যতই ষড়যন্ত্র হোক, আল্লাহর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:২২
॥ একেএম রফিকুন্নবী ॥
মানুষ মহান আল্লাহর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। গোটা দুনিয়ার সব কার্যক্রম মানুষকে কেন্দ্র করে। মানুষের ভালো-মন্দ, পথচলা, খাওয়া-দাওয়া, সংসার করা, ছেলেমেয়ে হওয়া, সমাজ, রাষ্ট্র গঠন সবই পরিকল্পনার আলোকেই হয়ে থাকে। আল্লাহর পরিকল্পনার সাথে কারো পরিকল্পনার মিল নেই। তিনি যা ভালো মনে করেন, তাই করেন। কারো কাছে পরামর্শ নিতে হয় না বা কারো উপদেশও দরকার হয় না।
মানুষ সৃষ্টির পর থেকেই শয়তান মানুষকে বিভ্রান্ত করার কাজ করে আসছে। বার বার মানুষরূপী শয়তান ষড়যন্ত্র করে, মহান আল্লাহ ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করার কৌশল অবলম্বন করেন। তাঁর কৌশলই কার্যকর হয়। সূরা আল ইমরানের ৫৪নং আয়াতে এ ব্যাপারে উল্লেখ আছে।
মহান আল্লাহ তায়ালা আদম আ. থেকে শুরু করে দুনিয়ায় চলার জন্য যুগে যুগে নবী-রাসূল পাঠিয়ে দেন- ঐ যুগের উপযুক্ত করে বাণী দিয়ে, যা দ্বারা নবী-রাসূলগণ ঐ সময়ের জনগোষ্ঠীদের আল্লাহর নির্দেশিত পথে চালাতে পারেন। যেহেতু মানুষ সৃষ্টির সাথে সাথেই ইবলিস শয়তান মানুষকে ভুল পথে নেয়ার উদ্দেশ্যেই দুনিয়ায় এসেছে, তাই নবী-রাসূলদের উম্মতদের ভুল পথে নেয়ার কোশেশ করছে।
আল কুরআন সর্বশেষ আল্লাহর বাণী। নবী মুহাম্মদ সা. সর্বশেষ নবী ও রাসূল। নবী মুহাম্মদের সময়েও আবু জাহেল, আবু লাহাবরা নবীকে কষ্ট দিয়েছে। সব মুসলিমদের ধোঁকা দেয়ার নানা ফন্দি-ফিকির করেছে। কিন্তু আল্লাহ তাঁর মেহেরবানিতে তাঁর নির্দেশিত পথেই ঈমানদারদের সাহায্য করেছেন। বিজয় দিয়েছেন।
আজকের যুগেও আমরা দেখি ফেরাউনের পানিতে ডুবে মরা। আবাবিল পাখির ছোট পাথরের আঘাতে শক্তিধর বাদশা আবরাহার হাতি বাহিনীর পরাজয়ের গ্লানি ভোগ করে মৃত্যুবরণ। নমরূদের মৃত্যু কাহিনী, একটি ঠ্যাং ভাঙা মশার আঘাতে পরাজয়, ইরানের রাজা পাহলবীর দেশ থেকে পালানো, শক্তিধর যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর রাতের অন্ধকারে আফগানিস্তান থেকে পলায়নের ঘটনা, শেখ হাসিনার পালানোর ঘটনা তো সবেমাত্র ঘটেছে ছাত্র-জনতার মাত্র ৩৬ দিনের আন্দোলনের মাধ্যমে। দীর্ঘ ১৬ বছর জগদ্দল পাথরের মতো জনগণকে নির্যাতনের জাঁতাকলে নিষ্পেষন করে, জেলে ভরে, গুম করে, আয়নাঘরে নিয়ে ছাত্র-জনতাকে জাহান্নামের আজাবের মতো ঘরছাড়া, বাড়িছাড়া, ব্যবসাছাড়া, দেশছাড়া, ফাঁসি দেয়া সবই হাসিনা করেছিল তার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য। কিন্তু মহান আল্লাহ চাইছেন বেইজ্জতির সাথে তাকে দেশছাড়ার ব্যবস্থা করে। মকরবাজি যতই মানুষ করুক না কেন, মহান আল্লাহর পরিকল্পনাই চূড়ান্ত। তাঁর পরিকল্পনায় যেমন কোনো খুঁত ধরার ব্যবস্থা নেই, আবার তাঁর কোনো পদক্ষেপ বাধা দেয়ারও কারো ক্ষমতা নেই। তিনি আমাদের একমাত্র অভিভাবক, তিনিই আমাদের একমাত্র সাহায্যকারী।
সর্বশেষ ঘটনা সিরিয়ার আসাদ সরকারের পতন ও দেশ ছেড়ে পালানোর উপাখ্যান। জনতার মাত্র ১২ দিনের অভিযানে আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের রাজপ্রাসাদ তছনছ হয়ে গেল। আসাদের পূর্বপুরুষদের মোড়ে মোড়ে স্থাপিত মূর্তিগুলোকে জনগণ ধুলায় লুটিয়ে দিয়েছে। মহান আল্লাহ ছাড় দেন, কিন্তু ছেড়ে দেন না। যুগে যুগে তিনি প্রমাণ করেছেন, তার প্রিয় জনগণকে যারা কষ্ট দেবে, নির্যাতন করবে, তাদের পরিণতি আল্লাহর চূড়ান্ত পরিকল্পনায় ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।
