রাসূল সা.-এর শ্রেষ্ঠতম মুজেজা বিজ্ঞানময় আল কুরআন
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৩২
॥ মনসুর আহমদ ॥
মহাপবিত্র প্রজ্ঞাপূর্ণ আল কুরআন মানবসভ্যতার জন্য হেদায়েত (হুদাল্ লিন্নাস) বা জীবনবিধান। এ ধরণীতে মানুষকে সুন্দর-সুখী জীবনযাপনের পথ ও পদ্ধতি জানিয়ে দিতে মানব সৃষ্টির সূচনালগ্নে জানিয়ে দেয়া হলো যে, এ চলমান বিশ্বে মানুষকে গভীর তমসে ছেড়ে দেয়া হয়নি। যুগে যুগে দেশে দেশে মানবকুলের জন্য আসবে পথনির্দেশিকা বা Guidance)। যারা এ হেদায়েত বা পথ নির্দেশিকা মেনে চলবে, তারা ইহকালে পাবে একটি সুখী-সুন্দর জীবনের সন্ধান আর পরকালে পাবে মুক্তি, সুখ ভরা উদ্যান ও রেদওয়ান। আল্লাহর ঘোষণা, “অতঃপর আমার নিকট হতে যে জীবনবিধান তোমাদের নিকট পৌঁছাবে, যারা আমার সে বিধান মেনে চলবে, তাদের জন্য চিন্তাভাবনা করার কোনো কারণ নেই।” (সূরা বাকারা : ৩৮)।
মানবসভ্যতা বিকাশের ধারায় কাল পরিক্রমায় শুদ্ধতম পূর্ণতম জীবনবিধান নাজিল হলো রাসূল (সা.)-এর ওপরে। কালের দাবি ও চাহিদা অনুযায়ী সর্বকালের জীবন জিজ্ঞাসা ও জওয়াব ও জ্ঞান- বিজ্ঞানের সীমাহীন সম্পদের আধার অতলান্ত হিকমাহ্ পরিপূর্ণ এ আল কুরআন । এ শাশ্বত জীবনবিধান প্রতিটি যুগের প্রেক্ষাপটে মানবজীবনের সব সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছে। সমাজনৈতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ইতিহাস, দর্শন তথা সমাজ-সভ্যতা-সংস্কৃতি সম্পৃক্ত পরিপূর্ণ জ্ঞান কোষ আল কুরআন।
মানবসভ্যতা বিভিন্ন যুগ পেরিয়ে আজ উপনীত হয়েছে বিজ্ঞানের যুগে। মানুষের আদি জন্ম রহস্য জেনেটিক বিজ্ঞান থেকে শুরু করে বস্তুর অণু পরমাণু থেকে মহাবিশ্বের বিভিন্ন রহস্য বিজ্ঞানের আলোকে উদ্ভাসিত হচ্ছে। কুরআনপূর্ব আসমানী গ্রন্থগুলো সমসাময়িক কালের সমস্যার সমাধান দিয়েছে। কিন্তু কুরআন এসেছে স্থান-কাল (Time and space) সীমানাতীত সব কালের সমস্যার সমাধান নিয়ে, পথ চলার আলোকোজ্জ্বল নির্দেশ বা ফরমান নিয়ে। অশান্ত পৃথিবীর হতাশাগ্রস্ত মানবসভ্যতা জড়বিজ্ঞানের জয় যাত্রার মিছিলে দাঁড়িয়ে তাঁকিয়ে আছে বিজ্ঞান গবেষণায় কুরআন কী বলে তা দেখার জন্য।
কুরআন বিজ্ঞানময় এক কিতাব, আল কুরআনুল হাকীম। হিকমাহপূর্ণ এ কিতাব বিজ্ঞানের গবেষণা ক্ষেত্রে যেভাবে মানুষকে উৎসাহিত করেছে, পৃথিবীর দ্বিতীয় কোনো গ্রন্থ-ই তা করেনি। আধুনিক (Physical science) ভৌতবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গবেষণায় কুরআন যেভাবে গুরুত্ব প্রদান করেছে, তা ভাবলে বিস্ময় ও কৃতজ্ঞতাবোধে প্রভুর আলিশানে মাথা নত হয়ে আসে।
কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্পর্কিত প্রচুর উৎসাহব্যঞ্জক বাণী রয়েছে। কলেবর বৃদ্ধি এড়াতে তা থেকে সামান্য কিছু আয়াত বোদ্ধা পাঠককুলের সামনে পেশ করার চেষ্টা করা হলো।
প্রথমেই দেখা যাক মানব সৃষ্টিরহস্য উদ্ঘাটনে কী তথ্য দেয় আল কুরআন। পরকাল দিবসের সত্যতা, পুনরুত্থান সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন প্রসঙ্গে মানব সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে গবেষণার তাগিদ দিয়ে এরশাদ হচ্ছে, “তোমরা কি ভেবে দেখেছ তোমাদের বীর্যপাত সম্পর্কে?” (সূরা ওয়াকেয়া : ৫৮)।
