সংগঠন সংবাদ


২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:০০

ঢাকা জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলন
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুস্পষ্ট ঘোষণা দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সরকার নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। সুস্পষ্ট কথা এখনো বলেননি। সংস্কারকে দ্রুত এগিয়ে নিন। ক্রমান্বয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণাটাও দিয়ে দিন। ঘোষণাটা হলে মানুষের মধ্যে একটি আস্থা তৈরি হবে। এ সরকার আবার মইন উ সরকারের মতো নতুন দল গঠন করে ক্ষমতায় আসার অভিলাস প্রকাশ করবে না। এ সরকারের কেউ যদি রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত হতে চান, তাহলে তাদের এ সরকার থেকে চলে যাওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, আমরা প্রতিবেশীদের প্রতি অন্যায়ের হাত বাড়াতে চাই না। প্রতিবেশীরাও আমাদের প্রতি হাত বাড়ালে বরদাশত করা হবে না বলে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। চাঁদাবাজি বন্ধ করা ও বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
গত ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার ঢাকা জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে কেরানীগঞ্জে ইকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও ঢাকা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আফজাল হোসাইনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল মান্নান, এডভোকেট মশিউল আলম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আমীর আব্দুল জব্বার, নরসিংদী জেলা আমীর মাওলানা মোছলেহ উদ্দিন, মুন্সীগঞ্জ জেলা আমীর আজম রুহুল কুদ্দুস, ঢাকা জেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ শাহিনুল ইসলাম, ঢাকা জেলা জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ কামাল হোসাইন, মো. শাহাদাত হোসাইন, কবিরুজ্জামান, হাসান মাহবুব, অধ্যক্ষ হারুন অর রশদি, দেলোয়ার হোসাইন, আব্দুর রহিম মজুমদার, মাহবুবুর রহমান, আবু সুফিয়ান প্রমুখ। সম্মেলন হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি ও স্লোগানে মুখরিত ছিল। সকাল থেকেই নেতাকর্মী বিভিন্ন ব্যানার নিয়ে মিছিল সহকারে হাজির হয়েছে।
মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে কর্মী সম্মেলন
আগামীর বাংলাদেশকে তরুণদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, সাড়ে ১৫ বছর আমরা দফায় দফায় অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। কিন্তু সেই আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটাতে পারিনি। স্বৈরাচারকে আমরা তাড়াতে পারিনি, বিদায় করতে পারিনি। আমি গর্বিত আমাদের সন্তানরা সেই কাজটি করে দেখিয়েছে। আমি আমাদের সন্তানদের ভালোবাসা উপহার দিচ্ছি। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। জাতির পক্ষ থেকে তাদের স্যালুট জানাচ্ছি। আল্লাহ তায়ালার সাহায্যে তারা অসাধ্য সাধন করেছে। এরকম সন্তান পেয়ে জাতি গর্বিত। ইনশাআল্লাহ আগামীর বাংলাদেশ আমরা তাদের হাতে তুলে দিতে চাই।
গত ২১ ডিসেম্বর শনিবার সকালে জেলা সরকারি হাইস্কুল মাঠে জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মো শাহেদ আলী। অনুষ্ঠান যৌথভাবে পরিচালনা করেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইয়ামির আলী ও সহকারী সেক্রেটারি হারুনুর রশিদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর ও কে›ন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সিলেট মহানগরী জামায়াতের আমীর মো. ফখরুল ইসলাম ও সিলেট জেলা আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলার সাবেক আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মুতলিম ও আবদুল মান্নান, মৌলভীবাজার বিএনপির জেলা শাখার আহ্বায়ক ফয়জুল কবির ময়ুন, হেফাজতে ইসলামীর জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবদুস সবুর, মৌলভীবাজার জেলার নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী সভাপতি শরিফ মাহমুদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও পল্টন থানা আমীর শাহীন আহমদ খান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আমিনুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের মৌলভীবাজার শহর শাখার সভাপতি তারেক আজিজ, ছাত্রশিবিরের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি হাফেজ আলম হোসাইন, বড়লেখা উপজেলার সাবেক আমীর মো. কমর উদ্দিন, মৌলভীবাজার পৌর শাখার আমীর ও জেলা কর্মপরিষদ সদস্য হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলা আমীর মো. ফখরুল ইসলাম, বড়লেখা উপজেলার আমীর মো. এমদাদুল ইসলাম, রাজনগর উপজেলার আমীর আবু রাইয়ান শাহীন, কুলাউড়া উপজেলার আমীর অধ্যাপক আব্দুল মুনতাজিম, জুড়ী উপজেলার আমীর আব্দুল হাই হেলাল, শ্রীমঙ্গল উপজেলার আমীর মাওলানা ইসমাঈল হোসেন, কমলগঞ্জ উপজেলা আমীর মো. মাসুক মিয়া।
শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি ও চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) সংসদীয় আসনের নমিনি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন মানবিক কাজে এগিয়ে রয়েছে। সিলেট ও ফটিকছড়িসহ সারা দেশে যেকোনো দুর্যোগে জামায়াতে ইসলামী সবার আগে এগিয়ে এসেছে। দেশের যেকোনো ক্রান্তিকালে জামায়াতে ইসলামী সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, এদেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই। আমরা হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে এনে একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ব। জামায়াতে ইসলামী শোষণহীন ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে চায়।
গত ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকালে ফটিকছড়ির নারায়ণহাট জুজখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সামাজিক সংগঠন ‘মানবিক উত্তর ফটিকছড়ির’ উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণপূর্বক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘মানবিক উত্তর ফটিকছড়ির’ সমন্বয়ক বিশিষ্ট সমাজসেবক হাসান শামসুদ্দিনের পৃষ্ঠপোষকতায় ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নূর মুহাম্মদ আল কাদেরীর সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র উপহার প্রদানের অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার। উদ্বোধক ছিলেন ভূজপুর থানা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম। বিশিষ্ট সংগঠক ওসমান গণির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চকবাজার থানা জামায়াতের আমীর আহমেদ খালেদুল আনোয়ার, জিয়াউল হক জিয়া, এম এ মান্নান, মাওলানা মহিউদ্দিন আহমেদ, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, ইয়াসিন আরফাত প্রমুখ।
চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের মজলিসে শূরার অধিবেশন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, মানুষকে আমরা মানুষের মর্যাদা দিতে চাই। দেশ ও জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে দলমত-নির্বিশেষে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য দরকার। বিভক্ত জাতি কখনো উন্নতি করতে পারে না। দল-ধর্মের ব্যবধান না করে দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে পরিচালিত দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্য অটুট রাখার বিকল্প নেই। গত শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে দেওয়ান বাজারস্থ বিআইএ মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের মজলিসে শূরার এক অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি ড. আবু বকর রফিক আহমদ, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবু তাহের, বায়তুশ শরফ কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ ড. মাওলানা সাইয়্যেদ আবু নোমান, নগর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খায়রুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য ডা. ছিদ্দিকুর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, নগর কর্মপরিষদ সদস্য আবু বকর ছিদ্দিক ও আবু হেনা মোস্তফা কামাল, অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসাইন, হামেদ হাসান এলাহী, কোতোয়ালি থানা আমীর আমির হোসাইন, বন্দর থানা আমীর মাহমুদুল আলম, চান্দগাঁও থানা আমীর মুহাম্মদ ইসমাইল, চকবাজার থানা আমীর আহমদ খালেদুল আনোয়ার, পাঁচলাইশ থানা আমীর মাহবুবুল হাসান রুমি, সদরঘাট থানা আমীর এম এ গফুর, আকবরশাহ থানা আমীর অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান চৌধুরী, বায়েজিদ থানা আমীর মাওলানা জাকির হোসাইন প্রমুখ।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যুব সম্মেলন
কুমিল্লা সংবাদদাতা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, ফ্যাসিজম বিদায় হয়ে গেছে। ইতিহাস বলে, ফ্যাসিজম, ফ্যাসিবাদ বিদায় হলে আর ক্ষমতায় ফিরে আসে না। এ দেশেও সেটা হবে না। বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। ফ্যাসিবাদী আ’লীগ বিগত ১৬ বছর তাদের শাসনামলে গোটা দেশকে একটি সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, তাঁবেদার ও অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল। দেশের মুক্তিকামী ছাত্র-যুবক ও সাধারণ জনতা এ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মাধ্যমে হাসিনা ও তার দোসরদের দেশ থেকে পালাতে বাধ্য করেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে। ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন হবে, সেটাই জাতির প্রত্যাশা এবং জামায়াতের দাবি। গত শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার এইচ জে সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আবদুল হালিম, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মু. জাহিদুল ইসলাম, জামায়াতের কুমিল্লা মহানগরী আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার সাবেক আমীর মু. আবদুস সাত্তার, বর্তমান আমীর এডভোকেট মু. শাহজাহান, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মু. জাহিদুর রহমান, জামায়াতের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি ড. সরওয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী, কুমিল্লা মহানগরী সেক্রেটারি মাওলানা মু. মাহবুবুর রহমান। