মাঠ পর্যায়ের সঠিক চিত্র পাচ্ছে না সরকার : ত্বরিত সিদ্ধান্ত ঝুঁকি বাড়াচ্ছে অর্থনীতিতে


১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:১৩

॥ উসমান ফারুক॥
লুটপাট, দুর্নীতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও অর্থ পাচারের কারণে দুরবস্থায় চলে যাওয়া অর্থনীতি এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারে পতন আন্দোলনে ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লব সফল হয়। সেই অর্থনীতিকে খাদ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় ধীরে ধীরে সম্প্রসারিত হচ্ছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও। কিন্তু মাঠপর্যায়ের সঠিক চিত্র সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পাঠাচ্ছে না আমলাদের একটি অংশ। এতে করে আচমকা দেখা দিচ্ছে কারণ ছাড়া সংকট। তা সমাধানে সরকার ত্বরিত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যার বেশিরভাগই নতুন সমস্যায় ফেলবে সাধারণ জনগণকে। সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি, খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাফে দ্বিগুণ করার মতো সিদ্ধান্ত, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারা, গত সাড়ে চার মাসেও পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড় করাতে না পারা, রাজস্ব আদায়ে শিল্প গড়ে ওঠার সহায়ক শুল্কছাড় বন্ধ করে দেয়ার আগাম ঘোষণা ও কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ করার মতো বিষয়ে সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের ত্বরিত সিদ্ধান্তে তার ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এমনকি কয়েকটি গণমাধ্যমেও অর্থনীতির কয়েকটি বিষয়ে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত সতর্ক না হলে অর্থনীতি পুনরায় চাপে পড়ে যেতে পারে। জানা গেছে, দুর্নীতি ও লুটপাটের সব দায় ব্যবসায়ীদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে আমলারা সরকারের কাছে আস্থাভাজন হওয়ার চেষ্টা করছেন। মোটাদাগে সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে তৎপরতায় এখনো আছেন সাবেক সরকারের সুবিধাভোগী আমলারা। এতে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিকভাবে ভুল বার্তা যাচ্ছে ব্যবসায়ী সমাজে। গুটি কয়েক ব্যবসায়ীর অনিয়ম দিয়ে পুরো ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে চিত্রায়ন করা হচ্ছে। সরকারকে ব্যবসায়ীবিরোধী হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে।
অর্থনীতির ৮০ শতাংশ ব্যবসায়ীদের হাতে
সরকারি তথ্যানুযায়ী, দেশের অর্থনীতির ৮০ শতাংশই বেসরকারি পর্যায় বা ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। গত ১৫ বছরে পুরো অর্থনীতি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এর সুবিধা নিতে কিছু অসৎ ব্যবসায়ী পুরো ব্যবসায়ী সমাজের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর মধ্যেও বেশিরভাগ ব্যবসায়ী সততার সঙ্গে এখনো ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। নিত্যপণ্যের বাজারসহ সবকিছুতে আগের সরকারের সুবিধাভোগীদের বড় দখল রয়েছে। নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে পুরনো সিন্ডিকেট ভেঙে অর্থনীতিতে পণ্য সরবরাহ সহজ কাজ নয়। এমন অবস্থায় সৎ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে অসৎদের তাড়াতে হবে। এটি করতে গিয়ে যেন আবার নতুন সিন্ডিকেট তৈরি না হয়। আর পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখা ও কর্মসংস্থান বাড়াতে প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠান চালাতে বেক্সিমকোর মতো বিতর্কিত কোম্পানিগুলোয় প্রশাসক নিযুক্ত করতে হবে সরকারকে।
যথেষ্ট থাকার পরও সয়াবিন তেল পায়নি ভোক্তা
গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরেই ভোজ্যতেল সয়াবিনের সংকট ছিল দোকান পর্যায়ে। এক ও দুই লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছিল না। দু-একটি দোকান থেকে বাড়তি ২০-৩০ টাকা দিয়ে কিনতে হয় ভোক্তাদের। হঠাৎ করেই এরকম দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ ছিল না। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমগুলোয় সংবাদ প্রচার হলেও সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অধিদপ্তর ও সংস্থা ছিল নির্বিকার।
সর্বশেষ পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। সেখানে তেল সরবরাহকারীরা তথ্য তুলে ধরে বলেন, বাজারে সয়াবিন তেলের যথেষ্ট মজুদ আছে। দেশের কোথাও পরিবহন সমস্যা হয়নি। এর মধ্যে টিকে গ্রুপ জানিয়েছে, সয়াবিন তেলের চাহিদা বেড়েছে। যে ডিলার প্রতি মাসে তিন গাড়ি সয়াবিন তেল নিত। এখন তিনি এক সপ্তাহেই তিন গাড়ি সয়াবিন তেল কিনতে টাকা নিয়ে হাজির হচ্ছেন।
