তাবলিগের প্রতি সরকারের নতুন নির্দেশনা
২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩৭
স্টাফ রিপোর্টার : তাবলিগ জামাতের বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যকার উত্তেজনার ভেতরে কাকরাইল মসজিদে শবগুজারি (রাত্রিযাপন) পালন ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা নিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত ২৯ ডিসেম্বর রোববার জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মাওলানা জুবায়েরপন্থি ও মাওলানা সাদপন্থিরা আগে থেকে জেলা ও উপজেলায় যেসব মসজিদে নিজ নিজ তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিবদমান পক্ষদ্বয় সংশ্লিষ্ট মসজিদে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এর আগে দুই পক্ষের সংঘাতের জেরে ২৬ ডিসেম্বর মাওলানা সাদপন্থিদের কাকরাইল মসজিদে সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় সরকার। একই সঙ্গে জুবায়েরপন্থিদের কাকরাইল মসজিদের আশপাশে বড় জমায়েত করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল।
এদিকে ২৯ ডিসেম্বর তাবলিগ জামাতের কার্যক্রমে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপণে বিষয়ে উভয়পক্ষ একমত পোষণ করেছে। এ বিষয়ে শূরায়ি নেজামের (জুবায়েরপন্থি) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি আদেশের ভেতরে কাকরাইল মসজিদের বিষয়ে আলাদা করে কিছু বলা হয়নি। আগে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, তার সবই বলবত আছে। প্রশাসনের কাছে জেলা উপজেলা পর্যায়ে কোথাও কোথাও সমস্যার খবর এসেছে, সে কারণে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (সাদপন্থি) মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম জানান, আমরা কাকরাইল মসজিদের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী সরকারের কাছে বৈষম্যবিরোধী সিদ্ধান্ত আশা করছি। সারা দেশে জুবায়েরপন্থিরা বিভিন্ন মারকাজ ও মসজিদ দখল, আমাদের সাথীদের আমলে বাধা প্রদান, ভয়াবহ জুলুম, দেশব্যাপী মব জাস্টিস ও ম্যাসাকার চালাচ্ছে। আমরা আশা করছি এ প্রজ্ঞাপনের দ্বারা এ বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে।
প্রসঙ্গত, আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম পর্ব এবং ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এর আগে থেকে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে চলে আসা বিভেদ ও দ্বন্দ্ব এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। একপক্ষ আরেক পক্ষকে বাতিল ও নানা বক্তব্যের জেরে এ দ্বন্দ্ব চরমে রূপ নিয়েছে। গত ১৭ ডিসেম্বর ভোরে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় জুবায়েরপন্থিদের পক্ষ থেকে সাদপন্থিদের ২৯জনকে শনাক্ত ও শত শত অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা হয়। এ মামলার শনাক্ত ৫ নম্বর আসামি মুয়াজ বিন নূর ও ৬ নম্বর আসামি জিয়া বিন কাসিম গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।