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমীর মাহফুজুর রহমান ও সেক্রেটারি বেলাল হোসাইনের পরিচালনায় যুব সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক সৈয়দ আবদুল্লাহ সালেহ, ব্যারিস্টার সৈয়দ আবদুল্লাহ মু. তাসবীর, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ভিপি সাহাব উদ্দিন, পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা মু. ইব্রাহিম, কুমিল্লা জেলা পূর্ব শিবির সভাপতি নাজমুল হাসান, ঢাকাস্থ চৌদ্দগ্রাম ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মু. আইউব আলী ফরায়েজী, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুব বিভাগের মু. জয়নাল আবেদীন, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি আবদুর রহিম, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য জয়নাল আবেদীন পাটোয়ারী, নায়েবে আমীর কাজী মো. ইয়াছিন, পৌর সেক্রেটারি মোশারফ হোসেন ওপেল। কুরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা এম কে রায়হান। এ সময় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের জামায়াত-শিবির, যুব বিভাগের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
আহসানুল হক জুয়েল, কিশোরগঞ্জ : বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গত ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি এডভোকেট খালেদ হাসান জুম্মান।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক মো. রমজান আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, মাওলানা নাজমুল ইসলাম, অধ্যাপক মোসাদ্দেক ভূঁইয়া। বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা মুহতাসিম বিল্লাহ, মাওলানা নজরুল ইসলাম প্রমুখ। সম্মেলন শুরুর আগে কিশোরগঞ্জ শহরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি করেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা। সম্মেলনে ২০২৫-২৬ সেশনের জন্য ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি নির্র্বাচিত হন এডভোকেট খালিদ হাসান জুম্মান। সহ-সভাপতি যথাক্রমে হাবিবুর রহমান, শফিকুল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার ও শফিকুল ইসলাম দুলাল। সহ-সাধারণ সম্পাদক (মহিলা) মাহমুদা রাকিবা, সাংগঠনিক সম্পাদক- রবিউল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক হযরত আলী, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, প্রচার ও প্রযুক্তি সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম, শিক্ষা প্রশিক্ষণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নূরুল আমিন, আইন ও আদালত সম্পাদক শহীদুল ইসলাম দুলাল, সাহায্য ও পুনঃবাসন সম্পাদক ওমর ফারুখ, কর্মসংস্থান সম্পাদক জহিরুল ইসলাম-২, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক শিবলী আহাম্মেদ। এছাড়া কার্যকরী সদস্যগণ হলেনÑ আব্দুল কাদির, জুবায়ের আহাম্মেদ, জহিরুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, জমির উদ্দিন, সাইদুর রহমান, আলীম উদ্দিন, ইয়াছিন মিয়া, আবু নাঈম, ফরহাদ, বাহার মিয়া, মো. শিপন, খাইরুল ইসলাম, লোকমান হোসেন, ডা. ইসহাক মিয়া। মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শেষ হয়।
নীলফামারী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন জুয়েল সভাপতি তৌহিদ সম্পাদক নির্বাচিত
নীলফামারী সংবাদদাতা : প্রভাষক মনিরুজ্জামান জুয়েলকে সভাপতি এবং এডভোকেট তৌহিদুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নীলফামারী জেলা শাখার ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন শেষে সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৫-২৬ সেশনের জন্য এ কমিটি গঠন করা হয়। এর আগে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক মনিরুজ্জামান জুয়েলের সভাপতিত্বে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা ও জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আবুল হাসেম বাদল। এছাড়া বক্তব্য রাখেন নীলফামারী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আন্তাজুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি প্রভাষক ছাদের হোসেন, ইসলামী ছাত্রশিবির নীলফামারী শহর শাখার সভাপতি শফিকুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নীলফামারী সদর উপজেলা শাখার সভাপতি নুরুল ইসলাম, শহর শাখার সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, ডোমার উপজেলা শাখার সভাপতি সোহেল রানা, ডিমলা উপজেলা সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, জলঢাকা উপজেলা শাখার সভাপতি রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।
মুরাদনগরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীকে জামায়াতের সহায়তা
মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা: মুরাদনগর সদরে ঢাকা ফার্মেসিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যবসায়ীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মুরাদনগর উপজেলা শাখা। সম্প্রতি ঢাকা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম রুবেলের হাতে ত্রিশ হাজার টাকা তুলে দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা জেলা মজলিসে শূরা সদস্য ও উপজেলা আমীর আ ন ম ইলইয়াস। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবসময়ই মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে। আমরা আমাদের দলের স্থানীয় তহবিল থেকে কিছু আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ভাইটির পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। যদিও ক্ষতির তুলনায় এটা তেমন কিছু নয়, তবুও এ বিপদ মুহূর্তে উনার প্রতি আপাতত একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ামাত্র। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মুরাদনগর উপজেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি ও সদর ইউনিয়নের আমীর মাহবুব আলম মুন্সী, উপজেলা বায়তুলমাল সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের সেক্রেটারি মাওলানা আবু বকর সরকার, সদর ইউনিয়নের টিম সদস্য জালাল উদ্দীন ও নাজমুস সাকিব তন্ময়, ওমর ফারুক সরকার, নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের টিম সদস্য জিয়াউল হক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুরাদনগর উপজেলার সমন্বয়ক সিয়াম খান, আব্দুর রহমান উজ্জ্বল, মেহেদী হাসান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে ঢাকা ফার্মেসিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে দোকানে থাকা প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে যায়।
ওয়ার্ড দায়িত্বশীল কর্মশালা
সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা: নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা জামায়াতের ওয়ার্ড দায়িত্বশীলদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সৈয়দপুর উপজেলা মডেল মসজিদে দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নীলফামারী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম। এতে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নীলফামারী জেলা মানবসম্পদ বিভাগের দায়িত্বশীল অধ্যাপক আব্দুল কাদিম, সৈয়দপুর উপজেলা অফিস সম্পাদক রেজওয়ান হাসান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ওয়ার্ডের শতাধিক দায়িত্বশীল অংশ নেন।
রংপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
রংপুর সংবাদদাতা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রের সম্পদ সুসমভাবে বণ্টন হবে।
তিনি সম্প্রতি মহানগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বাড়ি বয়েজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও রংপুর মহানগর আমীর উপাধ্যক্ষ এটিএম আজম খান, মহানগর সেক্রেটারি আনোয়ারুল হক কাজল, প্রচার ও মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট কাওছার আলী, হাজীরহাট থানা আমীর বেলাল হোসেন প্রমুখ। কোতোয়ালি থানা আমীর মাওলানা গোলাম কিবরিয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহেশখালী উপজেলার দক্ষিণ শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
সরওয়ার কামাল মহেশখালী (কক্সবাজার) : ‘ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নই আমাদের লক্ষ্য’Ñ এ স্লোগান সামনে রেখে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহেশখালী উপজেলা দক্ষিণ শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল গত ২১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ছোট মহেশখালী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে দক্ষিণ শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল হক হক্কানীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মকছুদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কক্সবাজার জেলা শাখার উপদেষ্টা মো. জাকের হোসাইন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কক্সবাজার জেলা শাখার কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহেশখালী উপজেলা শাখার উপদেষ্টা আব্দুর রহিম, সাবেক ছাত্রনেতা বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ছৈয়দুল হক, সাবেক ছাত্রনেতা ইমরানুল হক, পর্যটন থানা সাধারণ সম্পাদক আলমগীর। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহেশখালী উপজেলা শাখার সদ্য বিদায়ী সভাপতি মাওলানা আব্দুল হক হক্কানী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহেশখালী উপজেলা শাখার সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মকছুদুর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহেশখালী পৌর শাখার উপদেষ্টা কাজী মোতাহের হোসেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহেশখালী পৌর শাখার সভাপতি মোহাম্মদ তারেক, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন হোয়ানক ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মুবিনুল হক খোকন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ডা. শরিয়ত উল্লাহ প্রমুখ। দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ডা. এস এম ওসমান সরওয়ারকে সভাপতি ও আলীম উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট করে মহেশখালী উপজেলা দক্ষিণ শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সভায় বক্তারা বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মিলেমিশে কাজ করতে হবে।
