ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার

বিরোধীদের দমনে বড় অস্ত্র ছিল গ্রেফতার রিমান্ড নির্যাতন


১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৭

॥ সৈয়দ খালিদ হোসেন ॥
জনগণের সমর্থন নেই জেনে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিরোধীদলগুলোকে দমিয়ে রেখেছিল শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ। বিরোধীদল দমনে আওয়ামী লীগ হামলা-মামলা আর সীমাহীন নির্যাতন চালিয়েছে। বিরোধীদলের কোনো কোনো নেতার বিরুদ্ধে তিনশ’র ওপর মামলা করেছে আওয়ামী লীগ। শুধু মামলা বা গ্রেফতারে সীমাবদ্ধ ছিল না আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার। গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। জামিন লাভের পর নেতাদের আটকে রাখতে বার বার জেলগেট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীকে প্রায় দেড় দশক ধরে প্রকাশ্যে কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয়নি। ঘরোয়া অনুষ্ঠান থেকে শীর্ষনেতাদের ধরে নিয়ে কাল্পনিক মামলা দিয়ে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার চেয়েছিল ক্রমান্বয়ে সব বিরোধীশক্তিকে দুর্বল করে দিতে। বিরোধীদলগুলোকে নেতৃত্ব শূন্য করে দিতে বিএনপি শীর্ষনেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। টানা ছয় বছরের বেশি সময় বন্দি করে রাখা হয়েছিল খালেদা জিয়াকে। জামায়াতের শীর্ষনেতাদের কথিত কাল্পনিক তথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসি দিয়েছে এ ফ্যাসিস্ট সরকার। এখনো বন্দি দলটির অন্যতম শীর্ষনেতা সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম। যাকে গ্রেফতারের পর সব মামলায় জামিন হয়, তিনি জামিনে মুক্ত হওয়ার পর জেলগেট থেকে ফের গ্রেফতার করা হয়, দেওয়া হয় কথিত যুদ্ধাপরাধের তকমা। দলটির এ সময়ের অন্যতম শীর্ষনেতা এক যুগের বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন। এভাবে বিরোধীদলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার বন্দি করে রেখেছে।
কত মামলা?
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবীর বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৪৫০। তার বিরুদ্ধে একেক দিন শুনানি চলে চার থেকে পাঁচটি মামলার। একটা মানুষকে আটকে রাখতে কত মামলা প্রয়োজন হয়? এমন প্রশ্ন মানবাধিকার কর্মীদের। একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতাকে সাড়ে চারশ’ মামলা মোকাবিলা করতে হয়েছে- একটি সরকার কতটা ফ্যাসিস্ট হলে সাড়ে চারশ’ মামলা দিতে পারে- প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত মামলার যে হিসাব বিএনপি রেখেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭১টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ৪০ লাখের ওপরে। বিএনপির মামলার তথ্য ও সংরক্ষণ শাখা এ হিসাব জানিয়েছে। ওই তথ্যে জানা গেছে, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মামলা ১৮০টি। আলালের বিরুদ্ধে আড়াইশ’ আর শিমুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দেড়শ’র বেশি মামলা রয়েছে। শতাধিক মামলার আসামি এমন নেতা-কর্মীদের প্রায় সবাইকে ঘুম থেকে উঠেই আদালতে আসতে হতো।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সাবেক সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে ৩১৭টি মামলা রয়েছে। যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলমেরও (নিরব) বিরুদ্ধেও সাড়ে তিনশ’র বেশি মামলা রয়েছে। মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীদের দেওয়া তথ্য বলছে, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী ২৫০ মামলা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা রফিকুল আলম ২২৬ মামলা, সুলতান সালাহ উদ্দিন এর ৩১৫ মামলা, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী ১৭০ মামলা, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ১৪৬ মামলা, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল কাদির ভূঁইয়া ১৫০ মামলা, আকরামুল হাসান ১৪৬ মামলা, হাবিবুর রশীদ ১০৩ মামলা, বজলুল করিম চৌধুরী ৯৫ মামলা, মামুন হাসান ২০০ মামলা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল ১১০ মামলা, গণশিক্ষাবিষয়ক সহবিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার ২১১ মামলা এবং ছাত্রদলের সাইফ মোহাম্মদ ১০৬ মামলার আসামি।
জামায়াত-শিবির নেতাদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন
জামায়াত নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও তৎকালীন শিবির নেতা দেলোওয়ার হোসেনের ওপর সীমাহীন নির্যাতন করা হয়েছে। রিমান্ড থেকে তাদের আদালতে তোলার দৃশ্য দেশবাসী দেখেছেন। তারা স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াতে বা বসতেও পারেননি। অবর্ণনীয় নির্যাতন করা হয়েছে এ নেতাদের ওপর। ২০১৩ সালের কথা, ওই সময়কার (বর্তমানে জামায়াত নেতা) ছাত্রশিবিরের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করার কথা জানান তার মা তৈয়বা খাতুন। কোর্ট-কাচারি সংলগ্ন দেলোয়ারের আইনজীবীর চেম্বারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা তুলে ধরেন। তৈয়বা খাতুন এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৩১ মার্চ ২০১৩ দেলোয়ারকে একদল সাদা পোশাকের পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে। মোহাম্মদপুর থানার দুটি মামলায় তাকে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তার ছেলেকে রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। তিনি মোহাম্মদপুর থানা, ডিবি অফিসে খোঁজ নিয়েও ব্যর্থ হন। এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য আদালতে আবেদন করলেও আদালত তা নামঞ্জুর করেন। ছেলেকে দেখতে পারেননি তিনি।
