শিবিরকে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে : মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান


১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:০৭

বগুড়া সংবাদদাতা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন সৎ, যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বের অপেক্ষায় আছে। গণমানুষের সেই জনআকাক্সক্ষা পূরণের জন্য জামায়াত-শিবিরকে আবারো ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে। আল্লাহ ও জনগণ জামায়াতকে ক্ষমতা দিলে আমরা রাজা না হয়ে জনগণের সেবক হবো, ইনশাআল্লাহ। এই জমিনে ইসলাম বিজয়ের পতাকা না উড়ানো পর্যন্ত যে কোনো ত্যাগ ও কুরবানি দিতে জামায়াত-শিবিরের প্রতিটি নেতা-কর্মী সবসময় প্রস্তুত আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে, ইনশাআল্লাহ।
গত শনিবার (১১ জুলাই) বগুড়ার টিটু মিলনায়তনে সকাল থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখা আয়োজিত ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মী, সাথী ও সদস্যদের মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বগুড়া শহর জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদ্যবিদায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও জামায়াতের বগুড়া অঞ্চল প্রধান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। বগুড়া শহর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আ স ম আব্দুল মালেক এবং সাবেক ছাত্রনেতা হেদাইতুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা আলমগীর হোসাইন, সাবেক শিবির নেতা মিজানুর রহমান, নুরুল আমীন সরকার, আব্দুস সালাম তুহিন, আনিছুর রহমান, অধ্যাপক রফিকুল আলম, মো. সেলিম রেজা, আব্দুল কাদিম, আলাউদ্দীন সোহেল, আল আমিন, আজগর আলী, ইকবাল হোসেন, এডভোকেট নুরুল ইসলাম আকন্দ, মেহেদী হাসান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, যেই ফ্যাসিবাদী শক্তি জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল, আজ তারাই জনগণের কাছে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। জামায়াত-শিবির সকল বাধা অতিক্রম করে তার লক্ষ্যপানে এগিয়ে যাচ্ছে। যতই উঁকিঝুঁকি মারুক পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিবাদ আর কখনোই দেশে ফিরতে পারবেনা। এমনকি যারা ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন তারা কোনোদিনও সফল হতে পারবে না। আগামী দিনে এ জাতিকে সৎ, দক্ষ, চাঁদাবাজমুক্ত নেতৃত্ব উপহার দিতে আপনাদের সামনে এগিয়ে আসতে হবে।
মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, শিবিরকে বাদ দিয়ে জুলাই বিপ্লবের কোনো ইতিহাস লেখা হতে পারে না। শাহাদাতের তামান্না নিয়ে রাজপথে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার প্রাণের বিনিময়ে যে ফ্যাসিবাদকে তাড়ানো হয়েছে, তা আর কোনোদিন এ জমিনে ফিরে আসতে পারবে না। ইসলামী ছাত্রশিবির প্রয়োজনে আবারো শাহাদতের শপথ নিয়ে রাজপথে দাঁড়িয়ে যে কোনো ফ্যাসিবাদকে কবর দেবে, ইনশাআল্লাহ।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক আড়াই হাজারের অধিক নেতাকর্মীর এ মিলনমেলা শেষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বগুড়া শহর প্রদক্ষিণ করে। বিকেলে জাতীয় ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।