কমেছে সবজি আলু পেঁয়াজের দাম, বাড়ছে মাছ-গোশত


৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:০০

স্টাফ রিপোর্টার : নিত্যপণ্যের বাজারে এক ধরনের সাপ-লুডু খেলা চলছে। এক পণ্যের মূল্য কমলে আরেকটির বাড়ে। ফলে ভোক্তার ওপর থাকা চাপ থেকেই যাচ্ছে। বাজারে এখন দু’চারটি ছাড়া অন্যসব সবজির মূল্য ৫০ টাকার কম। উচ্চমূল্যের গোল আলু এখন একেবারে সস্তায় বিক্রি হচ্ছে। ঢাকার বাজারে ভালোমানের এক কেজি গোল আলুর মূল্য এখন ২০ থেকে ২৫ টাকা হলেও গ্রামাঞ্চলে গোল আলুর কেজি মাত্র ১০ টাকা। পরিস্থিতি এমন যে জয়পুরহাটের আলু চাষিরা এখন আর আলু ক্ষেত থেকে তুলছেন না। মূল্য বাড়লে তখন তুলবেন। অপরদিকে প্রায় সব মাছ ও গোশতের মূল্য বেশি। প্রতিদিনই মাছের মূল্য বাড়ছে। অবিশ্বাস্য হচ্ছে এক কেজি চিংড়ি মাছের মূল্য ৯০০ টাকা। অথচ দুই মাস আগেও ছিল সাড়ে ৪শ’ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬শ’ টাকা।
খবর নিয়ে জানা গেছে, কয়েক মাস ধরেই চালের বাজার চড়া। আমনের ভরা মৌসুমের পাশাপাশি শুল্ক কমানো ও আমদানিসহ কয়েকটি উদ্যোগ নিলেও কোনো কাজে আসছে না। এক মাস ধরে মানভেদে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৬ টাকা বেড়ে গেছে। এখন খুচরায় প্রতি কেজি সরু বা মিনিকেট চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮২ টাকায় আর নাজিরশাইল মানভেদে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাসখানেক আগে মিনিকেট ৭২ থেকে ৮০ এবং নাজিরশাইলের কেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা ছিল। মাঝারি বা ব্রি-২৮ ও পায়জাম জাতের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৬ টাকায়। এছাড়া মোটা বা গুটি স্বর্ণা জাতের চালের কেজি কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হবে ৬০-৬২ টাকা। মোটাদাগে বাজারে এই দামের নিচে কোনো চাল নেই। যদিও এক মাস আগে মোটা চালের কেজি ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হয়।
এদিকে চালের মতো কয়েক সপ্তাহ ধরে মুরগির বাজার বাড়তি। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়। এর চেয়ে বেড়েছে সোনালি জাতের মুরগির দাম। এ জাতের মুরগির কেজি কিনতে হলে কেজিপ্রতি খরচ পড়বে ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা, যা আগে ৩০০-৩২০ টাকা ছিল। তবে বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কম রয়েছে। বড় বাজারে ফার্মের প্রতি ডজন ডিম কেনা যাবে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। পাড়া-মহল্লার দোকানে ১৪০-১৪৫ টাকা। বাজারে তেলাপিয়া ১৮০-১৯০ টাকা, বড় রুই ৪৫০-৫০০, বড় কাতলা ৪৫০-৫০০, সিলভার কার্প ২০০, ছোট মৃগেল ২০০-২৫০, ট্যাংরা ৫০০, পাঙাশ ২০০, শোল ৫০০-৭০০, টাকি ৩৪০-৩৬০, পাবদা ৪০০, মলা ৪০০, রাজপুঁটি ২০০, দেশি পুঁটি ৩০০, চান্দা ৩০০ ও ইলিশ ৭০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতি কেজি আমদানি করা মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১১০ ও দেশি চিকন মসুর ডাল ১৩০ থেকে ১৩৫ থেকে টাকা, মুগডাল ১৬৫ থেকে ১৭০ ও ছোলার কেজি ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। পেঁয়াজ কেজি কেনা যাচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। প্রতি কেজি বেগুন ৪০ থেকে ৫০, শিম ২০ থেকে ৫০, কাঁচা পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, শসা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মুলা ১৫ থেকে ২০ টাকা, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ২০ থেকে ৩০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০ টাকায় কেনা যাচ্ছে। প্রতি পিস ফুল ও বাঁধাকপি মানভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকা এবং লাউয়ের পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা।