আধুনিক বিজ্ঞানে মুসলিম কীর্তিমানদের অবদান


১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:০৬

॥ আলী আহমাদ মাবরুর ॥
আমরা যখন বিশ্বসভ্যতা বিনির্মাণে মুসলিমদের অবদানের কথা ভাবি কিংবা যখন সভ্যতার অগ্রযাত্রায় মুসলিম বিজ্ঞানী বা দার্শনিকদের কথা বিবেচনায় আনি, তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ আলোচনা মুসলিম সভ্যতার প্রথম কয়েক শতকের কীর্তিমানদের কর্মকাণ্ডের মধ্যেই আটকে থাকে। সাধারণভাবে যদি চারপাশের খ্যাতিমান মুসলিম বিজ্ঞানী ও দার্শনিকদের কথা স্মরণ করি, তাহলে ইবনে সিনা, ইবনে রুশদ, ইবনে খালদুন কিংবা ইবনে হাইসামের কথাই বেশি শোনা যায়। এ মানুষগুলো প্রকৃতার্থেই স্মরণকালের সেরা মানুষ এবং পৃথিবীর এ অগ্রসরতায় তাদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু বর্তমান যুগেও; বিশেষ করে গত কয়েক শতকে মুসলিমদের অবদানও খুব তাৎপর্যপূর্ণ যদিও অনেক ক্ষেত্রেই সে অবদানগুলো আমাদের আলোচনায় বা স্মরণে খুব একটা আসে না। এ প্রবন্ধে আমরা সাম্প্রতিক ইতিহাসের কিছু মুসলিম কীর্তিমান ও তাদের অসামান্য অবদানগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দেশের সভ্যতা ও উন্নয়নের অন্যতম একটি মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে উঁচু উঁচু দালান-কোঠা, ইংরেজিতে যেগুলোকে আমরা স্কাইস্ক্রাপার বলে থাকি। আমরা অনেকেই জানি, আবার অনেকেই জানি না যে, বাংলাদেশি স্থপতি ও প্রকৌশলী ফজলুর রহমান খানকে ‘ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকৌশলের আইনস্টাইন’ এবং ‘বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধের সর্বশ্রেষ্ঠ স্থাপত্য প্রকৌশলী’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফজলুর রহমান খান বহুলভাবে এফ আর খান নামেও পরিচিত। তিনি এমন গাঠনিক নকশা তৈরি করেন, যা আজও সব উচ্চ-আকাশচুম্বী ভবনের জন্য মৌলিক ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তার এ প্রযুক্তি আমেরিকার জন হ্যানকক সেন্টার এবং সিয়ার্স টাওয়ার নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছিল। সিয়ার্স টাওয়ার ২০০৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন ছিল, পরবর্তীতে বুর্জ দুবাই (বর্তমানে বুর্জ খলিফা) সিয়ার্স টাওয়ারকে ছাড়িয়ে যায়। আর টুইন টাওয়ার বা যমজ টাওয়ার হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন হলো মালয়েশিয়ার পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার, যা ১৯৯৮ সালে নির্মিত হয়।
বিশ্বের প্রথম ঘূর্ণায়মান স্কাইস্ক্রাপার দুবাইয়ের ডুবাইল্যান্ড কমপ্লেক্সে নির্মিত হয়, যার নাম সায়ান টাওয়ার। ইতোপূর্বে এটি ইনফিনিটি টাওয়ার নামে পরিচিত ছিল। এটি একটি ৩০৬ মিটার উঁচু (১০০৪ ফুট), ৭৫-তলা আকাশচুম্বী ভবন, যা দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত। ২০১৩ সালের ১০ জুন উদ্বোধনের পর টাওয়ারটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু উচ্চস্থায়ী ভবন হিসেবে ৯০ ডিগ্রি ঘোরানো ডিজাইনের কারণে ব্যাপক পরিচিতি পায়। পরবর্তীতে এ রেকর্ডটি ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাংহাই টাওয়ার ভেঙে ফেলে।
