বেড়েছে সয়াবিন গোশত ও মাছের দাম, কমেছে সবজি ও পেঁয়াজ


৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৩৯

স্টাফ রিপোর্টার : চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি এক লিটার সয়াবিন তেলের মূল্য ছিল সর্বোচ্চ ১৬৬ টাকা। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বোতলজাত ওই সয়াবিন তেলের মূল্য ছিল ১৮০ টাকা কেজি। অর্থাৎ ৩০ দিনের ব্যবধানে কেজিতে মূল্য বেড়েছে ৯ টাকা। এ তথ্য ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)। কিন্তু কেন মূল্য বাড়ছে, এর কোনো ব্যাখ্যা জানেন না ভোক্তারা। সরকার না ব্যবসায়ী কেউ ভোক্তাদের এ বিষয়ে অবহিত করা জরুরি মনে করছেন না। যে যার মতো করে মূল্যবৃদ্ধি করে নাগরিকদের পকেট কাটছেন। এছাড়া খোলা সয়াবিন দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না। খোলা সয়াবিনের দাম প্রতিকেজি ১৫৭ টাকা।
খবর নিয়ে জানা গেছে, বাজারের সামগ্রিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তবে কোনো পণ্যের মূল্য বাড়ছে আবার কোনো পূণ্যের মূল্য কমছে, সব মিলিয়ে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে মানুষের আয় ও ব্যয়ের সঙ্গে কোনো সমন্বয় নেই। কারণ যখন যে পণ্যের মূল্য বেড়েছে, সে পণ্যের মূল্য আর কমছে না। ফলে স্বল্প আয়ের মানুষের এখনো গুনতে হচ্ছে বাড়তি মূল্য।
বাজারে প্রতি কেজি খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা দরে। আর প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা করে। এছাড়া ওজন অনুযায়ী ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকা, কক মুরগি ২৯৮-৩০৮ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ এবং সাদা ডিম ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা করে।
ঢাকার বাজারে আকার ও ওজন অনুযায়ী ইলিশ মাছ ৮০০-২৫০০ টাকা, রুই ৪০০-৬০০ টাকা, কাতল ৩৫০-৫০০ টাকা, কালিবাউশ ৪০০-৭০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০-১০০০ টাকা, কাঁচকি ৪০০ টাকা, কৈ ২২০-১০০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৬০০ টাকা, শিং ৪০০-১০০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০-৮০০ টাকা, বোয়াল ৭০০-১২০০ টাকা, শোল ৭০০-১২০০ টাকা, মেনি ৬০০ টাকা, চিতল ৫০০-১০০০ টাকা, সরপুঁটি ২৫০-৪০০ টাকা, রূপচাঁদা ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির মূল্য অনেকটা সহনশীল। বাজারে প্রতি কেজি টক টমেটো ২৫ টাকা, কাঁচা টমেটো ১৫ টাকা, দেশি গাজর ৩০ টাকা, শিম ৩০-৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৬০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৫০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, উচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, শালগম ২০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁয়াজকলি ২০ টাকা, কচুরলতি ৬০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০-৬০ টাকা, ধনেপাতা ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারের মুদি দোকানের পণ্যের দাম রয়েছে অনেকটাই অপরিবর্তিত। ছোট মসুর ডাল ১৩৫ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, বুটের ডাল ১৩৫ টাকা, মাসকলাই ডাল ১৯০ টাকা, ডাবলি ৭০ টাকা, ছোলা ১২০ টাকা, প্যাকেট পোলাও চাল ১৫০ টাকা, খোলা পোলাও চাল মানভেদে ১১০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেটজাত ও খোলা চিনি কেজি ১২৫ টাকা দামে, দুই কেজির প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মোকামে চালেল পাইকারি দাম কমতির দিকে। কিন্তু খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়েনি।