ভূঞাপুরে ৩৫ বছরেও শেষ হয়নি বিআরএস জরিপ


৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:২৩

আলীম আকন্দ, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গাবসারা মৌজায় ১৭টি সিটের বিআরএস জরিপ কাজ শেষ হয়নি ৩৫ বছরেও। কবে শেষ হবে এর সদত্তুর পাওয়া যায়নি কোনো দপ্তরে। জরিপ সম্পন্ন না হওয়ায় মৌজাটিতে বন্ধ আছে জমি বেচা-কেনা, খাজনা-খারিজ। ফলে চরম ভোগান্তিতে এ এলাকার মানুষ।
জানা গেছে, সারা দেশের মতো এ উপজেলায় ১৯৯৩ সালে বিআরএস জরিপের কাজ শুরু করে ভূমি মন্ত্রণালয়। তারই ধারাবাহিকতায় গাবসারা মৌজায় ১৯৯৮ সালে নকশার কাজ শেষ করে ডিপি খতিয়ান তৈরি করে এবং মাঠ পর্চা বিতরণ করে ভূমি মালিকদের মধ্যে। কিন্তু পর্চায় জমির পরিমাণ মিল থাকলেও নকশায় জমির পরিমাণে কোনো মিল পাওয়া যায়নি। খতিয়ানে জমির পরিমাণ এবং নকশায় জমির পরিমাণ কোনো মিল না থাকায় জমির মালিকগণ নকশার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। তদন্তে দেখা যায়, এ মৌজায় ১৬টি সিটের নকশা ভেঙে ১৭টি সিট তৈরি করা হয়েছে। এতে অধিকাংশ প্লটের জমির পরিমাণ কম বেশি হয়েছে। সে সময় নকশার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকলেও পরবর্তীতে বিচারিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেন দায়িত্বরত কর্মকর্তাগণ। কিন্তু পরবর্তীতে কোনো সমাধান না করতে পেরে স্থগিত করে দেয় জরিপ কার্যক্রম। এর পর থেকেই নানা বিপদে পড়তে হচ্ছে এ এলাকার ভূমি মালিকদের। ক্রমান্বয়ে বন্ধ হয়ে যায় খাজনা-খারিজ, ব্যাংক ঋণসহ নানা কার্যক্রম। হালনাগাদ খাজনা পরিশোধ রসিদ ও খারিজ বাধ্যতামূলক হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় জমি বেচা-কেনা। ফলে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ। অনেক দরিদ্র পরিবার নানা সমস্যায় জমি বিক্রি করতে চাইলেও বিক্রি করতে পারছে না। সম্প্রতি অনলাইনভিক্তিক খাজনা-খারিজ হওয়ায় জটিলতা আরো বেড়েছে। এ মৌজার বাসিন্দা আব্দুস সামাদ বলেন, ওই সময় অদক্ষ সার্ভেয়ার (আমিন) দিয়ে নকশা করার কারণে এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে প্রায় ২৫ বছর যাবত বিপদে ফেলে রাখছে এ এলাকার মানুষের। দিন যাচ্ছে আরো জটিলতা বাড়ছে। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই। টাঙ্গাইল জোনাল সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার এস এস রফিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়টি নিয়ে জরিপ অধিদপ্তরে মতাততের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। জরিপ বাতিলও হতে পারে আবার নকশার পূর্ণকিস্তারও হতে পারে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যে নিদের্শনা আসবে, সেই মোতাবেক কাজ করতে হবে।