আব্বাস আলী খান [রহ.] জীবন ও কর্ম গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ডা. শফিকুর রহমান

তিনি তাকওয়াভিত্তিক জীবনযাপনকে গুরুত্ব দিতেন


১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:৪৭

গত ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঢাকা, মগবাজার আল-ফালাহ মিলনায়তনে তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন রচিত ‘প্রখ্যাত ইসলামী রাজনীতিবিদ আব্বাস আলী খান জীবন ও কর্ম’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ১৯৮৫ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সুবাদে আল্লাহ তায়ালা মরহুম আব্বাস আলী খান সাহেবের সাথে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। মরহুম আব্বাস আলী খান রাজনীতি, সাহিত্যচর্চা, সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত থাকলেও তিনি যথাসময়ে সালাত আদায়সহ তাকওয়াভিত্তিক জীবনযাপনের ব্যাপারে তিনি ছিলেন খুবই সচেতন এবং এ বিষয়ে তিনি খুবই গুরুত্ব দিতেন।
তিনি মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও দুঃস্থ মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধের কারণে সমাজ সেবামূলক কর্মকাণ্ডের সাথে তিনি আগাগোড়াই জড়িত ছিলেন। শিক্ষকতাকে পেশার পাশাপাশি তার এ মনোভাবই বেশি সক্রিয় ছিল যে, শিশুরা যাতে ছোটবেলা থেকেই আদর্শ মানুষ হয়ে গড়ে ওঠার সুযোগ পায়, সেজন্য জয়পুরহাটে তিনি একটি আদর্শ আবাসিক স্কুল স্থাপন করেন। তিনি ছিলেন অসাধারণ শক্তির অধিকারী, তার লেখনী ছিল চমৎকার; বিশেষ করে ইসলামী আন্দোলনের জন্য তিনি অনেক সাহিত্য লিখেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ “একটি আদর্শবাদী দলের পতনের কারণ, তার থেকে বাঁচার উপায়”। আখিরাতমুখী জীবন তৈরি করার জন্য তিনি লিখেছেন, “মৃত্যু যবনিকার ওপারে”। বাংলার মুসলমানদের অবস্থান বর্ণনা করার জন্য তিনি লিখেছেন, “বাংলার মুসলমানদের ইতিহাস”। তার স্মৃতিশক্তি ছিল প্রখর, তার তাকওয়া ছিল খুবই উঁচু মানের, আমার তার এ লেখাগুলো যত বেশি চর্চা করব ততই ইসলামী আন্দোলনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারব আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা ওনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক।
গ্রন্থের লেখক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন তার আলোচনায় বলেন, আব্বাস আলী খান ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণা আন্দোলনের উজ্জ্বল নক্ষত্র। ইসলামী জ্ঞানের প্রচার-প্রসারে তিনি সফলতার সাথে মসি ধারণা করেন, অনুবাদ করেন এবং গবেষণা করেন। বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনে তার অবদান অবিস্মরণীয়। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের তিনি অন্যতম পুরোধা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ নসিহা পেশ করেন বিশিষ্ঠ লেখক ও গবেষক ড. মীর মনজুর মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ড. ওবায়দুল্লাহ, বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা সোসাইটির সভাপতি আবদুস শহীদ নাসিম, তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাবীবুল্লাহ মুহাম্মদ ইকবাল, ভাইস চেয়ারম্যান ড. মীম আতিকুল্লাহ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত বিভিন্ন শাখাসমূহের শাখাপ্রধানসহ অন্য দায়িত্বশীলগণ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।