সিলেট জেলা ও মহানগর জামায়াতের দায়িত্বশীল সমাবেশ
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, জামায়াত আল্লাহর জমিনে তার দীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়দীপ্ত কাফেলা। আমরা মানবতার কল্যাণ সাধন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চাই। সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন করতে চাই। বাংলাদেশকে একটি ইনসাফভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আদর্শিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার জামায়াতের ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছে। আমাদের শীর্ষনেতৃবৃন্দকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ফাঁসি দিয়েছে। তবুও তারা দুনিয়ার কোনো শক্তির কাছে মাথা নত করেননি, হাসিমুখে শাহাদাতকে মেনে নিয়েছেন। আমাদের নেতৃবৃন্দের রক্তে এ জমিন লাল হয়েছে। এদেশে ইসলামের অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না। তাই সময়ের প্রয়োজনেই দেশ-জাতি গঠনে জামায়াত দায়িত্বশীলদের নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে।
তিনি সম্প্রতি সিলেট জেলা ও মহানগর জামায়াতের দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সিলেট জেলা আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক আব্দুল হান্নান ও হাফিজ আনওয়ার হোসাইন খান, মহানগর নায়েবে আমীর ড. নুরুল ইসলাম বাবুল, মহানগর সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান আলী ও জেলা সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন।
সমাবেশে জেলা ও মহানগর জামায়াতের শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন থানা, উপজেলা ও পৌর দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জালালাবাদ ও বিমানবন্দর থানা জামায়াতের ইউনিট প্রতিনিধি সম্মেলন
জামায়াতের ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দীর্ঘ ১৬ বছরের আওয়ামী দুঃশাসনের কবল থেকে জাতি মুক্তি পেয়েছে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে আওয়ামী লীগ গণহত্যা চালিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। এ থেকে ভবিষ্যৎ ফ্যাসিবাদীদের জন্য শিক্ষা রয়েছে। জামায়াত প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আর্তমানবতার কল্যাণে ভূমিকা পালন করে আসছে। যেকোনো দুর্যোগে জামায়াত সাধ্যের সবটুকু উজাড় করে জাতির পাশে দাঁড়িয়েছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে জামায়াতের প্রতি জাতির আগ্রহ তৈরি হয়েছে। জনগণের সেই ভালোবাসাকে কাজে লাগাতে জাতির প্রত্যাশা পূরণে জামায়াতের দায়িত্বশীলদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি গত ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে সিলেট মহানগরীর জালালাবাদ ও বিমাবন্দর থানা জামায়াতের ইউনিট প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। জালালাবাদ থানা আমীর কারী মাওলানা আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও বিমানবন্দর থানা আমীর শফিকুল আলম শফিকের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, মহানগর নায়েবে আমীর ড. নূরুল ইসলাম বাবুল, সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান আলী ও মহানগর জামায়াত নেতা মুফতী আলী হায়দার।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ থানা সেক্রেটারি মাওলানা জুনাইদ আল হাবীব, বিমানবন্দর থানা সেক্রেটারি ফরিদ আহমদ, বিমানবন্দর থানা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল লতিফ, জালালাবাদ থানা সহকারী সেক্রেটারি আশফাক আহমদ চৌধুরী, উবায়দুল হক শাহীন প্রমুখ।
সমাবেশে মহানগরীর জালালাবাদ ও বিমানবন্দর থানা জামায়াতের সকল ওয়ার্ড এবং ইউনিটের দায়িত্বশীলবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ফটিকছড়ির বাগান বাজারে কর্মী ও সহযোগী সদস্য সমাবেশ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও নগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী এদেশে শোষণমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক সুবিচারপূর্ণ অন্ধকার থেকে আলোকিত একটি জ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তিনির্ভর একটি সমাজ নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। ধনী-গরিব পার্থক্য থাকবে না। বেকারত্ব দূর হবে এবং দেশ থেকে সম্পদ পাচার ও লুটপাট বন্ধ হবে। দেশ থেকে ব্যাংকের টাকা লুট করে যারা বিদেশে বেগমপাড়ায় সম্পদ করেছেন, এসব সম্পদ ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ।
