হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে দিল্লিকে চিঠি


২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:০০

স্টাফ রিপোর্টার: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ভারতকে বাংলাদেশ সরকারের চিঠি দেওয়াকে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ বলে উল্লেখ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকউটর। গত ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের প্রশ্নে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্র তার কাজ করেছে। তিনি বলেন, আমি তো এ রাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজ করছি। আমাদের রিকোয়েস্টের ভিত্তিতে রাষ্ট্র সেই ব্যবস্থা নিয়েছে। সুতরাং এ বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সরকার নোট ভারবাল দিয়েছে, কূটতৈনিক চ্যানেলে তাকে ফেরত পাওয়ার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ। আমরা চাইব, সরকার এ কাজের মাধ্যমে সফল হয়ে তাকে যদি ফেরত আনতে পারে, তাহলে বিচারটা আরও ভালোভাবে করা সম্ভব হবে। এর আগে সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আমরা জানিয়েছি ভারতকে, তাকে (শেখ হাসিনা) যে ফেরত চাওয়া হচ্ছে, সেটা বিচার ব্যবস্থার জন্য, আমরা সেটা জানিয়েছি। কূটনৈতিকপত্রের মাধ্যমে ভারত সরকারকে জানানো হয়েছে। পরে বার্তা সংস্থা এএনআই জানায়, নয়াদিল্লি বাংলাদেশের পাঠানো চিঠি পেয়েছে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে দেশটিকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেন। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ব্রিফিংয়ে জয়সওয়াল বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করছি যে, আমরা আজ (২৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছ থেকে প্রত্যর্পণের অনুরোধের বিষয়ে একটি কূটনৈতিক নোট পেয়েছি। তবে এই মুহূর্তে এ বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।’