ব্যয় বৃদ্ধি নয়, অপারেটিং কস্ট কমান

অর্থনীতি গতি পাবে


১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৩৫

॥ উসমান ফারুক ॥
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর অর্থনীতির রক্তক্ষরণ বন্ধ হলে কিছুটা স্বস্তি মিলতে শুরু করবে- এ আশায় বুক বেঁধেছিল মূল্যস্ফীতির চাপে চিড়েচ্যাপ্টা হওয়া সাধারণ মানুষ। দুর্নীতি, অপচয়, আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের মতো অর্থনীতির দগদগে ক্ষতগুলো সারতে শুরু করেছিল। রেমিট্যান্সপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় রিজার্ভ বাড়ছে। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর এ সময়ে সরকারি ব্যয়সংকোচন নীতির বদলে খরচ বাড়ানোর মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন খরচের আট হাজার কোটি টাকা যাবে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় ও সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা যাবে প্রতি বছর কর্মচারীদের পোশাক ও সাজসজ্জা বাবদ। সেই খরচের টাকার জোগান দিতে ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে দুর্ভোগ আরো বাড়বে কষ্টে থাকা সাধারণ মানুষের। স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া দুর্নীতিবাজ, অসৎ কর্মচারীদের পুষতে এ বাড়তি খরচের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে জনগণের ওপর।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাতের আঁধারে নির্বাচন, ব্যাংক লুটপাট, অর্থ পাচার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের যাবতীয় অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের পক্ষে প্রকাশ্যে সহযোগিতা করেছিল প্রশাসনের আমলারা। তথ্য গোপন, ভুয়া তথ্য তৈরি ও স্বৈরাচারের হাত শক্তিশালী করা দুর্নীতিবাজ এসব কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এখন এসব অসৎ কর্মচারীকে পুষতে বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে ছাত্র-জনতার রক্তে ভেজা বিপ্লবে আসা সরকার।
অবিলম্বে প্রশাসন থেকে প্রথম ধাপে অন্তত ৫০ শতাংশ দুর্নীতিবাজ কর্মচারীকে বরখাস্ত ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তাদের বাদ দিয়ে বর্তমান বেতনেও লাখো তরুণ, সৎ ও দেশপ্রেমিককে সরকারি চাকরি দেয়া সম্ভব। এজন্য উচ্চ বেতনওয়ালাদের বাধ্যতামূলক অবসর দিয়ে মাথাভারী প্রশাসনের ব্যয়ের চাপ কমানো যাবে বলে মনে করছেন তারা। অন্যদিকে বাজেট ঘাটতি কমাতে বিলাসী সব ধরনের প্রকল্প যে অবস্থায় আছে, সেই অবস্থায়ই বন্ধ করা প্রয়োজন। এটি করলে সরকারকে বাড়তি ভ্যাট আদায় করার প্রয়োজন হবে না। এভাবে খরচ কমিয়ে আনতে পারলে ভ্যাট বাড়ানোর দরকার হবে না।
আর সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়াতে এনবিআরকে দুর্নীতিবাজদের বিদায় দিয়ে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। অর্থ পাচার রোধ, অপচয় বন্ধ ও অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দিয়ে খরচ কমাতে পারে সরকার। প্রয়োজনে সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করে টাকার জোগান করতে পারে। সরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে শেয়ার বিক্রি করেও টাকার চাহিদা মেটাতে পারে সরকার।
কেন ভ্যাট বাড়াচ্ছে সরকার
চলতি অর্থবছরের জন্য ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পাস করা হয়। এটি আগের অর্থবছরের চেয়ে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এতে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়। মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয় ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। লুটপাটের এ বাজেট বাড়িয়ে ঘাটতি ধরা হয়েছিল দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ এ বিশাল অঙ্কের টাকা ধার করা হবে উচ্চ সুদে।
সরকারের যখন আয়ের চেয়ে ব্যয় বাড়ানোর পরিকল্পনা করে, তখন বাজেট ঘাটতি তৈরি হয়। অর্থের জোগান না করে ঘাটতি বাজেট বাস্তবায়ন করতে এক লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্র থেকে ধার নেয়ার পরিকল্পনাটি রেখে যায় ফ্যাসিস্ট সরকার। আর বিদেশি ঋণ পাওয়া যাবে ধরা হয় ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
