আমনের ভালো ফলন খুশি কৃষকরা
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:১৬
গাইবান্ধা থেকে জোবায়ের আলী: সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু করেছে কৃষকরা। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ফলন এবং বাজারদর ভালো হওয়ায় খুশি কৃষক। তবে দিনমজুর সংকটে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির কৃষকরা। নিম্ন শ্রেণির কৃষক ও বর্গা চাষিরা পরিবার-পরিজন নিয়ে ধান কাটা-মাড়াই করতে পারলেও বিপাকে রয়েছে অনেকে। ধানের চেয়ে খড়ের বাজারদর ভালো। আগাম চাষাবাদের কারণে উঁচু এবং চরাঞ্চলের কৃষকরা আগাম ধান কাটা-মাড়াই শুরু করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ হয়েছে। এক বিঘা জমিতে আমন চাষাবাদে মোট খরচ হয় ১০ হাজার টাকা। ফলন মোটামোটি ভালো হলে ১৫ হাজার টাকার ধান বিক্রি করা যায়। এছাড়া বর্তমানে এক বিঘা জমির খড় বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার টাকা।
উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের বজরা কঞ্চিবাড়ী গ্রামের কৃষক সুজন মিয়া বলেন, তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে আমন চাষাবাদ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে দুই বিঘা জমির ধান কেটেছে। তিনি আশা করছেন, প্রতি বিঘা জমিতে তার ফলন হবে ১৫ হতে ১৬ মণ। বর্তমান বাজারে যার দাম ১২ হতে ১৩ হাজার টাকা। পাশাপাশি খড়ের দাম ৫ হাজার হতে ৬ হাজার টাকা। তিনি বলেন, কাটা-মাড়াইয়ে দিনমজুরকে বেশি টাকা দিতে হচ্ছে। খুব বেশি লাভ হবে না।
কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা লিটন মিয়া জানান, নদীর চরাঞ্চলে ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষকরা সবজি চাষাবাদের জন্য আগাম ধান কাটা-মাড়াই শুরু করেছে। তিনি বলেন, ধানের খড় বিক্রি করে কৃষকরা এখন অনেক লাভবান।
উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, চলতি মৌসুমে আমনের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। নানা প্রতিকূলতা থাকার পরও আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অর্জিত হবে আশা করছি। কৃষকরা আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াই শুরু করেছে। অনেক কৃষক আগাম আলু, মরিচ, পেঁয়াজ, কপিসহ সবজি চাষাবাদের কারণে ধান কাটামাড়াই শুরু করেছে।