ভূঞাপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:১৪
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ জনজীবন। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে শহরে ঢুকলেই প্রথমেই দৃষ্টি পড়ে এ ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ের দিকে। বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এ ভাগাড়ের পশ্চিম পাশে বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ ও দোকানপাট। উত্তরপাশে টিএন্ডটি ও সেটেলমেন্ট অফিস, পশ্চিম পাশে ডাকবাংলো, দক্ষিণ পাশে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়, ভিআইপি আবাসিক এলাকা। মাঝখানে ময়লার ভাগাড়। দৃশ্যটি বিশ্রী হলেও প্রতিদিনই এমন দৃশ্যই অনুভব করতে হয় ভূঞাপুর পৌরবাসীর। পঁচা আবর্জনার দুর্গন্ধ যেন নিত্যদিনের সঙ্গী।
আর এমন পরিস্থিতি প্রায় এক যুগের বেশি দিন ধরে। দীর্ঘদিন যাবত পৌরবাসীর ব্যবহৃত ময়লা এবং খোত পৌর কর্তৃপক্ষ গাড়ি ভরে ময়লা এনে ফেলে এ ভাগারে। বর্তমানে রোডস এন্ড হাইওয়ের খাত ভরে রাস্তার ওপর ফেলা হচ্ছে এসব ময়লা। এসব ময়লা-আবর্জনার পঁচে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পৌরবাসী। বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও ।
এদিকে এসব ময়লা অপসারণে দফায় দফায় কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো ফল মেলেনি বলে অভিযোগ শহরবাসীর। নানা দপ্তরে দপ্তরে অভিযোগ করে গত বছর সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) হস্তক্ষেপে কিছু দিন ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ থাকলেও সে বদলি হওয়ার পর থেকে আবার সেখানেই পৌর সভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা শুরু হয়েছে। ময়লা ফেলতে ফেলতে খাদ ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন সড়কের ওপরই ময়লা ফেলা হচ্ছে। এ নিয়ে সতেচন নাগারিক মহল, সুধীজন, সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো ওই ময়লা ফেলা বন্ধে প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়ে আসলেও স্থায়ী কোনো সমাধান হচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহনাজ খাতুন ও আবির হোসেনসহ অনেকে বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ কারো কথা শুনে না। তারা যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছে। এর পাশ দিয়ে দুর্গন্ধে নাক-মুখ ঢেকে আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে। গন্ধে নিশ্বাস নেয়া যায় না, দম বন্ধ করে চলতে হয়। ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার দাবি জানালেও কোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে ভূঞাপুর পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিনতে আখতার বলেন, শহরের যে স্থানটিতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সেটি পৌরবাসীসহ উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা। এটি সমাধানে আমরা পৌর কর্তৃপক্ষ থেকে সমাধানের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু মূল সমস্যা হচ্ছে অন্য কোথাও খাস জায়গা পাচ্ছি না। জনভোগান্তি লাঘবে খাস অথবা কোনো জায়গা ক্রয়ের মাধ্যমে হলেও তা দ্রুত স্থানান্তর করা হবে।