গণমানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে-মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন


২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:১০

‘ইসলাম একটি শাশ্বত ও পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান, তাই শুধুমাত্র কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক শাসন ব্যবস্থায় পারে অধিকারহারা মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রোববার তিনি রাজধানীর একটি মিলনায়তনে মোহাম্মদপুর থানা পশ্চিম জামায়াত আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর মো. মাসুদুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মো. রবিউল ইসলাম রুবেলের পরিচালনায় সুধী সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের গণমানুষের নেতা মোবারক হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান। বক্তব্য রাখেন জোন টিম সদস্য ডা. শফিউর রহমান, এডভোকেট আজহার মুন্সি, সাইয়েদ মনজুর, মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন, থানা শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য ইবাদত হোসেন, নূরে আলম সিদ্দিকী, রুহুল আমিন, আশরাফুল আলম, সাইফুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, মুফতি মারুফ বিল্লাহ, এডভোকেট তাইয়্যেবুর রহমান, আলী আহমেদ মজুমদার প্রমুখ।
মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, মানবরচিত মতবাদ কখনোই মানুষের জন্য কল্যাণকর নয়। তাই দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অপশাসন-দুঃশাসনমুক্ত করতে ইসলামী শাসন ব্যবস্থার বিকল্প নেই। তিনি পতিত সরকারের অপশাসন-দুঃশাসনের ফিরিস্তি দিয়ে বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার রাষ্ট্রীয় সকল কাঠামো ভেঙে দিয়েছে। তাদের লুটপাট, দুর্নীতি, হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য দেশে এক কলঙ্কিত ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। ফ্যাসিবাদী শাসনে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি এবং লুটতরাজ একটি স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছিল। তারা পরিকল্পিতভাবে দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়ে দেশকে মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। কেড়ে নেওয়া হয়েছে গণমানুষের সকল মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হয়নি, বরং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে তাদের লজ্জাজনকভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, বিপ্লবী ছাত্র-জনতা দেশে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্যই রাজপথে অকাতরে জীবন দিয়েছিল। তাদের স্লোগান ছিল ‘ডব ধিহঃ লঁংঃরপব’। তাই সে বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল শ্রেণির মানুষের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে হবে। মূলত জামায়াতে ইসলামী একটি গণমুখী ও কল্যাণকামী রাজনৈতিক সংগঠন। আমরা এমন একটি আদর্শ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে সকল মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার পাবে এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় দলমত-নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
মোবারক হোসাইন বলেন, জামায়াতে ইসলামী মানবতার সেবা; সমাজের ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আর্তমানবতার মুক্তির জন্য দেশকে ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা এমন এক ইনসাফপূর্ণ ইসলামী সমাজ কায়েম করতে চাই, যেখানে সকল নাগরিকের নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। তিনি ঢাকা-১৩ আসনসহ ঢাকা নগরীর সকল আসনে সৎ, যোগ্য প্রার্থীকে বিজয়ী করে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে গতিশীল করতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।