বর্তমানে আমরা ব্যাপকহারে বহুল ব্যবহৃত সব মোবাইল, বিভিন্ন যন্ত্র এবং যানবাহন চার্জ করার কাজে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করি। এর আবিষ্কারের কৃতিত্বও মুসলিমদের। ১৯৮০ সালে মরক্কোর মুসলিম বিজ্ঞানী রাশিদ ইয়াজামি গ্রাফাইটে লিথিয়ামের রিভার্সিবল ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল ইন্টারক্যালেশন প্রক্রিয়া প্রদর্শন করেন। সেই সময়ে বিদ্যমান জৈব ইলেক্ট্রোলাইট চার্জিংয়ের সময় গ্রাফাইট নেতিবাচক ইলেক্ট্রোডের সাথে বিক্রিয়া করে ব্যাটারির পুনরায় চার্জযোগ্যতার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করত। ইয়াজামি একটি কঠিন ইলেক্ট্রোলাইট ব্যবহার করে প্রমাণ করেন যে, লিথিয়ামকে ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রাফাইটে পুনরায় সংযুক্ত করা সম্ভব। তার আবিষ্কৃত গ্রাফাইট ইলেক্ট্রোড বর্তমানে বাণিজ্যিক লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ইলেকট্রোড, যা ১৯৯১ সালে বাজারজাত করা হয়। রাশিদ ইয়াজামির উদ্ভাবিত লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে রয়েছে পোর্টেবল ডিভাইস: মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট, ডিজিটাল ক্যামেরা ও ক্যামকর্ডার, ইলেকট্রনিক সিগারেট, হ্যান্ডহেল্ড গেম কনসোল, টর্চলাইট।
এর বাইরে বিদ্যুৎচালিত বিভিন্ন সরঞ্জাম; বিশেষ করে কর্ডলেস ড্রিল, স্যান্ডার, করাত এবং গার্ডেন সরঞ্জাম যেমন ঘাস কাটার মেশিন, হেজ ট্রিমার ইত্যাদিতে এ ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া বৈদ্যুতিক নানা যানবাহন; বিশেষ করে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি, হাইব্রিড যানবাহন, বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল ও স্কুটার, ই-বাইসাইকেল, ব্যক্তিগত পরিবহন যন্ত্র, উন্নত বৈদ্যুতিক হুইলচেয়ার, রেডিও-নিয়ন্ত্রিত মডেল, মডেল এয়ারক্রাফট, মহাকাশযান এবং মার্স কিউরিওসিটি রোভারে এ ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়।
১৯৯১ সালে লিথিয়াম ব্যাটারি বাজারজাত হওয়ার পর থেকে এর ভোল্টেজ সীমাবদ্ধ ছিল লিথিয়াম অ্যানোড ভোল্টেজের কারণে। ৫ ভোল্ট লিথিয়াম ব্যাটারি উচ্চ বিদ্যুৎ ঘনত্ব প্রদান করতে পারে, যা ছোট ডিভাইসের জন্য উপযোগী। ২০০৪ সালে আলী এফতেখারি একটি ৫ ভোল্ট ক্ষমতাসম্পন্ন অল-সলিড স্টেট লিথিয়াম ব্যাটারি তৈরি করেন। ২০১৩ সালে ১৮ বছর বয়সী মার্কিন বিজ্ঞানী ঈশা খারে এমন একটি ব্যাটারি চার্জার আবিষ্কার করেন, যা মাত্র ২০ সেকেন্ডের মধ্যে একটি ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ করতে পারে। তার উদ্ভাবিত নতুন ইলেকট্রিক ডাবল-লেয়ার সুপার ক্যাপাসিটার প্রচলিত চার্জারের তুলনায় অনেক দ্রুত ব্যাটারি চার্জ করতে সক্ষম ছিল। তার এ উদ্ভাবন গুগলের মতো বিশ্বসেরা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মাঝেও বিপুল আগ্রহ সৃষ্টিতে সক্ষম হয়।