মানব সৃষ্টিরহস্য সম্পর্কে একটি সাধারণ বর্ণনা এসেছে পবিত্র কুরআনে। এরশাদ হচ্ছে, “মানুষকে আমরা মাটির নির্যাস থেকে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর সেই জন্ম বিন্দু থেকে জমাট রক্ত, জমাট রক্ত থেকে একটি আকারহীন পিণ্ড, পরে সেই পিণ্ড থেকে হাড় সৃষ্টি করেছি। পরে সেই হাড়কে গোশত দিয়ে ঢেকে দিয়েছি, তারপর তা থেকে নতুন জীব সৃষ্টি করেছি। মহান সেই আল্লাহ যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কর্তা। (সূরা মুমিনুন)।
আজ জেনেটিকবিজ্ঞানের অগ্রগতিতে মানুষ তার স্রষ্টার ক্ষমতা ও কৌশল সম্পর্কে কিছুটা ধারণা করতে সক্ষম হচ্ছে। কিন্তু এ গবেষণাই শেষ নয়। আমাদেরকে ভ্রƒণতত্ত্ব ও মানব সৃষ্টির কলা-কৌশল সম্পর্কে অধিকতর জ্ঞান লাভের তাগিদ দিয়ে কুরআন এরশাদ করেছে, “তোমরা তো অবগত হয়েছ প্রাথমিক সৃষ্টি সম্বন্ধে, তবে তোমরা অনুধাবন কর না কেন?” (সূরা ওয়াকেয়া : ৬২)।
মানব সৃষ্টিরহস্য জানার সাথে সাথে উদ্ভিদজগৎ বা জীবের বেঁচে থাকার জন্য, পরিবেশকে বাসোপযোগী রাখার জন্য একান্ত প্রয়োজন তার বিভিন্ন রহস্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের তাগিদ দিয়ে এরশাদ হচ্ছে, “তোমরা যে বীজ বপন কর সে সম্পর্কে চিন্তা করছ কি? তোমরাই কি উহা অঙ্কুরিত কর না আমি তা করি? (সূরা ওয়াকেয়া ৬৩-৬৪)।
প্রকৃতিজগতে এই যে উদ্ভিদ, লতা-গুল্ম, ফল-ফুল ইত্যাদির বৈচিত্র্যময় জীবন সম্পর্কে গবেষণা করতে কুরআন আহ্বান জানাচ্ছে এমন কোনো আহ্বান অন্য কোনো ঐশী গ্রন্থে নেই।
মানবজীবন, উদ্ভিদজীবন এককথায় জীবনের জন্য অপরিহার্য পানি। যে কারণে পানির এক নাম জীবন। এ পানি নিয়ে আজ বিশ্বময় গবেষণা চলছে। পানি বিশুদ্ধ করণ, শিল্প-কারখানায় পানির ব্যবহার, পানির বৈচিত্র্যময় বৈশিষ্ট্যাবলী নিয়ে আজ গবেষণা শুরু হয়েছে। এ গবেষণার কথা বলতে গিয়ে এরশাদ হচ্ছে, “আফারাইতুম মায়াল্লাতী তাশরাবুন- তোমরা যে পানি পান কর তা সম্পর্কে তোমরা চিন্তা করছ কি?” (সূরা ওয়াকেয়া : ৬৮)।
পানির পরে স্বাভাবিকভাবে আসে আগুনের কথা- তথা তাপশক্তির (heat energy) কথা। আগুন ব্যতীত মানবসভ্যতার কথা চিন্তাই করা যায় না। আগুন তথা তাপশক্তির উৎস ও তার ব্যবহার আধুনিক বিজ্ঞানের একটি বিরাট শাখা। এই আগুন বা তাপীয়শক্তি সম্পর্কে গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করতে কুরআনে এরশাদ হয়েছে, “আফারাআইতুমুন্নারাল্লাতি তু-রুন- তোমরা যে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত কর, তা লক্ষ করে দেখছ কি? (সূরা ওয়াকেয়া : ৭১)। এভাবে কুরআনে তাপশক্তির ব্যাপারে ভালোভাবে গবেষণার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে।
মানুষের চিন্তাকে দিগন্ত প্রসারিত করার জন্য মানুষ, উদ্ভিদ, পানি-আগুন সংক্রান্ত বিষয়কে অতিক্রম করে বিভিন্ন জীব, পাহাড়-পর্বত পায়ের তলায় বিস্তীর্ণ ভূমি, মাথার ওপরে সীমাহীন নীলাকাশ তথা গোটা বিশ্বব্যবস্থাপনা সম্পর্কে গবেষণার জন্য উৎসাহিত করতে গিয়ে এরশাদ হচ্ছে, “এরা কি উট গুলোকে দেখে না- কেমন করে এগুলো সৃষ্টি করা হয়েছে? আকাশমণ্ডল দেখে না, কীভাবে উহাকে উঁচুতে স্থাপন করা হয়েছে? পর্বত মালাকে দেখে না, কীভাবে এ গুলোকে শক্তভাবে দাঁড় করায়ে দেয়া হয়েছে? ভূমণ্ডল দেখে না, কীভাবে এক বিস্তৃত করে দেয়া হয়েছে? (সূরা গাশিয়া)।