বাজেটের মধ্যে ৫ লাখ ৬ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা হলো পরিচালন ব্যয়। অর্থাৎ সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা, দেশি-বিদেশি ঋণ সুদ পরিশোধে চলে যাবে। আর আয়ের মধ্যে জনগণের কাছ থেকে কর, ভ্যাট ও শুল্কের নামে ধরা হয় ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা সরাসরি জনগণ দেবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সর্বশেষ হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে এনবিআর গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৬২ শতাংশ কম রাজস্ব আহরণ করতে পেরেছে। গত অর্থবছরের এ সময়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। গত ৫ মাসে রাজস্ব আদায়ে ৪২ হাজার কোটি টাকার ঘাটতিতে রয়েছে। এ ঘাটতি পূরণ করতে যেসব খাত থেকে সরকার সহজেই কর আদায় করতে পারে, সেখানেই ভ্যাট বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে ১০০ টাকার মোবাইল রিচার্জ করলে সরকারের খাতায় চলে যাচ্ছে ৫৬ টাকা। একশ’ টাকা রিচার্জ করলে জনগণ পাচ্ছে মাত্র ৪৪ টাকা। বাকি টাকা কেটে নিচ্ছে সরকার।
ভ্যাট না বাড়িয়ে যা করতে পারতো সরকার
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ভ্যাট বাড়ানোর শর্ত দিয়েছে আমলাদের পক্ষ থেকে এমনটি প্রচার করা হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে আইএমএফ কখনোই বাংলাদেশের সরকারকে এমন কোনো শর্ত দেয়নি। আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে থাকা দেশপ্রেমিক সরকারি কর্মচারী সূত্রগুলো বলেছে, আইএমএফ বার বার বলেছে, বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনতে। তারা বলেছে, বাজেট ঘাটতি না কমালে সরকারের মুদ্রা বাজার অস্থিতিশীল হবে। টাকার মান আরো কমে যাবে। মূল্যস্ফীতি বাড়তেই থাকবে। এতে জনদুর্ভোগ বাড়বে। অর্থনীতি স্থিতিশীল হবে না।
বাজেট ঘাটতি কমানোর প্রথম সুযোগ রয়েছে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)র দুই লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার টাকার ব্যয় কমিয়ে আনা। এ খাতে এমন প্রকল্পও আছে, যেখানে মাত্র কয়েক লাখ টাকা দিয়ে শুরু করা হয়েছে। এটি করা হয়েছে প্রকল্প টিকিয়ে রাখতে। আবার ১০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রকল্প নেয়া হয়েছে, যেগুলো শুরুই হয়নি। আবার বড় বড় অনেক প্রকল্প আছে, যার অর্থনৈতিক কোনো সুবিধা নেই। রাজনৈতিক কারণে খরচ বেশি দেখিয়ে নেয়া হয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এসব প্রকল্পের অন্তত ৫০ শতাংশ ছেঁটে ফেলা যায়। কিছু স্থগিত করে রাখা যায়। বিদেশ থেকে কম সুদের অর্থ পেলেও এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে চীনে আগ্রহে থাকা প্রকল্প রয়েছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিলে অর্থের সমস্যাটি থাকবে না।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, সরকার ভ্যাট না বাড়িয়ে খরচ কমাতে পারতো। সেই সুযোগটি আছে। একেবারে দরকারি ছাড়া সব প্রকল্প স্থগিত ও বাতিল করতে পারে। আইএমএফ তো বলেছে, ঘাটতি কমাতে। খরচ কমিয়ে আনলেই তো ঘাটতি থাকবে না। এটি ছিল সবচেয়ে সহজ উপায়। এতে জনগণের ওপর নতুন করে কোনো চাপ আসতো না। আইএমএফকেও সরকার ও আমলারা বোঝাতে পারতো যে, বাংলাদেশ খরচ কমিয়ে বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনবে, তাহলেও হতো।
এর বাইরেও আরেকটি সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও সাবেক আমলারা। দেশপ্রেমিক এসব আমলা বলেন, অর্থনীতি তো নিজের সক্ষমতায় নেই। সবখানে লুটপাট করা হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয়ও বেতন-ভাতা বাড়ছে না বছরের পর বছর। সেখান থেকে অর্থনীতি এখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এ সময়ে সরকারি আমলাদের বেতন-ভাতা, সাজসজ্জা ও গাড়ি কেনার খরচ বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। মূল্যস্ফীতির চাপ সরকারি কর্মচারীদের মতো সাধারণ জনগণও পোহাচ্ছে। এখন বেতন বাড়ানো যাবে না। খরচ না বাড়িয়ে দুর্নীতিবাজ অসৎ কর্মচারীদের বরখাস্ত করা জরুরি।
এতে সরকারের পরিচালন ব্যয় অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। আগের সরকার প্রয়োজন ছাড়াই শুধু দলীয় বিবেচনায় অনেক পদ তৈরি, পদোন্নতি দিয়েছে। এসব খাতে খরচ বেড়েছে বেতন-ভাতা দিতে গিয়ে। এখন গণতন্ত্র, প্রশাসনে জবাবদিহি আনতে দুর্নীতিবাজদের তালিকা করে সবাইকে বরখাস্ত করা প্রয়োজন। ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মা রেখে প্রশাসনে কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না।
অর্থনীতির এমন চাপে কী করে অন্য দেশ
