সৎ ও দক্ষ নাগরিক তৈরি করে ইসলামী ছাত্রশিবির
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৪২
॥ সৈয়দ খালিদ হোসেন ॥
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির জাতির আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্রসমাজ ও দেশের প্রতিটি সংকটে একবুক সাহস নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দলমত-নির্বিশেষে সবার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে ছাত্রশিবিরের নিরস্ত্র লড়াকু ভূমিকা জাতি কোনোদিন ভুলবে না।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ইসলামী ছাত্রশিবির ৪৮ বছরে পদার্পণ করেছে। ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের অন্যতম বৃহৎ এ ছাত্র সংগঠন। পথচলার শুরু থেকে এ পর্যন্ত ছাত্রশিবির সৃষ্টি করেছে এক গৌরবময় ইতিহাস। সংগঠনটি গঠনমূলক ও গতিশীল নেতৃত্বের কারণে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় গ্রহণযোগ্য ও শিক্ষার্থীদের আস্থার প্রতীকে রূপান্তরিত হয়েছে। আদর্শ মানুষ তৈরির কারখানা হিসেবে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাধারণ মানুষ ও লাখ লাখ তরুণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।
১৯৭১ সালে নব্যস্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। কিন্তু স্বাধীনতা-পরবর্তী চরম আর্থসামাজিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিশৃঙ্খলা, জাতি গঠনে রাজনৈতিক নেতৃত্বের চরম ব্যর্থতা জনসাধারণের সেই সুখ-স্বপ্ন বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। এদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। বিদ্যমান ছাত্র সংগঠনগুলো ছাত্রদের মুক্তির দিশারী হওয়ার পরিবর্তে পরিণত হয়েছিল দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মেধা-মূল্যবোধ-আদর্শহীন দলীয় লেজুড়বৃত্তির আখড়া হিসেবে।
এরই প্রেক্ষাপটে এদেশের সাধারণ মানুষের মাঝে আশা তৈরির দুর্বার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে আসেন কিছু চিন্তাশীল, সাহসী ও স্বাপ্নিক তরুণ। কালের বিবর্তনে এখন সে সংগঠন মানুষের আস্থার প্রতীক। যার ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছে দেশের লাখ লাখ মেধাবী ও মুক্তিকামী ছাত্র-তরুণ। আলোকবর্তিকা হাতে অগ্রসরমান যে কাফেলাটি অতি দ্রুতই মেধাবী তরুণ-ছাত্রদের হৃদয়ের স্পন্দনে পরিণত হয়, তার নাম ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির’। শুরু হলো সুমধুর সঙ্গীতের শপথদীপ্ত অনুরণনÑ “পদ্মা মেঘনা যমুনার তীরে আমরা শিবির গড়েছি-শপথের সঙ্গীন হাতে নিয়ে সকলে নবীজির রাস্তা ধরেছি…”।
প্রতিভা বিকাশে ছাত্রশিবির: প্রতিভা বিকাশের জন্য ছাত্রশিবির বছরব্যাপী কেন্দ্র থেকে শুরু করে উপশাখা পর্যন্ত আয়োজন করে বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতার। যেমনÑ কুইজ প্রতিযোগিতা, মেধা যাচাই, ক্যারিয়ার গাইডলাইন কনফারেন্স, কম্পিউটার মেলা, বিজ্ঞান মেলা, সাধারণ জ্ঞানের আসর, বিতর্ক ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, ক্রিকেট ও ফুটবল প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। এসবের মাধ্যমে গড়ে তোলার চেষ্টা করে দেশের আগামী দিনের নেতৃত্ব। ইসলামী ছাত্রশিবির একমাত্র ছাত্র সংগঠন, যার রয়েছে নিয়মিত প্রকাশনা। কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রকাশনা ছাড়াও শাখা পর্যায় থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হয় বিভিন্ন প্রকাশনাÑ যা একদিকে ছাত্রসমাজের চরিত্র গঠনে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা; অপরদিকে প্রতিভাবান লেখকদের গড়ে ওঠার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
অপসংস্কৃতির করালগ্রাস থেকে যুবসমাজকে রক্ষা এবং সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশের লক্ষ্যে দেশব্যাপী শিবিরের রয়েছে অসংখ্য সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, যারা নিয়মিত প্রশিক্ষণ, ওয়ার্কশপ, প্রযোজনার মাধ্যমে শিল্পী তৈরি করে যাচ্ছে প্রতি বছর। বাংলাদেশের শিক্ষিত, আধুনিক তরুণদের মাঝে ইসলামী আচার-আচরণ, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি চর্চার ব্যাপারে শিবিরের প্রভাব অনেক। বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ করেছে স্টিকার, ঈদকার্ড, ক্লাস রুটিন, নববর্ষের ডায়েরি, ক্যালেন্ডার ইত্যাদি। এছাড়া রয়েছে সায়েন্স সিরিজসহ বিভিন্ন একাডেমিক প্রকাশনা।
