সংবাদপত্রের পাতা থেকে


১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:২০

॥ আহমদ আজিজ ॥
ব্যাংক লুটকারীদের বিরুদ্ধে ভিয়েতনামের মডেল অনুসরণ করবে কি বাংলাদেশ

ব্যাংক লুটকারীদের বিরুদ্ধে ভিয়েতনামের মডেল অনুসরণ করবে কি বাংলাদেশ- বণিক বার্তা পত্রিকার ১১ ডিসেম্বরের প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়, চীনা ভিয়েতনামি পরিবারে জন্ম নেওয়া টরুং মাই লান হলের ভিয়েতনামের অন্যতম শীর্ষ ধনী। কিন্তু গত অক্টোবরে তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয় এবং পরে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে ট্রুং মাই লান আপিল করেছিলেন, যা গত তেসরা ডিসেম্বর খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। তবে ভিয়েতনামের আইন অনুসারে, আত্মসাৎ করা অর্থের তিন-চতুর্থাংশ ফেরত দিলে সাজা মওকুফের সুযোগ রয়েছে।
আদালত তার রায়ে জানিয়েছিলেন, ট্রুং মাই লানের মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত হবে, যদি তিনি নয় বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেন। তবে বিদ্যমান অবস্থায় তিনি তার সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানার অর্থ সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে গণমাধ্যমের খবরে এসেছে। ভিয়েতনামের এ ঘটনাটি বাংলাদেশের জন্যও শিক্ষণীয় বলে মনে করেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংক খাত সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্য ড. জাহিদ হোসেন।
‘পাঁচ প্রকল্পেই খরচ বাড়ে ৫৬ হাজার কোটি টাকা’- আজকের পত্রিকার ১১ ডিসেম্বরের প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ যোগাযোগ খাতের পাঁচটি মেগা প্রকল্পে সব মিলে ব্যয় বেড়েছে ৫৬ হাজার ৬০৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের এসব প্রকল্পে খরচ হয়েছে প্রাথমিক খরচের চেয়ে অনেক বেশি।
দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরা শ্বেতপত্রে মেগা প্রকল্পের খরচের এমন চিত্র উঠে এসেছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি বলেছে, কয়েকটি প্রকল্প এখনো শেষ হয়নি। ফলে খরচ আরও বাড়তে পারে।
এই পাঁচ প্রকল্পের অপর তিনটি হলো পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেল ও দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ।
ওই শ্বেতপত্রে সড়ক, সেতু ও রেল যোগাযোগ খাত নিয়ে উল্লেখ করা হয়, সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়া, অদূরদর্শী নীতি এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাবে প্রকল্পগুলোর ব্যয় ক্রমাগত বাড়ছে।
পদ্মা সেতুসহ ওই পাঁচ বড় প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে মোট ব্যয় ছিল ৭৭ হাজার ৪৩৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। পরে এসব প্রকল্পে ধাপে ধাপে ব্যয় আরও ৫৬ হাজার ৬০৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বাড়ানো হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় বৃদ্ধি, পরিকল্পনায় পরিবর্তন এবং সঠিক পূর্বাভাসের অভাবে এ ব্যয় বেড়েছে।
মামলামুক্ত হতে আর কত অপেক্ষা- বাংলাদেশ প্রতিদিনের ১১ ডিসেম্বরের এ খবরে বলা হয়, মামলা থেকে মুক্ত হতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আর কত অপেক্ষা? অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর অনেকে মামলা থেকে খালাস পাচ্ছেন। গত ফ্যাসিস্ট সরকার ১৫ বছরে রাজনীতিবিদসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে অসংখ্য মামলা দিয়েছিল। এসব রাজনৈতিক মামলায় যারা সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী ছিলেন তারা হলেন- বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। সরকারি চাকরিতে সরকারই উদাসীন। এটি দেশ রূপান্তরের ১১ ডিসেম্বরের প্রধান শিরোনাম। এ প্রতিবেদনে বলা হয়, সংসদে প্রায়ই শূন্যপদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। এরপর টানা কয়েকদিন সরকারি দপ্তরে, অভিভাবক মহলে আর বেকারদের আড্ডায় শূন্যপদ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মনে করে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো কাজ করে না বলেই যোগ্য লোক পাওয়া যায় না। অভিভাবক তুলোধুনো করে বেকার ছেলেকে। আর বেকার ভাগ্যকে দোষারোপ করে।
এখন সংসদ নেই। তাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকেই শূন্যপদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। গত ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সব মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থার মহাপরিচালক, করপোরেশনগুলোর চেয়ারম্যান, রেক্টর, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জনবল নিয়োগে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার। একই সঙ্গে লোক নিয়োগের কাজ বেগবান করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