২০১৪ সালের আগস্টের ঘটনা। রাজধানীর মতিঝিল থানার ৪ মামলা ও রমনা থানার ২ মামলায় জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও শিবিরের সাবেক সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ সময় ওই ৬ মামলায় ৯ দিন করে মোট ৫৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় ডিবি পুলিশ। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান ও রেজাউল করিমের আদালত পৃথক পৃথক শুনানি শেষে মতিঝিল থানার ৪ মামলায় ৯ দিন ও রমনা থানার ২ মামলায় ৫ দিনসহ মোট ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২০১৪ সালের ৯ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন রোডের একটি বাসা থেকে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ ২০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ। পরে দুই মামলায় ১১ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় মাসুদকে। বাকি ১৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
ওই সময় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য রফিকুল ইসলাম খান এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি (বর্তমানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি) ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদকে গ্রেফতার করে রিমান্ডের নামে দফায় দফায় নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে বিরোধীদল ধ্বংসের জন্যই জনপ্রিয় ও প্রতিভাবান রাজনৈতিক নেতাদের একের পর এক গ্রেফতার করে নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরকার বিরোধীদল নির্মূল করে আবারও বাকশালী ও ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েমের জন্য ড. মাসুদসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে নির্মম ও নিষ্ঠুর নির্যাতন চালাচ্ছে, যা সংবিধান, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন।
আলেমদের গ্রেফতার ও নির্যাতন
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করলে গ্রেফতার ও নির্যাতনের ক্ষেত্রে আলেমদেরও ছাড়া হতো না। ‘শিশু বক্তা’খ্যাত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে দফায় দফায় গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আর রিমান্ডে করা হয়েছে নির্মম নির্যাতন। পুলিশের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বাসন থানায় ১১ এপ্রিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে শুনানি শেষে আদালত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে ওই মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। রফিকুল ইসলাম মাদানী জেল থেকে বের হয়ে রিমান্ডে নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি জানান, তাকে উলঙ্গ করা হয়েছে। শরীর থেকে সব কাপড় শরীয়ে নেওয়া হয়; এমনকি লুঙ্গিও খুলে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে একজন নারীকে নিয়ে এসে তাকে দিয়ে জড়িয়ে ধরানো হয়। এমন নির্মম নির্যাতন এর বর্ণনা দেন মাদানী। এভাবে আরও অনেক আলেমকে নির্যাতন করা হয়।
ঘরোয়া বৈঠক থেকেও গ্রেফতার
২০১৭ সালের অক্টোবরের ঘটনা। জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমীর মকবুল আহমাদসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় ঘরোয়া একটি বৈঠক থেকে। রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া তৎকালীন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল (বর্তমানে আমীর) শফিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর (বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল) অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, চট্টগ্রাম মহানগর আমীর মোহাম্মদ শাজাহান, সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলার আমীর জাফর সাদেক ছিলেন। গ্রেফতার হওয়া নেতাদের মুক্তির দাবিতে তখন দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে জামায়াত। তখন জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় কর্মসূচি পরিচালনায় তারা দেশের আইন, সংবিধান ও প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করে চলে। দলের আমীরের নেতৃত্বে একটি ঘরোয়া বৈঠক চলার সময় সেখান থেকে নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এভাবে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের ঘরোয়া সভা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার থেকে বাদ পড়েননি জামায়াতের নারী কর্মীরাও
২০১৯ সালের মে মাসের ঘটনা। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় ঘরোয়া বৈঠক চলার সময় জামায়াতে ইসলামীর ৪৮ নারী নেতাকর্মীকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। উপজেলার হাটবোয়ালিয়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। চুয়াডাঙ্গার তৎকালীন পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন সকাল থেকে আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া গ্রামের জাহিদুর রহমান টিটুর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর নারী নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পরে ওই বাড়ি থেকে জামায়াতের ৪৮ নারী নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। ২০২৩ সালের ২৬ জুলাই মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার খানপুর কালীতলার মোড় এলাকায় একটি ঘরোয়া বৈঠক থেকে জামায়াতের আট নারী কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় উঠান বৈঠক থেকে জামায়াতে ইসলামীর ১০ নারী কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নাজিরাকোনা গ্রামের হজরত আলীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এভাবে নারী কর্মীরা কোনো ঘরোয়া বৈঠক করলে সেখান থেকেও গ্রেফতার করা হতো।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘৫০ বছরের আইন পেশায় দেখিনি, একজন রাজনৈতিক নেতার নামে কোনো সরকার তিনশ’, চারশ’ মামলা দিতে পারে।’ দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ভাষ্য, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার একমাত্র অবলম্বন ছিল মামলা। এটি তার রাজনৈতিক অস্ত্র। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে ধ্বংস করার জন্য এত মামলা দিয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার।’ সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন, ‘রাজনীতিতে দমন-পীড়নের জন্যই এত মামলা। এসব মামলার মধ্যে গায়েবি মামলাও রয়েছে। এগুলো তদন্ত করে শুধু উঠিয়ে নেওয়া নয়, যারা এসব মামলা দিয়েছে তাদেরকেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’