ড. মোহাম্মদ বি. ইউনুস একজন মার্কিন মুসলিম চিকিৎসক ও রিউমাটোলজিস্ট, যিনি সফলতার সাথে ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম, বায়োসাইকোসোশ্যাল মডেল, মেডিকেল সমাজবিজ্ঞান, নিউরোলজি, মানসিক ও সামাজিক বিকাশ এবং নিউরোকেমিক্যাল প্যাথলজি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন। তিনি ফাইব্রোমায়ালজিয়া ও অন্যান্য ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম বোঝার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসতে সক্ষম হন। তিনি ‘বায়োসাইকোসোশ্যাল এ্যাপ্রোচের’ প্রবর্তক। তার এ ‘বায়োসাইকোসোশ্যাল এ্যাপ্রোচ’ হচ্ছে একমাত্র মডেল, যা জিন, শৈশবের প্রতিকূল অভিজ্ঞতা, মানসিক চাপ, মেজাজজনিত ব্যাধি, ব্যথা নিয়ন্ত্রণের আত্মবিশ্বাস, সামাজিক সহায়তা ইত্যাদির প্রভাবগুলোকে স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতার সাথে সংযুক্ত করে। ড. বি. ইউনুসের এ গবেষণা ক্রনিক ব্যথা ও ক্লান্তি সংক্রান্ত চিকিৎসা এবং সমাজবিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
অন্যদিকে ভাইরোলজির ক্ষেত্রে ইয়েমেনি বিজ্ঞানী শেখ আব্দুল মজিদ আল-জিন্দানি কুরআন ও হাদিস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এইচআইভি ও এইডসের চিকিৎসার জন্য একটি পদ্ধতি অনুসন্ধান করেন। ২০০৭ সালে তিনি দাবি করেন যে, তিনি এইচআইভি ও এইডসের একটি প্রতিকার আবিষ্কার করেছেন এবং হাদিসকে তার অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি দাবি করেন যে, ইয়েমেন ইউনিভার্সিটিতে পরিচালিত গবেষণার মাধ্যমে এইডসের অনেক রোগী সফলভাবে চিকিৎসা পেয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, বিশটি ক্ষেত্রে ভাইরাস সম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়ে গেছে এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তিনি জাতিসংঘের বিজ্ঞানীদের তাদের গবেষণার মূল্যায়ন করতে আমন্ত্রণ জানান। আবার ইরাকি পদার্থবিদ জিম আল-খলিলি ১৯৯৯ সালে কোয়ান্টাম বিবর্তনের একটি তত্ত্ব প্রকাশ করেন। তিনি বর্ধিত ডিকোহারেন্স এবং কোয়ান্টাম অবস্থার পরিবেশের সাথে শক্তিশালী মিথস্ক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি মডেল উপস্থাপন করেন। তার গবেষণাটি কোয়ান্টাম জীববিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হিসেবে বিবেচিত হয়। জিম আল খলিলি এ সংক্রান্তে বিভিন্ন ডকুমেন্টারিও নির্মাণ করেছেন, যেগুলো ইউটিউবের কল্যাণে যে কেউ দেখতে পারে এবং বড়ো কোনো অবদান রাখতে উদ্বুদ্ধ হতে পারে।
প্র্যাকটিক্যাল লাইট-এমিটিং ডায়োড বা এলইডি প্রযুক্তি এখন গোটা বিশ্বে খুবই দৃশ্যমান ও জনপ্রিয়। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৮ সালের মধ্যে এইচপি ল্যাবসের অধীনে মিশরীয় স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী মোহাম্মদ এম. আতাল্লার নেতৃত্বাধীন একটি গবেষণা দলের মাধ্যমে এলইডি উন্নত করা হয়। এ সময়কালে আতাল্লা এইচপিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় গ্যালিয়াম আর্সেনাইড, গ্যালিয়াম আর্সেনাইড ফসফাইড এবং ইন্ডিয়াম আর্সেনাইড ডিভাইসগুলোর ওপর একটি উপাদান বিজ্ঞান অনুসন্ধান কর্মসূচি শুরু করেছিলেন, এবং তারা মনসান্টো কোম্পানির সঙ্গে সহযোগিতা করে প্রথম এলইডি ব্যবহৃত পণ্য তৈরি করেছিলেন। এই আতাল্লা নামের বিজ্ঞানী ১৯৫৯-৬০ সালে মেটাল ও এলুমিনিয়াম গেটও উদ্ভাবন করেন।
