্বারা অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি হবে না। ন্যায় এবং ইনসাফভিত্তিক একটি রাষ্ট্র গঠনে তারাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের নৈতিকার শিক্ষা দেওয়ার আগে কুরআন-হাদিস অধ্যয়নের মাধ্যমে নিজেদের নৈতিক মান উন্নত করতে হবে।
তিনি বলেন, আদর্শ ও নৈতিকতাবিবর্জিত শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তন করে ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক মানের ব্যবস্থার বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিষদকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করে থাকেন। এজন্য আদর্শ ও নৈতিকতাসম্পন্ন ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়নে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সকল শিক্ষকদের সাথে বসতে হবে, আলোচনা করতে হবে। তাদের সামনে ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থার সুফল ও বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার কুফল তুলে ধরে তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
ফেডারেশনের সভাপতি প্রফেসর ড. এম কোরবান আলী বলেন, প্রত্যেক শিক্ষককেই একজন বলিষ্ঠ, নৈতিক চরিত্রের ও গুণাবলি অর্জনের অধিকারী হতে হবে। সাথে সাথে প্রত্যেক শিক্ষককে অনুকরণীয় ব্যক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে হবে। আপনাদের প্রত্যেককে ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট আদর্শিক ও উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হিসেবে পেশ করতে হবে। যাতে করে ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষকদের অনুসরণের মাধ্যমে উন্নত ও নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হওয়ার সুযোগ পায়।
ে অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করীম বলেন, শিক্ষকদের সংগঠিত হতে হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের আদর্শ শিক্ষক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনকে মুজবুতি করণের বিষেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। যে সকল জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় আছে সে সকল জেলাতে এবং প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। শিক্ষকের কাছে সংগঠনের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আদর্শ শিক্ষক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি প্রফেসর ড. উমার আলী, জেনারেল সেক্রেটারি প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনারেল সেক্রেটারি ড. মাওলানা আব্দুস সবুর মাতাব্বুরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।