সদ্য ঘটিত বাংলাদেশে হাসিনা ও সিরিয়ার বাশার আল আসাদের পতন এবং দেশ থেকে পালানো বিশ্ববিবেকের কাছে আবার প্রমাণিত হলো স্বৈরাচারদের পতন আল্লাহ তাঁর অমোঘ নিয়মেই করে থাকেন। স্বৈরাচার হাসিনার পলায়নের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলন দুনিয়ার বুকে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। ছাত্র-জনতা সাধারণ মানুষ যেভাবে রাস্তায় নেমে এসেছিল, তা দেশের মানুষ সরকারের বা বিরোধীদলের কেউ কল্পনাই করেনি। ৫ আগস্ট হাসিনার পলায়নের খবর প্রচারের সাথে সাথে মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ প্রকাশের জন্য যার যার অবস্থান থেকেই মাঠে নেমে এসেছিল। যদিও ঐ দিন বাপ-বেটা হাসিনার পেটোয়া বাহিনীর দ্বারা গ্রেফতার হয়ে জেলখানায় থাকতে হয়েছিল। ৫ তারিখ ২টার সময় এক ঝাড়ুদার আমাদের দরজায় এসে তার অনুভূতি জানাল, স্যার পালিয়ে গেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে জেল কর্তৃপক্ষ সব জেলের তালা খুলে দিতে বাধ্য হয়। শত শত লোক মাঠে নেমে আসে উল্লাস করার জন্য। বিএনপি-জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারাও জেলখানার মাঠে নেমে আসেন। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ভাই আমাদের রুমের সামনে এসে বললেন, আসেন সবাই আমরা মাঠে গিয়ে সবার সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করি। তখনকার অনুভূতি লিখে প্রকাশ করা যাবে না। আমাদের মুখোমুখি রুমে ছিল অসীম মাহমুদ। আহত অবস্থায়ই মাঠে নেমে এলেন। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর। পরদিনই আমরা সবাই ছাড়া পেলাম। লম্বা লাইন ধরে যার যা হাতে ছিল তাই নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় গভীর রাত পর্যন্ত কয়েক হাজার লোক কারামুক্ত হলো। আগেই বলেছি, ষড়যন্ত্র যতই হোক, আল্লাহর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে আমরা স্বাধীনভাবে ঘরে ফিরতে পারলাম।
আল্লাহর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে আজ ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রক্ষমতায় প্রধান উপদেষ্টা হয়ে দেশ চালাচ্ছেন। যাকে জেলে ভরার জন্য হাসিনা উদ্যোগ নিয়েছিল। উপদেষ্টারা রাষ্ট্র চালাতে অভিজ্ঞ না হলেও ইতোমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন, যা দেশের জন্য ইতিবাচক।
সবচেয়ে বড় একটা কাজ হয়েছে দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ। দেবপ্রিয় সাহেবের নেতৃত্বে কমিটি নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যেই তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে রিপোর্ট পেশ করেছেন। খুবই ভালো খবর। যেহেতু উপদেষ্টাদের হাতে সময় কম, তাই সব সংস্কার কমিটি সঠিকভাবে সময়মতো কাজ করলে দেশের জন্য একটি বড় উদাহরণ হয়ে থাকবে।
ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে। তারা তাদের কাজ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের একটি বিজ্ঞাপন দেখলাম বিভিন্ন পত্রিকায়। খুবই ভালো উদ্যোগ। সৎ, যোগ্য লোকদের ভোটের ব্যাপারে হ্যাঁ-সূচক ইনফরমেশন দেয়াটা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। ভোটার লিস্ট প্রকাশ, নতুন ভোটার সংগ্রহের জন্য বাড়ি বাড়ি যাওয়ার প্রকল্পও তারা নিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন সহযোগিতা করে নির্বাচনকে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে পরিণত করার জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে। জাতিকে একটি ভালো, গ্রহণযোগ্য, সবার অংশগ্রহণে কাজ করলে গত ৩টি নির্বাচনে যে ডামি ও ভুয়া নির্বাচন হয়েছে, তা প্রমাণ হবে। দেশের মান বৃদ্ধি পাবে। ইতোমধ্যেই প্রধান উপদেষ্টা দেশে ও বিদেশে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিবেশী ভারতের সাথে আমাদের দেশের যে টানাপড়েন চলছে, তা নিরসনের জন্য ইতোমধ্যেই ঢাকায় সচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। আমাদের দেশ যে নতুন স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছে, তা আমাদের সচিব জানান দিতে পেরেছেন। সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে তাদের কথা থাকলেও আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারিÑ সংখ্যালঘুদের নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই। বরং তারা আওয়ামী লীগ দ্বারাই বেশি নির্যাতিত হয়েছে। জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধীদলগুলো বরং তাদের মন্দির পাহারা দিয়েছে। জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন যে, আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই, যেখানে মসজিদ, মন্দির পাহারা দিতে হবে না। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সহাবস্থান করব শান্তির সাথে কোনো বাধা থাকবে না।
গত কয়েকদিন পূর্বে ইসলামী ছাত্রশিবির দেশের জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। গত আগস্ট বিপ্লবের ৩৬ দিনে দেশের অবস্থার আলোকে বাস্তবধর্মী একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারাসহ সাধারণ জনতার ঢল নেমেছিল জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে। আমরাও পরিবারের লোকসহ অন্যরাও পরিবার নিয়ে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের ঘটনাপ্রবাহ স্বচক্ষে দেখে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েছে। জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান সাহেব তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে মিডিয়ার সামনে আবেগে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। প্রদর্শনীতে জামায়াত-বিএনপির নেতাদের ফাঁসি, জেল, খুন-গুমের চিত্র যেমন তুলে ধরা হয়েছে, তেমনি শহীদ আবু সাইদ, মুগ্ধসহ জানা-না জানা শহীদ, আহতদের ছবি সংগ্রহ করে প্রদর্শনীতে স্থান করে দিয়েছে। জনগণের পয়সায় দেশ চালিয়ে পুলিশ বাহিনী দিয়ে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা, রক্তাক্ত করার ছবি শিবির জনগণের সামনে তুল ধরেছে। তারা ভিডিও করে গোটা দেশে প্রচার করার জন্য উদ্যোগ নেবেন। আমি নিজেও পরিদর্শন বইতে এ পরামর্শ দিয়ে এসেছি।