এভাবে মানবসমাজ গোটা বিশ্ব ব্যবস্থাপনার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে এর রহস্যাবলী উদ্ঘাটন করে মহাসত্যের সাথে পরিচিত হোক এটাই আল্লাহর ইচ্ছা। এই মহাসত্য উদ্ঘাটন করা নবুয়্যতি কাজ, প্রকৃত জ্ঞানীদের কাজ। তাই তো কালামে পাকে এরশাদ হচ্ছে, “আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে, দিবস ও রজনীর পরিবর্তনে, যা মানুষের হিত সাধন করে তাসহ সমুদ্রে বিচরণশীল জলযানসমূহ, আল্লাহ আকাশ হতে যে বারি বর্ষণ দ্বারা ধরিত্রীকে তার মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেন তাতে এবং তার মধ্যে যাবতীয় জীবধন (Livestoc) বিস্তারণে, বায়ুর দিক পরিবর্তনে, আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে সুনিয়ন্ত্রিত মেঘমালাতে জ্ঞানবান জাতির জন্য নিদর্শন রয়েছে। (সূরা বাকারা : ১৬৪)।
জ্ঞানী তথা গবেষকদের জন্য বিশ্বচরাচরে পরিব্যাপ্ত প্রতিটি বস্তু, জড়-জীব অস্তিত্বের মাঝে যে নৈতিক ও বৈজ্ঞানিক শিক্ষা ও নিয়মাবলি নিহিত রয়েছে তা অনুধাবনের মধ্যেই মানবতার উন্নতি ও কল্যাণ নিহিত। তাই মানবতার কল্যাণে জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বিচরণ করে বিভিন্ন তত্ত্ব ও তথ্য উদ্ঘাটন করে যেমন জ্ঞানী সম্প্রদায় মানবতার কল্যাণ সাধন করবে, তেমনি এ সৃষ্টির পেছনে এক মহাপ্রজ্ঞাবান সত্তার সন্ধান পেয়ে তাঁর বিধান মতো গোটা মানবীয় জীবন পরিচালনা করে বিশ্ব সমাজকে একটি সুখী ও সুন্দর সমাজ রূপে গড়ে তুলবে এটাই আল্লাহর অভিপ্রায়। আল্লাহ তাই ঘোষণা করেন, “নিশ্চয়ই আসমান ও জমিন সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধসম্পন্ন লোকদের জন্য। যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে। আসমান ও জমিন সৃষ্টির ব্যাপারে তারা বলে, পরওয়ার দিগার! এ সব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি।” (সূরা আলে ইমরান : ১৯০-১৯১)।
এই সৃষ্টি যে অনর্থক নয়- এ ঘোষণা দিতে প্রচুর গবেষণালব্ধ জ্ঞান অর্জন প্রয়োজন।
এভাবে কুরআন বিশ্ব ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রচুর আয়াতে বিজ্ঞান গবেষণার তাগিদ দিয়ে একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য বলেছে। এ সত্যকে ইসলামের প্রাথমিক কালের মুসলমানগণ সহজেই উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছিলেন বলে ইসলামের আবির্ভাবের পর অর্থাৎ সপ্তম শতকে মুসলমানগণ শিল্প, সাহিত্য, দর্শন, চিকিৎসাবিজ্ঞানসহ বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখায় বিচরণ করে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জনে সক্ষম হন। কুরআনের জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষায় নির্দেশিত ও উদ্বুদ্ধ হয়ে জ্যোতির্বিদ্যা, পদার্থবিজ্ঞানসহ বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গবেষণা চালিয়ে সেকালের মুসলমানগণ জ্ঞানে বিজ্ঞানের মৌলিক আলোকচ্ছটা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