Border security beefed up as fresh influx feared- নিউএজ পত্রিকার ১১ ডিসেম্বরের প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়, নতুন অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার।
কারণ গত ৮ ডিসেম্বর রোববার মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি দাবি করেছে যে রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের পশ্চিমাঞ্চলে থাকা দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের শেষ ঘাঁটি দখল করেছে।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের পক্ষে মত- সমকাল পত্রিকার ১১ ডিসেম্বরের প্রধান শিরোনাম এটি। খবরে বলা হয়, সংবিধান সংস্কার কমিশনের উদ্যোগে পরিচালিত জনমত জরিপে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা চালুর পক্ষে মত দিয়েছে বেশির ভাগ মানুষ। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পদে এক ব্যক্তির সর্বোচ্চ দুইবার থাকার পক্ষে মত এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারসাম্য আনতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষেও অবস্থান নিয়েছেন উত্তরদাতারা। সাধারণ নাগরিকের মতামত গ্রহণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাধ্যমে এ জরিপ চালানো হয়।
‘হাসিনাকে রেখেই এগোবে ভারত’- এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার ১০ ডিসেম্বরের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকছেন, এটি মেনে নিয়েই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্র্নির্মাণ করতে চায় দেশটি। ভারত মনে করে, দেশটিতে শেখ হাসিনার অবস্থান সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার পথে প্রভাব ফেলবে না। গত ১০ ডিসেম্বর সোমবার ঢাকা সফরে আসা ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি এমন বার্তা দিলেন বাংলাদেশকে।
বিক্রম মিশ্রি একই সঙ্গে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে তার সরকারের উদ্বেগের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। অবশ্য এ বিষয়ে বাংলাদেশ থেকে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়টি এ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে অন্য দেশের কথা বলাটা সরকার গ্রহণ করছে না।
দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বার্ষিক পরামর্শমূলক সভায় (এফওসি) যোগ দিতে বিক্রম মিশ্রি ঢাকায় আসেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর এটি দেশটির কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার প্রথম বাংলাদেশ সফর। দিল্লি থেকে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া, ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী প্রচার, আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, দুই দেশের ভিসা কমিয়ে দেওয়াসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে অস্থিরতার মধ্যে সফরটি অনুষ্ঠিত হয়।
এফওসিতে অংশ নেওয়া ছাড়াও বিক্রম মিশ্রি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সব বৈঠকেই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অস্থিরতা কাটানোর ওপর জোর দেয় বাংলাদেশ ও ভারত। তবে সরকারি সূত্রের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে ভারতের মন্তব্য করা, সীমান্ত হত্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতভেদ কমেনি।
দৈনিক প্রথম আলোর ১০ ডিসেম্বরের প্রথম পাতার খবর ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা ২৮% বেকার’। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ২৮ শতাংশ। পাস করে যারা চাকরিতে আছেন, তারা বেশির ভাগ স্বল্প আয়ের চাকরি করেন। নারী শিক্ষার্থী ও গ্রামের পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্য বেকারের
সংখ্যা বেশি।
রাজধানীর একটি হোটেলে গত ১০ ডিসেম্বর সোমবার বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত বার্ষিক উন্নয়ন সম্মেলনের তৃতীয় দিনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
সম্মেলনের একটি অধিবেশন ছিল শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে। সে অধিবেশনে তিনটি গবেষণাপত্র তুলে ধরা হয়, যার একটি কিডনি চিকিৎসার ব্যয় নিয়ে। বাকি দুটি ছিল কমিউনিটি ক্লিনিক ও বেকারত্ব নিয়ে। অধিবেশনটিতে সভাপতিত্ব করেন ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসের সহ-উপাচার্য এ কে এনামুল হক।