রোবটিকসকে বিজ্ঞানের তুলনামূলক নতুন একটি শাখা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তেমনটা মনে করাই স্বাভাবিক। কেননা এর উদ্ভব বিংশ শতকে। কিন্তু বেশ বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, রোবটিকস নামক বিজ্ঞানের নতুন এ শাখার ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল হাজার বছর আগেই, তা-ও এক মুসলিম বিজ্ঞানীর হাত দিয়ে। ১২ শতাব্দীর মুসলিম উদ্ভাবক, ইসমাঈল আল জাজারিকেই রোবটিকসের জনক হিসেবে অভিহিত করা হয়। আল জাজারি তার অসাধারণ এবং বিস্ময়কর সব আবিষ্কারের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন।
তার উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারের মধ্যে ছিল মেহমানকে তোয়ালে সরবরাহকারী যন্ত্রমানব, ফোয়ারা চালু এবং বন্ধ করার জন্য প্রোগ্রামযোগ্য সুইচ, স্বয়ংক্রিয় যান্ত্রিক ঘড়ি এবং আরো বেশকিছু উপকরণ। আল জাজারির ‘ময়ূর ফোয়ারা’ ছিল প্রায়োগিক বুদ্ধিসম্পন্ন একটি হাত ধোয়ার যন্ত্র, যেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীকে সাবান এবং তোয়ালে সরবরাহ করত। আরো কিছু যন্ত্রও তিনি বানিয়েছিলেন, যেগুলো বিলাসী সব কাজে এবং খেলনা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। প্রায়োগিক ব্যবহারের জন্যও আল জাজারি কিছু যন্ত্র তৈরি করেন, যার ফলে সাধারণ মানুষ লাভবান হয়। তার এমন একটি যন্ত্র হলো পানি সেচের কলু কৃষকরা যার ওপর কয়েকশ’ বছর নির্ভরশীল ছিল। আল জাজারি প্রকৌশল বিদ্যার সাথে নান্দনিকতার সমন্বয়ের মাধ্যমে সৃষ্টি করেছিলেন দৃষ্টিনন্দন সব যন্ত্র। তার উল্লেখযোগ্য আরেকটি উদ্ভাবন হচ্ছে ‘হাতিঘড়ি’। এ ঘড়ি ছিল মূলত একটি যান্ত্রিক হাতি, যার মাথায় বসা থাকত একজন মাহুত। হাতিটি নড়াচড়া করতে পারত, যার বিভিন্ন অংশে সময় নির্দেশ করত। সাথে ছিল একটি ঝুলন দোলক এবং ঘূর্ণায়মান বল। মহান এ বিজ্ঞানীর এ ব্যাপক কর্মযজ্ঞ পরবর্তী সময়ের বিজ্ঞানী ও আবিষ্কারকদের ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল।
মুসলিমরা যতদিন পর্যন্ত জ্ঞান এবং এর বাস্তব প্রয়োগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, ততদিন পর্যন্ত মুসলিমরা সভ্যতা বিনির্মাণে ভূমিকা রেখেছেন এবং মানবসভ্যতার নেতৃত্ব দিয়েছেন। সে অবস্থান থেকে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছি। যদি আবারও মুসলিমদের সেই সোনালি দিন ফিরিয়ে আনতে হয়, তাহলে জ্ঞান ও বিজ্ঞানের উৎকর্ষতায় এবং অনুশীলনে আমাদের আবারও মনোনিবেশ করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা মুসলিমদের শ্রেষ্ঠতর জাতি হিসেবে যথাযথ ভূমিকা পালন করার তাওফিক দিন। আমিন।