জাতিকে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে। সৎ, যোগ্য, আল্লাহভীরু লোক তৈরি করতে পারলেই দেশ ভালো করার ব্যবস্থা হবে। হাট-বাজার, নদী, খাল দখলে জামায়াত-শিবিরের কোনো লোক জড়িত হয়নি। বরং আমাদের বিরোধীদলের বড় পার্টনার বিএনপির লোকেরা সর্বক্ষেত্রে আগের চাঁদাবাজি অব্যাহতভাবে পটপরিবর্তন করে ১৬ বছরের না খাওয়া পরিবেশ থেকে বেশি করে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। যদিও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বার বার সাবধান করা সত্ত্বেও পরিস্থিতির উন্নয়ন হয়নি। অনেক নেতাকে তারা বহিষ্কারও করেছে। তাতে কী? দল যদি ক্ষমতায় আসে আবার তারা যার যার জায়গায় ফিরে আসবে। আমরা এর প্রতিকার চাই। কোনো অবস্থায়ই জনগণ, ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি-দখলবাজি করা যাবে না।
দেশের মালিক জনগণ। তাই তাদের ভালোর সাথেই আমার-আপনার ভাগ্য জড়িত। আগের স্বৈরাচারের মতো কোনো ব্যবহার করা যাবে না। আমি নিজে স্কুল-কলেজ–মসজিদ-মাদরাসার সাথে জড়িত। সবখানেই অবৈধ চাপ লেগেই আছে। আমি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বলে দিয়েছি, কোনো অবৈধ চাপে মাথানত করা যাবে না। প্রতিষ্ঠান তার নিয়ম-নীতির মধ্যেই চলবে। এর প্রতি সতর্ক থাকতে হবে। কোনোভাবেই অন্যায়ের কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না।
আগের স্বৈরাচার সরকারের লোকজন বিভিন্নভাবে এ সরকারকে ব্যর্থ করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। কোনোভাবেই তাদের প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। প্রয়োজনে যারা আগের সরকারের দোসর, তারা যদি ভালো কাজ না করে, ভালো হয়ে না যায়, তবে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে।
স্বৈরাচার হাসিনা পালিয়ে থেকে যতই হম্বিতম্বি করুক না কেন, জনগণের রোষে পালাতে বাধ্য হয়ে আবার দেশে ফেরার কাল্পনিক চিন্তা করে কোনো লাভ হবে না। ইতোমধ্যেই প্রধান উপদেষ্টার সাথে ১৪ দল ছাড়া সব ছাত্র-জনতার দলের সাথে বৈঠক করে সবাই ঐক্যের পথেই দেশ এগিয়ে নেয়ার প্রতিজ্ঞা করেছে। আমরা আশা করব, বড় দলগুলোকে ছাড় দিয়ে হলেও ঐক্য বজায় রেখে দেশটাকে নির্বাচনমুখী করতে হবে।
পুলিশ বাহিনীর সংস্কার অতি দ্রুত করতে হবে। পুলিশ কমিশন করা জরুরি। দেশের আইনশৃঙ্খলার জন্য পুলিশের ভূমিকা অতি প্রয়োজন। সৎ, যোগ্য লোক নিয়োগ দিয়ে এর অভাব পূরণ করতে হবে। আমরা দেশের ভালো চাই, দেশের উন্নয়ন চাই, খেয়ে পরে বাঁচার মতো বাঁচতে চাই। ছেলেমেয়ের লেখাপড়া, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ করেই আগামী দিনের সরকার গঠনে ভূমিকা রাখতে চাই। স্বাস্থ্যসেবার জন্য বিদেশ নির্ভরতা বন্ধ করতে হবে। দেশেই অনেক ভালো প্রতিষ্ঠান আছে। প্রয়োজনে আমাদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন। সর্বোপরি ষড়যন্ত্র যতই হোক আল্লাহর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত- এ ব্যাপারে আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে।
লেখক : সাবেক সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।