দৈনিক কালের কণ্ঠের ১০ ডিসেম্বরের প্রথম পাতার খবর, ‘চাঁদাবাজিতে ৩০ শতাংশ বাড়ছে পণ্যের দাম’। প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্র্বর্তী সরকারের নানামুখী উদ্যোগেও কমছে না সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজি। হাত বদলে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজরা। যার প্রভাব পড়ছে বাজারগুলোতে। হুহু করে বাড়ছে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম।
হাসিনা সরকারের পতনের পর মাসখানেক বন্ধ থাকলেও সিন্ডিকেট আর চাঁদাবাজরা ভোল পাল্টে আবার সক্রিয় হয়েছে। যার কারণে চাল, পেঁয়াজ, আলু, রসুন, মাংসসহ প্রায় সব ধরনের পণ্যই চড়া দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এক মাস ধরে বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। এর প্রভাবে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে গেছে।
এদিকে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে অন্তর্র্বর্তী সরকার শুল্ক ও করছাড়ের মতো বেশকিছু উদ্যোগ নিলেও সেই সুবিধা ব্যবসায়ীরা লুটে নিচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এখন আবার আগের অবস্থায় চাঁদাবাজ ও সিন্ডিকেট ফিরে এসেছে। শুধু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হাতবদল হয়েছে।
কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, ‘৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর নিত্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করেছিল।
‘স্নাইপার, এসএমজিসহ ভারী আগ্নেয়াস্ত্রগুলো কোথায়?’- এটি দৈনিক ইত্তেফাকের ১০ ডিসেম্বরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিন ৫ আগস্ট দায়িত্বরত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যরা ভল্টে অস্ত্র জমা রেখে গণভবন ছেড়ে চলে যান। পরে অভ্যুত্থানকারীরা গণভবনে ঢুকে পড়লে এক পর্যায়ে ভল্টে রাখা এসএসএফের ৩২টি অত্যাধুনিক অস্ত্রও লুট হয়। এর মধ্যে অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল, স্নাইপার রাইফেল, এসএমজি টি-৫৬-সহ অত্যাধুনিক সব আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, লুট হওয়া ঐ অস্ত্রগুলো হাতবদল হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসীদের হাতে চলে গেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ঐ সময় পুলিশ, বিভিন্ন থানা, কারাগার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ হাজার ৮২৯টি অস্ত্র এবং ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৪২টি গুলি লুট হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৪৬টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২ লাখ ৬২ হাজার গোলাবারুদ উদ্ধার করা যায়নি। এগুলো যদি সন্ত্রাসীদের হাতে গিয়ে থাকে, তাহলে নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, অস্ত্রগুলো কোনো স্বাভাবিক মানুষের কাছে থাকার কথা নয়।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘Yunus hints at announcement on polls this month’ অর্থাৎ ‘চলতি মাসেই নির্বাচন ঘোষণার ইঙ্গিত ইউনূসের’।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস গত ৯ ডিসেম্বর ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তার সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে ‘এক ধরনের ঘোষণা’ আসবে।
তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ইউরোপের ১৯টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, এস্তোনিয়া, লুক্সেমবার্গ, স্লোভাকিয়া, সাইপ্রাস, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া ও রোমানিয়ার মিশন প্রধানদের সঙ্গে ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, সুইডেন ও নেদারল্যান্ডসের মিশন প্রধানরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
তবে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে বলে রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে বলেন ইউনূস।
‘নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে চলতি মাসেই ঘোষণার ইঙ্গিত’- এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের ১০ ডিসেম্বরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে চলতি মাসেই ঘোষণা আসতে পারে এমনটি ইঙ্গিত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে নেওয়া উচিত। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘পুরনো প্রচলিত সমস্যা পরিহারে নির্বাচনসংক্রান্ত কতিপয় সংস্কার নির্বাচনের আগেই শেষ করা জরুরি।’ গতকাল সোমবার ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তাদের প্রস্তাবগুলো অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তাদের সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার যদি এখন নির্বাচন দেয়, তবে সেটা হবে সেকেলে এবং তখন পুরনো সব সমস্যা আবারও ফিরে আসবে।
পলাতক কর্তাদের কাছে তথ্য ফাঁস করছেন আস্থাভাজনরা!
