নড়াইলের সাবেক আমীর নূরুন্নবী জিহাদী ও ফেনীর সাবেক আমীর বদরুদ্দোজার ইন্তেকাল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নড়াইল জেলার সাবেক আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সাবেক সদস্য মাওলানা নূরুন্নবী জিহাদী বার্ধক্যজনিত কারণে গত ২৬ জানুয়ারি রোববার বিকাল ৪টায় ৭৯ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র ও ৭ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। গত সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় হবখালী হামিদুন্নেসা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
জানাযায় ইমামতি করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। খুলনা জেলা আমীর মাওলানা আবুল কালাম আযাদ, খুলনা মহানগরী আমীর মাহফুজুর রহমান, মাগুরা জেলা আমীর এম বি বাকের, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা মাস্টার শফিকুল আলম, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল টিম সদস্য আবদুল মতিন বিশ্বাস ও মাওলানা মির্জা আশেক এলাহি, খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, নড়াইল জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, নড়াইল জজকোর্টের পিপি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট ইকবাল হোসেন সিকদার, জেলা প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি মাহবুবুর রশিদ লাভলু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নড়াইল জেলা সভাপতি মাওলানা খাইরুজ্জামান, বিএনপির জেলা সেক্রেটারি ও সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, নড়াইল জেলা নায়েবে আমীর জাকির হোসেন ও সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ কায়সারসহ হাজার হাজার মুসল্লি জানাযায় শরিক হন।
শোকবাণী: মাওলানা নূরুন্নবী জিহাদীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান শোকবাণী দিয়েছেন। শোকবাণীতে তিনি বলেন, মাওলানা নূরুন্নবী জিহাদী আল্লাহর একজন মুখলিস বান্দা ছিলেন। তিনি খুবই সাদাসিধে ও অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতেন। তিনি মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতেন। দীর্ঘ ২০ বছর নড়াইল জেলা জামায়াতের আমীর হিসেবে তিনি সংগঠনের কাজকে অগ্রাধিকার দিতেন। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে নড়াইল জেলায় ইসলামী আন্দোলনের কাজ মজবুত ভিত্তি লাভ করে। তার ইন্তেকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিতপ্রাণ দাঈকে হারালাম। তিনি ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে তার অনেক অবদান রয়েছে। আমি তার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
শোকবাণীতে তিনি আরও বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাকে ক্ষমা ও রহম করুন এবং তার কবরকে প্রশস্ত করুন। তার গুনাহ-খাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তার জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তার শোকাহত পরিবার-পরিজনদের এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।
এ জি এম বদরুদ্দোজার ইন্তেকাল : জামায়াতে ইসলামী ফেনী জেলার সাবেক আমীর এ জি এম বদরুদ্দোজা দীর্ঘদিন যাবত ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৫ জানুয়ারি ভোর পৌনে ৬টায় ৭২ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ১ পুত্র ও ৫ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। ২৫ জানুয়ারি দুপুর ২টায় ফেনী আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে ১ম জানাযা এবং সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিটে সিলোনিয়া হাইস্কুল মাঠে ২য় জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, তিনি আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা, শাহীন একাডেমি ফেনী, দাগনভূঞা একাডেমি স্কুল, ছিলোনীয়া মহিলা মাদরাসা, ফুলগাজী দারুল উলুম মাদরাসা, ছিলোনীয়া দাতব্য চিকিৎসালয়, ফেনী আঞ্জুমানে ফালাহিল মুসলেমিন ট্রাস্ট, ফেনী ইসলামিক সোসাইটি ট্রাস্ট, ছিলোনীয়া ফালাহিল মুসলিমিন মজলিস ট্রাস্ট, দাগনভূঞা সিরাজুম মুনিরা ট্রাস্ট এবং ফুলগাজী ইসলামিক কাউন্সিল ট্রাস্টসহ বহু প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
শোকবাণী: এ জি এম বদরুদ্দোজার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান শোকবাণী দিয়েছেন। শোকবাণীতে তিনি বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তার শোকাহত পরিবার-পরিজনদের এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।