গত ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় ফটিকছড়ির বাগান বাজার ইউনিয়নের করালিয়া তাকিয়া দরগাহ সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় মাঠে জামায়াতের কর্মী ও সহযোগী সদস্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
১ নম্বর বাগান বাজার ইউনিয়নের জামায়াতের আমীর মাওলানা আবু ইউসুফের সভাপতিত্বে ও শূরা সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ সাদ্দাদ হোসাইনের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভূজপুর থানা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, ফটিকছড়ি উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও ভূজপুর থানা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা নূর মুহাম্মদ আল কাদেরী, ভূজপুর থানা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডা. আবদুল জলিল ও মুহাম্মদ আবু তাহের, ১ নম্বর বাগান বাজার ইউনিয়ন জামায়াতের নায়েবে আমীর ডা. ছবির আহম্মদ প্রমুখ।
নুরুল আমিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে একটি বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা হবে। ইসলামী ব্যাংকগুলোর মতো যেরকম শরিয়া বোর্ড আছে, সেরকম ওলামাদের কাউন্সিল গঠন হবে। ওলামাদের পরামর্শ নিয়েই সব শাসনকার্য পরিচালিত হবে। আলেমরা আধুনিক শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত হবেন। শুধু মাদরাসা শিক্ষিত হবেন না, দীনি ও আধুনিক শিক্ষাই উচ্চশিক্ষিত হবেন। এরকম একটি সমাজ হবে, ওলামাদের মর্যাদা আরও অনেক বেড়ে যাবে এবং আলেমগণ সমাজে অনেক জ্ঞানী-গুণী হিসেবে পরিচিত হবে। এজন্য আমাদের আহ্বান আলেম-ওলামারা ঐক্যবদ্ধ হন। কওমিয়া-আলিয়া সবাই ঐক্যবদ্ধ হন।
তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে এদেশে আপনাদের সন্তানদের সুশিক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্র গ্রহণ করবে। যাকাতের সুষম বণ্টন করা হবে। বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের দারিদ্র্যের সমাধান করা হবে। জেল-জুলুম, জবরদস্তি, শোষণ, বঞ্চনা, মানুষের অধিকার হরণ, মানুষের সম্পদ লুট করা এগুলো সব পরাজিত হবে, যদি বাংলাদেশে দীন ইসলাম কায়েম হয়। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে শুধু মাদরাসায় কুরআন শিক্ষা হবে না স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হবে। কুরআনের সত্যিকারের শিক্ষা দেওয়া হবে। জামায়াতের অফিস হবে জ্ঞান বিস্তার ও সমাজ সংশোধনের জন্য। জামায়াতের অফিস হবে দীন প্রতিষ্ঠা ও মানুষের খেদমতের জন্য। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি হচ্ছে খেদমতের রাজনীতি, শোষণের রাজনীতির বিরুদ্ধে এবং জনসেবার রাজনীতি। সমাবেশ শেষে বাগান বাজর ইউনিয়ন জামায়াতের কার্যালয় ও পাঠাগার উদ্বোধন করেন অতিথিরা।
কচুয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন
কচুয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২১ ডিসেম্বর শনিবার কচুয়া উপজেলা শাখার আয়োজনে পৌরসভার হযরত শাহ নেয়ামত উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দিনব্যাপী কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে জামায়াতের দুই দক্ষ মন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদীকে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ সকল এমপি তাদের কৃতকর্মের জন্য দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুথানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসনের অবসান ঘটেছে। ইনসাফ ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করছে। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতকে সমর্থন করার এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফীকে দলীয় নমিনি হিসেবে ঘোষণা প্রদান করেন এবং জামায়াতের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে অন্যায় ও চাঁদাবাজমুক্ত কচুয়া গড়তে আহ্বান জানান।
কচুয়া উপজেলা শাখার আমীর এডভোকেট আবু তাহের মেসবাহর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মোহাম্মদ আলীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, চাঁদপুর জেলার নায়েবে আমীর এডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, সেক্রেটারি এডভোকেট শাহজাহান মিয়া, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফী, চাঁদপুর জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবুল হোসাইন, সাবেক আমীর অধ্যক্ষ আ. রহিম পাটওয়ারী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থানা শাখার আমীর মো. শাহাদাত হোসাইন প্রমুখ।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন কচুয়া শাখার নায়েবে আমীর মাস্টার সিরাজুল ইসলাম, পৌর আমীর মাওলানা আমিনুল হক মীর আজহারী, সেক্রেটারি মো. মনির হোসাইন সাইদ, কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের সভাপতি অধ্যাপক এমদাদ উল্যাহ, জামায়াত নেতা মোসলে উদ্দিন আলমগীর, কুদ্দুছ মিয়া, জসিম উদ্দিন মিয়াজী, মুফতি মাসুম বিল্লাহ, মাওলানা জসিম উদ্দিন প্রমুখ। এ সময় ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নের পাঁচ সহস্রাধিক কর্মী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।