দৈনিক দেশ রূপান্তরের ৯ ডিসেম্বরের প্রথম পাতার খবর, ‘পলাতক কর্তাদের কাছে তথ্য ফাঁস করছেন আস্থাভাজনরা!’ খবরে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশের অন্তত দুই শতাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা আত্মগোপনে থাকলেও তাদের আস্থাভাজনরা (সিন্ডিকেট) আছেন বহাল তবিয়তে। তারা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। সেখান থেকে কৌশলে বাহিনীর গোপন তথ্য পলাতক কর্তাদের কাছে পাচারও করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, পুলিশের মধ্যে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট কাজ করবে না। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের বিষয়ে তদন্ত শেষে নেওয়া হবে ব্যবস্থা। নিরপরাধ পুলিশের কোনো সদস্যকে হয়রানি করা হবে না।
এদিকে আত্মগোপনে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা ও অন্য সদস্যদের বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। চলতি মাস থেকেই তা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তাছাড়া তাদের বিষয়ে পুলিশের সর্বোচ্চ সংস্থা ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে পুলিশ। ইতোমধ্যে তাদের প্রোফাইল সংগ্রহ করেছে পুলিশ সদর দপ্তরের ইন্টারপোল বিভাগ। নির্দেশনা আসার পরপরই ইন্টারপোলের সদর দপ্তরে পাঠানো হবে তালিকাটি।
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সব ভোট চান জনপ্রতিনিধিরা’- এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার ৯ ডিসেম্বরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় সংসদ এবং স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি), পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশনের নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা। প্রয়োজনে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন। তারা স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন দলীয় প্রতীকের পরিবর্তে নির্দলীয় প্রতীকে করার দাবিও জানিয়েছেন।
গত ৮ ডিসেম্বর রোববার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের বৈঠকে এসব দাবি জানানো হয়। জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সিটি করপোরেশন, ইউপিসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের ২০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। তাদের অনেকে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার দাবিও জানান।
সূত্র জানায়, বৈঠকে জনপ্রতিনিধিদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত এসেছে। বৈঠকে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করা, দিনের ভোট যেন রাতে না হয়, আগের সরকারের আমলের কেউ যেন পুনর্বহাল না হয়, সংরক্ষিত মহিলা আসনে ঘূর্ণমান পদ্ধতিতে ভোট, মেয়রের ক্ষমতা কমানোর জন্য প্যানেল থেকে একজন পুরুষ ও একজন নারীকে স্বাক্ষরের ক্ষমতা দেওয়া, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানদের ক্ষমতায়িত করা, একজনের ভোট আরেকজনের দেওয়া রোধে ভোটের সময় আঙুলের ছাপ নেওয়া, স্থানীয় সরকারের জন্য সমন্বিত আইন করা, কোনো ভোটার তার নির্বাচনী এলাকার বাইরে অবস্থান করলে বা প্রবাসে থাকলে ই-ভোটিংয়ের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ রাখা। এছাড়া নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো যাতে পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার বহাল রাখে, সে প্রস্তাবও দেন তারা।
দৈনিক যুগান্তরের ৯ডিসেম্বরের প্রধান শিরোনাম, ‘সম্পদ বিক্রি করে ঋণের টাকা আদায় হবে’। খবরে বলা হয়, ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানির (সাবেক নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান) সাবেক পরিচালক, যারা ঋণখেলাপি হয়েছেন, তাদের শেয়ার বিক্রি করে ঋণের টাকা আদায় করা হবে। এতে পুরো টাকা আদায় না হলে দেশে তাদের নামে যেসব সম্পদ রয়েছে, সেগুলোয় হাত দেওয়া হবে। এতেও টাকা আদায় না হলে সংশ্লিষ্ট সাবেক পরিচালককে ঋণ শোধের নির্দেশ দেওয়া হবে। শোধ না করলে আইনি ব্যবস্থা অনুযায়ী জেল-জরিমানার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া যারা ঋণের টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে টাকা পাচার করেছেন, তাদের বিদেশে থাকা সম্পদের অনুসন্ধান চলছে। ওইসব সম্পদ দেশে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। আর যারা সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ঋণ শোধ না করবেন, তাদের ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঘোষণা করে ব্যবসার সুযোগ সংকুচিত করে ফেলা হবে।
দৈনিক সমকালের ৯ ডিসেম্বরের প্রধান শিরোনাম, ‘কর্মকর্তাদের কারসাজিতে পেঁয়াজ চাষে সর্বনাশ’। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সরবরাহ করা ৩৪ টন পেঁয়াজের বীজ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ৫৯ জেলায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে এক কেজি করে মাগনা পেঁয়াজের বীজ পেয়ে ৩৪ হাজার কৃষকের মলিন মুখে ফুটেছিল চওড়া হাসি। প্রণোদনার এ বীজ যে এতটা যন্ত্রণার ঝাঁজ হয়ে ফিরবে, আন্দাজও করতে পারেননি চাষিরা। ঠিক সময়ে, সঠিক নিয়মে বীজ বপন করার পরও ৯৫ শতাংশ পেঁয়াজ চারা মাটি ফুঁড়ে বের হয়নি। বীজ থেকে পেঁয়াজ না আসায় এ বছর হাজার হাজার চাষির স্বপ্ন মাঠে মারা। এ পরিস্থিতির জন্য কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদেরই দুষছে কৃষককুল।
কৃষকের অভিযোগ, সরকার যে পেঁয়াজ বীজ দিয়েছে, তা ভেজাল। বিএডিসির কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার কারসাজিতেই এমন সর্বনাশ হয়েছে। একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে এভাবে নিম্নমানের ভেজাল বীজ কৃষকের হাতে তুলে দিচ্ছে। বীজ আমদানির নামে কোটি কোটি টাকা লুটে নিলেও এখনও তারা অধরা। অবশ্য অভিযোগ আসার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিকে ফের বিনামূল্যে উন্নত মানের পেঁয়াজ বীজ সরবরাহও করা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বিএডিসি গঠন করেছে আলাদা তদন্ত কমিটি। প্রণোদনার পেঁয়াজের বীজে ভেজাল ছিল, এরই মধ্যে তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
‘হাসিনাকে দেশে এনে আইনের সম্মুখীন করবে সরকার’- এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের ৯ ডিসেম্বরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের প্রত্যাবর্তন (বন্দী বিনিময়) চুক্তি রয়েছে। এই অনুযায়ী কাউকে ফেরাতে হলে কিছু আইনি (লিগ্যাল) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এ আইনি প্রক্রিয়া চলছে। এটি শেষ হলেই শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের সাথে কথা বলবে সরকার। আমরা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের সম্মুখিন করতে চাই।
গত ৮ ডিসেম্বর রোববার সন্ধায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন আরেক উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
‘বছরে অনুমোদন ২০-২২ হাজার, প্রকৃত সংখ্যা কেউ জানে না’- এটি দৈনিক বণিক বার্তার ৯ ডিসেম্বরের প্রধান শিরোনাম। দেশের শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশিদের ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি তত্ত্বাবধান করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠানে বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ পেতে সংস্থাটির কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। বিডায় সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কতজন বিদেশি ওয়ার্ক পারমিট চেয়ে আবেদন করেছে, সে তথ্য এখনো প্রকাশ হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এ সময় দেশে কাজের অনুমোদন পাওয়া বিদেশির সংখ্যা ২০-২২ হাজার।