লবণশিল্পকে বাঁচাতে লবণের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করুন : হামিদুর রহমান আযাদ


২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:২৮

বাংলাদেশের একমাত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ লবণশিল্পকে বাঁচাতে হলে মাঠপর্যায়ে লবণের মূল্য নির্ধারণ করতে শিল্প উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ ও শিল্প-কারখানার লবণের চাহিদা মেটাচ্ছে কক্সবাজার জেলার উৎপাদিত লবণ। তিনি বলেন, অতীব গুরুত্বপূর্ণ লবণশিল্প আজ ধ্বংসের পথে। প্রান্তিক পর্যায়ে লবণের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় লবণ চাষিরা হতাশ। এভাবে চলতে থাকলে লবণ চাষিরা লবণ উৎপাদন থেকে সরে যাবে। ফলে দেশ লবণ আমদানিনির্ভর হয়ে পড়বে। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আমাদের অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের কারণে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ শিল্প যদি হুমকির মুখে পড়ে, তাহলে জাতির কাছে জবাবদিহি করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে লবণের চাহিদার সিংহভাগ আসে কক্সবাজারের মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁ, টেকনাফ ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কিছু অংশ থেকে। গত বছর মাঠপর্যায়ে লবণের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় এ বছরের শুরুতেই চাষিরা অনেক আশায় কোমর বেঁধে লবণ উৎপাদনের জন্য মাঠে নামে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, উৎপাদনের শুরুতেই অস্বাভাবিকভাবে মাঠপর্যায়ে লবণের দাম কমতে থাকায় প্রান্তিক চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে এবং তাদের পরিবারে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, উচ্চ দামে লবণের জমির লাগিয়ত, পলিথিনের উচ্চ মূল্য ও শ্রমিকের বেতন বৃদ্ধিসহ প্রতি মণ সাদা লবণ উৎপাদন খরচ ৩৫০ টাকার ওপরে। কিন্তু মাঠপর্যায়ে বর্তমান চাষিরা পাচ্ছে ২০০-২২০ টাকা। এতে করে প্রান্তিক চাষিরা চরম হতাশা ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। লবণের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ, প্রান্তিক লবণ চাষিদের সহজ শর্তে ঋণ, লবণের সঠিক মাপ নির্ধারণ, প্রান্তিক চাষিদের ডাটাবেজ তৈরি করে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে পণ্য বিতরণ, লবণ উৎপাদনের উপকরণসমূহের মূল্য কমানো, মাঠপর্যায়ে চাষিদের কাছ থেকে সরকারিভাবে লবণ ক্রয়সহ কক্সবাজার আলাদা লবণ বোর্ড গঠনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য উপদেষ্টাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।