কুরআনের শিক্ষায় নির্দেশিত হয়ে উদ্বুদ্ধ হতে পেরে ছিলেন প্রাথমিক যুগের মুসলিম জাতি। তাই ৭৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১১০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত জন্মগ্রহণ করেন বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী জাবির ইবনে হাইয়ান (৭২২-৮০৪), আল কিন্দি (৮১৩- ৮৭৪), হুসাইন ইবনে ইসহাক, আল ফারাবী (৮৭৫- ৯৫০) ইব্রাহীম ইবনে সিনান, আল মাসুদী (মৃ.-৯৫৬), আল তাবারী (৮৩৮-৯২৩), আবুল ওয়াফা, আলী ইবনে আব্বাস, আবুল কাশিম, ইবনে আল জাজজার আল বেরুনী (৯৭৩-১০৪৮), ইবনে সিনা (৯৮০-১০৩৭), ইবনে ইউসূফ, আল ফারহী, ইবনুল হিশাম, আলী ইবনে ঈসা আল গায্যালী, আল জারকানী, ওমর খৈয়ম (১০৩৮-১১২০) এবং আরো অনেকে। এরা সকলেই ৭৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১১০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে আবির্ভূত হন।
আজ গোটা বিশ্বময় মুসলিম জাতির যে দুর্বলতা ও পতন তার অন্যতম একটি প্রধান কারণ কুরআন নির্দেশিত বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে উদাসীনতা, অলসতা ও পশ্চাৎপদতা। একটি জাতির নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব লাভের যোগ্যতা নির্ভর করে প্রধানত তার সাহিত্য, শিল্প, সংস্কতির দৃঢ়তার ওপরে। আজ মুসলমানরা ফিকরে নিমজ্জিত না হয়ে শুধুমাত্র তথাকথিত জিকরে ডুবেছে বেশি। মুসলমানরা আজ সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিল্প তথা বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত তথ্য ও গবেষণার দিক দিয়ে একেবারে পেছনের সারিতে অবস্থান করছে। সে কারণে এ জাতি আধুনিক উন্নত বিশ্বের নিয়ন্ত্রণে না মরা না বাঁচা অবস্থায় প্রহর গুনছে। জাতির এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য কুরআনের নির্দেশ মোতাবেক জ্ঞান-বিজ্ঞানের গবেষণায় জাতিকে নিমজ্জিত হতে হবে।
আল্লাহ আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন, “আল্লাহ তোমাদের অধীনস্থ করে দিয়েছেন রাত্রি, দিন, চন্দ্র, সূর্য ও তারকারাজীকে তারই আদেশে। নিশ্চয়ই এতে বুদ্ধিমান লোকদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।” (সূরা নাহল)।
পৃথিবীকে আমাদের বশে আনতে হলে, মহাবিশ্বের নিদর্শনসমূহ জানতে হলে প্রয়োজন গবেষণা, চিন্তা ভাবনা করা। এ প্রয়োজনীয়তার কথা বার বার কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে বিভিন্ন ভাবে। এরশাদ হয়েছে, “নিশ্চয়ই এ সব বিষয়ে দৃষ্টিসম্পন্ন লোকদের জন্য নিদর্শনসমূহ রয়েছে- ইন্না ফী জালিকা লাইব্রাতাল্ লি উলিল আবছার।”
এ ধরণী বন্ধ্যা হয়ে যায়নি। আজও সে জন্ম দিতে পারে মুসলিম সমাজে হাইয়ান থেকে খৈয়ামদের ন্যায় বিভিন্ন গভীর দৃষ্টিসম্পন্ন বিজ্ঞানী। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন কুরআনের নির্দেশকে গ্রহণ করে কুরআন গবেষণায় আমাদের নিয়োজিত করা। আজ মুসলমান জাতিকে জ্ঞানের অতলান্ত বারিধি রূপ কুরআনে ডুব দিতে হবে জাতির মৃতসঞ্জীবনী উদ্ধারের জন্য, জীবনের প্রয়োজনীয় রত্নরাজি উদ্ধারের জন্য।