ঘাটাইলে গুদামে ধান দিচ্ছে না কৃষক, ফাঁকা খাদ্য গুদাম
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৪৫
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা: চলতি মৌসুমে সরকার নির্ধারিত ধানের দাম কম হওয়ায় ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান অনেকটা ব্যর্থ হয়েছে। টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে চলতি মৌসুমে প্রায় ৫০ হাজার টন ধান উৎপাদন হয়েছে। নিবন্ধন করা কৃষকের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার হলেও কোনো ধান ওঠেনি সরকারি গুদামে। ২০২৪-২৫ আমন মৌসুম ধান সংগ্রহ শুরু হলেও কৃষকের কোনো ধান খাদ্য গুদামে আসেনি বলে শূন্যের ঘরে হিসাব রেখেই বন্ধ করা হয় আমন ধান সংগ্রহ অভিযান। কৃষকদের অভিযোগ, ধান দিতে গেলেই কৃষকদের নানা ঝামেলা পোহাতে হয়। সরকারিভাবে ধানের দাম বাড়াতে হবে। তা না হলে গুদামে ধান দিলে লোকসান হবে তাদের। কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর উপজেলার পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ হয়। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৫০ হাজার ৭৮০ টন। কিন্তু কৃষক ঘরে ধান তুলেছেন ৪৯ হাজার ৪১১ টন। ঘাটাইল খাদ্য গুদাম কার্যালয়ের তথ্যমতে, খাদ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী এ মৌসুমে ‘কৃষক এ্যাপের’ মাধ্যমে কৃষক নিজেই সরকারি খাদ্য গুদামে তার উৎপাদন ধান বিক্রির জন্য আবেদন করতে পারবেন। একজন কৃষক একবারে সর্বনিম্ন ৪০ কেজি এবং সর্বোচ্চ ৩ মেট্রিক টন ধান খাদ্য গুদামে বিক্রি করতে পারবেন। এ মৌসুমে পূর্বের ন্যায় লটারি হবে না। উপজেলায় এবার ১১২০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। অথচ ধান সংগ্রহ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোনো কৃষক ধান নিয়ে খাদ্য গুদামে আসেননি। সরকার চলতি মৌসুমে প্রতি মণ ধানের দাম নির্ধারণ করেছে ১ হাজার ৩২০ টাকা (কেজি ৩০ টাকা)। অথচ খোলা বাজারে ১৪০০ টাকা প্রতি মণ ধান বিক্রয় হচ্ছে। কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, খাদ্য গুদামের চেয়ে বাজারে বেশি দামে ধান বিক্রয় হচ্ছে। তাই আমি গুদামে কমদামে ধান বিক্রয় করিনি।