গড়ে তোলার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে-শাহজাহান চৌধুরী
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:১৩
জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর বর্ণাঢ্য র্যালিতে সভাপতির বক্তব্য রাখেন নগর আমীর শাহজাহান চৌধুরী
মহানগরীকে বাসযোগ্য ও নিরাপদ আবাসন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী। গত ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে বর্ণাঢ্য র্যালিপূর্বক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মহানগরী এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, নগর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, ডা. একেএম ফজলুল হক, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান প্রমুখ।
আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আমাদের এ চট্টগ্রাম একটি ঐতিহ্যবাহী শহর। এ চট্টগ্রাম নগরী হচ্ছে বাণিজ্যিক রাজধানী। আজকে পাহাড় কাটার কারণে পাহাড় ধসে ৫৬ জনেরও বেশি মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তারা তো গরিব মানুষ, বস্তির মানুষ, তাদের কেন প্রাণ দিতে হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন আপনারা তাদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেননি। আজকের এ র্যালি সর্বস্তরের চট্টলার জনগণ পেশাজীবী, শ্রমিক মেহনতি মানুষ, সাংবাদিক, আলেম-ওলামা, ইমামসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নগরীর জলাবদ্ধতার লক্ষ্যে সরকার যে কোনো সময় যে কোনো কাজের জন্য মহানগরী জামায়াত অন্তর্বর্তী সরকার যখনই ডাক দেবেন, আমরা আপনাদের পাশে থাকব।
নগর নায়েবে আমীর পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, এই যে কোটি কোটি টাকা খরচ করার পরও জলাবদ্ধতার কোনো সমাধান হলো না। কোনো ঘটনা ঘটলেই সিডিএ সিটি কর্পোরেশনকে দোষ দেন এবং সিটি কর্পোরেশন সিডিএকে দোষ দেন। আমরা পরস্পরের দোষারোপের সংস্কৃতি আর দেখতে চাই না। এখন একটি সমঝোতার সমাজ শুরু হয়েছে, সমন্বয়কের সমাজ শুরু হয়েছে, ঐক্যবদ্ধতার সমাজ শুরু হয়েছে। এভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকে জাতি গঠন করবে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতে ইসলামী, ইনশাআল্লাহ। তিনি অতীতের মেয়রেরা কোটি কোটি টাকা কী করেছেন, তদন্ত করে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করার দাবি জানান এবং বলেন, জলাবদ্ধতার নামে এ প্রজেক্টকে নবায়নে প্রজেক্টে পরিণত করেছে। বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা বিদেশে সম্পদ পাচার করেছে এবং তারা নিজেরাই সম্পদের অধিকারী হয়েছে, কিন্তু চট্টগ্রাম মানুষের কোনো সমস্যার সমাধান হয়নি।
উক্ত বর্ণাঢ্য র্যালি প্রেস ক্লাবে থেকে শুরু করে জামাল খান চেরাগী পাহাড় মোড়, আন্দরকিল্লা লালদিঘি, কোতোয়ালি মোড় হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।