জনগণের পাশে ছাত্রশিবির : বিপুল জনসংখ্যা অধ্যুষিত বাংলাদেশ হাজারো সমস্যায় জর্জরিত। দেশের এসব সমস্যায় শিবির পালন করে আসছে গঠনমূলক ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ছাত্রশিবির দেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে সাহসী সৈনিকের মতো। সাধ্যমতো ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে দুর্যোগকবলিত মানুষের মাঝে বিতরণ, শীতবস্ত্র বিতরণ, বিনামূল্যে ওষুধ-চিকিৎসা প্রদান ইত্যাদি কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এদেশের জনসাধারণের মনের মাঝে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে।
ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রশিবির এসব দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের। তাদের বিনামূল্যে বই, খাতা, কলমসহ নগদ অর্থ প্রদান করে তাদের শিক্ষাজীবনকে অব্যাহত রাখা ছিল শিবিরের অন্যতম প্রধান কর্মসূচি। শিবিরের নিয়মিত কর্মসূচির মাঝে রয়েছে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মতো সামাজিক আন্দোলন, যা জনসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি সুন্দর ও নির্মল সমাজ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ইসলামী ছাত্রশিবির ইতোমধ্যে দক্ষ ও সৎ নাগরিক তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। ছাত্রশিবির থেকে বিদায় নেওয়ার পর এ সংগঠনের প্রতিটি জনশক্তি কর্মজীবনে সততা ও দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে। হাসিনার শাসনামলে কোনো আমলা ঘুষ না খেলে অথবা তার সরকারের দেশবিরোধী কোনো কাজে আগ্রহ না দেখালে তাকে শিবির ট্যাগ লাগানো হয়েছে এবং প্রশাসনের এ জাতীয় কর্মকর্তাদের অনেককেই ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে রাখা হয়েছে। এমন অনেক সৎ অফিসারকে নানা ছুঁতায় চাকরিচুত্যও করা হয়েছে। শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ যারা রয়েছেন, তারা দেশের সৎ ও যোগ্য মানুষের নেতৃত্ব চান। তাদের ভাষ্য, ছাত্রশিবিরই সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি করে।
‘আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসূল (সা.) প্রদর্শিত বিধান অনুযায়ী মানুষের সার্বিক জীবনের পুনর্বিন্যাস সাধন করে আল্লাহর সন্তোষ অর্জন।’ এটাই ইসলামী ছাত্রশিবিরের টার্গেট এবং সংগঠনটির ভিশন হচ্ছে, ‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি।’ এ ভিশন বাস্তবায়নে ছাত্রশিবির ৫ দফা কর্মসূচি হাতে নিয়ে মাঠে রয়েছে। সংগঠনটির ভাষ্য, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে দীন কায়েমের লক্ষ্যে ছাত্রশিবির ঠিক করেছে পাঁচ দফা কর্মসূচি। বিজ্ঞানসম্মত এসব কর্মসূচির ওপর ভিত্তি করেই পরিচালিত হচ্ছে ছাত্রশিবিরের সকল কার্যক্রম। কর্মসূচিগুলোর এক নম্বরে রয়েছে দাওয়াত- তরুণ ছাত্রসমাজের কাছে ইসলামের আহ্বান পৌঁছে তাদের মাঝে ইসলামী জ্ঞানার্জন এবং বাস্তব জীবনে ইসলামের পূর্ণ অনুশীলনের দায়িত্বানুভূতি জাগ্রত করা। দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে সংগঠনÑ যেসব ছাত্র ইসলামী জীবনবিধান প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অংশ নিতে প্রস্তুত, তাদের সংগঠনের অধীনে সংঘবদ্ধ করা। তৃতীয় নম্বরে রয়েছে প্রশিক্ষণ- এ সংগঠনের অধীনে সংঘবদ্ধ ছাত্রদের ইসলামী জ্ঞান প্রদান এবং আদর্শ চরিত্রবানরূপে গড়ে তুলে জাহেলিয়াতের সব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মী হিসেবে গড়ার কার্যকরী ব্যবস্থা করা। চতুর্থ নম্বরে ইসলামী শিক্ষা আন্দোলন ও ছাত্র সমস্যা সমাধানÑ আদর্শ নাগরিক তৈরির উদ্দেশ্যে ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন সাধনের দাবিতে সংগ্রাম এবং ছাত্রসমাজের প্রকৃত সমস্যা সমাধানের সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদান। পাঁচ নম্বরে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণÑ অর্থনৈতিক শোষণ, রাজনৈতিক নিপীড়ন এবং সাংস্কৃতিক গোলামি থেকে মানবতার মুক্তির জন্য ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে সার্বিক প্রচেষ্টা চালানো। অর্থাৎ এ পাঁচ দফা কর্মসূচির আলোকে ছাত্রশিবির তার সব কার্যক্রম পরিচালনা করে একটি আদর্শ জাতি গঠন করছে। ছাত্রশিবির একদিকে ছাত্রদের গোলামি থেকে মুক্তির পথ দেখায়; অন্যদিকে অর্থনৈতিক শোষণ থেকে মুক্তি পাওয়ার ফর্মুলাও শেখায়। একটি ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে যে ধরনের সৎ, দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক দরকার, ছাত্রশিবির সেই ধরনের নাগরিকই তৈরি করছে।
সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের (বীরবিক্রম) মোবাইল ফোনে তার এক নেতার সঙ্গে কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি যখন নির্বাচনে অংশ নেয়, তখন ওই নির্বাচন নিয়ে নেতাকে নানা দিকনির্দেশনা দিতে শোনা যায় হাফিজের ওই কথোপকথনে। সেখানে তিনি তার দলের নেতাকে নির্দেশ দেনÑ জামায়াতের নেতার সঙ্গে তাকে বৈঠকের ব্যবস্থা করতে এবং ভোট ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে এজেন্ট দিতে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের শরণাপন্ন হতে। ভোট রক্ষায় তার আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর, ভাইরাল হওয়া ওই কথোপকথনের কোথাও তার নিজ দলের ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিষয়ে কোনো কথা শোনা যায়নি।
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সরকারের একটি দফতর রয়েছে, সেটিকে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর বলা হয়। ওই অধিদপ্তরের উদ্যোগে মাঝেমধ্যে ভেজাল ও পচাবাসি খাবার রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু খাদ্যে ভেজাল বন্ধ হয় না। অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তার ভাষ্য- খাদ্যে ভেজাল এভাবে বন্ধ হবে না। স্থায়ীভাবে খাদ্যে ভেজাল বন্ধ করতে হলে ছাত্রশিবিরের নেতাদের দায়িত্ব দিতে হবে এ অধিদপ্তর পরিচালনা করার জন্য। তারা সৎ, দক্ষ ও সাহসী। ভেজালকারীদের শায়েস্তা করতে সৎ, দক্ষ ও সাহসী লোকের বিকল্প নেই। ছাত্রশিবির সেই কাজটিই করছে।
সন্ত্রাসের শিকার ছাত্রশিবির: তথ্যসন্ত্রাস ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার ইসলামী ছাত্রশিবির। ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যানুয়ায়ী, আজকের দিন পর্যন্ত ইসলামী ছাত্রশিবিরের ত্যাগের সীমা নেই। ১৯৮২ সালের ১১ মার্চ শহীদ সাব্বির আহমেদ থেকে শুরু করে ১৯ জুলাই ২০১৬ সালে শহীদ সাইফুল ইসলাম মামুন পর্যন্ত ২৩৪ জনকে প্রাণ দিতে হয়েছে।
৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উপলক্ষে ইসলামী ছাত্রশিবির এদেশের সব দলমতের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিনন্দন জানিয়ে তাদের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সম্পর্ক মূল্যায়ন করতে গিয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ক্যাম্পাসসমূহের অরাজক পরিস্থিতিতে এক ঐতিহাসিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে ৬ জন ভাইয়ের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ছাত্রশিবির। এ কাফেলা আজ মহিরুহে রূপ নিয়েছে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের গঠনমূলক শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ ছাত্রদের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ঘুণেধরা এ সমাজ ব্যবস্থায় নৈতিকতাসমৃদ্ধ জাতি গঠনের লক্ষ্যে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরির ভিশন সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে এ সংগঠনটি। দীর্ঘ এ পথচলায় আমাদের গতিরোধ করার জন্য বাতিল তার সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে এবং প্রায় তিনশত শহীদের রক্তে রঞ্জিত করেছে বাংলার সবুজ চত্বর।
কিন্তু শত নির্যাতনের পরও এ কাফেলার সাথী সংখ্যা কমেনি। আমরা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে প্রস্তুত, কিন্তু জুলুমের সাথে আপস করতে শিখিনি। তাই হেরার আলোয় উদ্ভাসিত এ কাফেলা মুক্তির মঞ্জিলে ছুটে যাবে বিরামহীন, ইনশাআল্লাহ। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ছিল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ফ্যাসিবাদের দীর্ঘ জুলুম-নির্যাতনের পথ মাড়িয়ে উন্মুক্ত পরিবেশে দেশব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনে এ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। আলহামদুলিল্লাহ।