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ যখন সরকারে ছিলন না, তখনো করহার না বাড়িয়ে কর নেটওয়ার্ক অর্থাৎ কর দেয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা বাড়ানোর ওপর জোর দিতেন। সরকারের দায়িত্বে এসে এনবিআরের বিভিন্ন আলোচনায় একই মত প্রকাশ করে আসছিলেন। বলেছিলেন, কার ফাঁকি রোধ করতে করতে হবে। এনবিআরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। কিন্তু সেটি না করে ভ্যাট বাড়ানোর মতো পদক্ষেপ নিলেন।
আইএমএফের ঋণ চুক্তিতে বলা হয়েছে, এনবিআরকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতে কর আহরণ ০.৫ শতাংশ পয়েন্ট, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আরও ০.৫ শতাংশ পয়েন্ট এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ০.৭ শতাংশ পয়েন্ট বাড়াতে হবে। গত ডিসেম্বরে ঢাকা সফরের সময়ে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে এনবিআর চলতি অর্থবছরের জন্য আগের দেয়া শর্ত শিথিল করে কর-জিডিপি অনুপাত ০.৪ শতাংশ পয়েন্ট বাড়ানোর সুযোগ চেয়েছিল।
আইএমএফ সেই প্রস্তাবে রাজি হলেও গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরেও এনবিআর শর্ত পূরণ করতে না পারায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাড়তি আরও ০.২ শতাংশ পয়েন্ট বাড়ানোর শর্ত জুড়ে দেয়। গত অর্থবছরে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট অনুবিভাগ ছাড়া আয়কর ও শুল্ক অনুবিভাগ আইএমএফের শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এ নিয়েও আইএমএফের আগের সফরে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় কর্মকর্তাদের।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে আয়কর অনুবিভাগে ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য ছিল; আর আদায় করতে পারে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। এর পেছনের কারণটি ছিল, অর্থ পাচার রোধ, সক্ষমতা বৃদ্ধি, কর ফাঁকি কমানো, অনিয়ম ও দুর্নীতির মতো বিষয়গুলোয় নজর দেয়নি এনবিআর। অন্যদিকে ব্যয় না কমিয়ে আনায় আগামী জুনের মধ্যে সরকারকে অতিরিক্ত ১২ হাজার কোটি টাকা জোগাড় করতে হবে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, ১২ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের চাপে রাজস্ব বাড়াতে হবে কেন। সরকার বলছে, এর মাধ্যমে সরকারের আয় বাড়াচ্ছে। তারা আয় বাড়াচ্ছে না, আমার খরচ বাড়াচ্ছেন।
সমাধানের উপায় তুলে ধরে তিনি বলেন, এতদিন তো উন্নয়নের সাগরে ভাসছিল দেশ; এখন খরচ কমিয়ে দিলেই পারে। ব্যবসায়ীদের ব্রিজ, রোড, কালভার্ট দরকার নেই। তারা চায় ঠিকঠাক বিদ্যুৎ পাক। গ্যাস পাক। আপনি (সরকার) বিদ্যুৎ দেন, গ্যাস দেন, আমরা দরকারে ফেরি করে আমাদের পণ্য সরবরাহ করব। এসব প্রকল্পের খরচ কমান। এডিপির খরচ কমিয়ে দুই লাখ কোটি টাকায় নামিয়ে ফেলেন। তাহলেই তো হয়ে যায়।
খরচ কমানোর পথে না হেঁটে ভ্যাট বাড়ানোর সমালোচনা করে রিজওয়ান বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার কেন ৪২ কোটি টাকার বাড়ি লাগবে? কেন মুখ্য সচিবের বাসায় ৩৭ জন কর্মচারী প্রয়োজন। কেন কেবিনেট সেক্রেটারির বাসায় দুইটা সুইমিং পুল থাকবে। এ মুহূর্তে সরকারের ৩০ শতাংশ ব্যয় কমানো সম্ভব বলে মন্তব্য করেন এ ব্যবসায়ী।
সরকারি চাকরিজীবীরা নিজেদের সুবিধা কমাবেন না বলেই আইএমএফের সঙ্গে দরকষাকষি করতে পারেননি মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্বলতা হলো দরকষাকষিতে। সরকারের পরিচালন ব্যয় কমানোর পক্ষে মত দিয়েছেন রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র‌্যাপিড) চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাকও। তিনি বলেন, পৃথিবীতে যেসব দেশে এ ধরনের ক্রাইসিস হয়, তারা যেটা করে, তা হলো- তার অপারেটিং কস্ট কমিয়ে দেয়। কোনো কোনো দেশে এটি ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমিয়ে ফেলা হয়। এমনও হয়েছে যে, সরকার খরচ কমাতে তার বিল্ডিং বিক্রি করে ভাড়া বাসায় অফিস নেয়। কিন্তু বাংলাদেশে এমন এক ফোর্স আছে, যার ফলে অপারেটিং কস্ট কমানো যাচ্ছে না। অপারেটিং বাজেট কমানো যেত। অনেক জায়গায় হাত দেয়ার ছিল।
দেশপ্রেমিক অর্থনীতিবিদদের অভিমত সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করে ব্যয় না বাড়িয়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে অপারেটিং কস্ট তথা খরচ কমাতে পারলেই ভঙ্গুর অর্থনীতি কিছুটা মেরামত হতে পারে, কমতে পারে মূল্যস্ফীতি। তখন সাধারণ মানুষ মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা সরকার দেশের সাধারণ মানুষের কল্যাণেই অর্থনীতির নীতি ও কর্মসূচি গ্রহণ করবে।