টিকে গ্রুপের মতো ব্যবসায়ীদের ধারণা, স্থানীয় পর্যায়ে মজুদ করা হয়েছে তেল। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এত সংস্থা তিন সপ্তাহেও তা জানতে পারল না। তেলের বাজার পরিস্থিতি সরকারকে অবহিত করল না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তৎপরতা দেখালো না এ মজুদের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ উপদেষ্টা জানান, বাধ্য হয়ে ৮ টাকা প্রতি লিটারে তেলের দাম বাড়ানো হয়। বিকেলে দাম বাড়ানোর পরপরই রাতে সব দোকানে পাওয়া গেছে সয়াবিন তেলের এক, দুই ও পাঁচ লিটারের বোতল।
দাম বাড়ানোর বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, সরবরাহ ঘাটতি হয়েছে। তেলের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী এস আলম গ্রুপের মালিকরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের কারখানাও বন্ধ। দেশের ভোজ্যতেলসহ ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক ও সারা দেশে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এস আলম গ্রুপ। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর থেকেই কোম্পানির সব ব্যাংক হিসাব বন্ধ করে রেখেছে সরকার। এতে আমদানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম থমকে আছে তাদের।
এ সুযোগে বাজারের তেল ব্যবসায়ীরা সরকারকে চাপ দিয়ে তেলের দাম বাড়িয়ে নিয়েছে। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম এখনো ছয় মাস আগে যা, ছিল তার চেয়ে কম। গত জানুয়ারি মাসে একটন রিফাইন্ড সয়াবিন তেলের দাম ছিল এক হাজার ২৫০ ডলার। গত এপ্রিল, জুন ও আগস্ট মাসে তা কমে এক হাজার ৫০ ডলারে নেমেছিল। তখনো দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বেশি ছিল। এখন প্রতি টন তেলের দাম উঠেছে প্রায় ১১০০ ডলার। তা এখনো গত জানুয়ারি মাসের চেয়ে নিচে রয়েছে।
গত ৫ মাস ধরেই টাকার মান ডলারের বিপরীতে কমেনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর তা আরো সুসংহত হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ ছিল না। তেলের এ দাম বৃদ্ধির প্রভাব অন্য পণ্যতেও পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তেলের মতো ৬০ হাজার ব্যক্তির কর্মসংস্থান, বৈদেশি মুদ্রা আনা ও অর্থনীতিকে সচল রাখতে ভূমিকা রাখছে বেক্সিমকো গ্রুপের ১৬৯টি প্রতিষ্ঠান। একইভাবে পোশাক খাতে নাসা গ্রুপও বড় অবদান রাখছে। বর্তমানে এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। সবগুলোর ব্যাংক হিসাব বন্ধ রেখেছে সরকার। কর্মীরা বেতন না পেয়ে সড়কে আন্দোলন করছে।
এমন পরিস্তিতিতে প্রতিষ্ঠান মালিকদের ব্যাংক হিসাব বন্ধ করে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া উচিত সরকারের। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো সচল থাকবে, অনিয়ম দুর্নীতিকারীদের শাস্তি দেয়া হলেও অর্থনীতিতে কোনো সমস্যা তৈরি হবে না। প্রয়োজনে ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী এসব প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করেও সচল রাখা দরকার। তাহলে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না। অন্যদিকে ভবিষ্যতে কেউ অর্থনৈতিক মাস্তান হওয়ার সাহস দেখাবে না।
একইভাবে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের তথ্য বৃদ্ধি করতে যাওয়ার বিষয়ে সরকার ভুল করতে যাচ্ছে বলে মনে করেন খাত সংশ্লিষ্টরা। আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে ব্যাংক খাতে সবচেয়ে বেশি লুটপাট হয়েছে। এ কারণে খেলাপি ঋণকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এখন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর এক লাফে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় তিন লাখ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ছয় লাখে উন্নীত করতে যাচ্ছে। হিসাবে স্বচ্ছতা আনতে এমন পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছে সরকার।
আপাতদৃষ্টিতে এটি সঠিক বলেও ব্যাংক ও অর্থনীতিতে বড় ধরনের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা তৈরি করবে। বিশাল এইপরিমাণের খেলাপি ঋণ এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদনে আনলে সমপরিমাণ অর্থ প্রভিশন অর্থাৎ পৃথক হিসাবে রাখতে হবে। এই অর্থ কোনো ব্যাংক খরচ করতে পারবে না। এতে বড় বড় দু-তিনটি ছাড়া বাকি সব ব্যাংকই তারল্য সংকটে পড়বে। সংকুচিত হয়ে পড়বে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ। টাকার সংকটে ব্যাংকগুলো শেয়ার বিক্রি করে দিবে। পুঁজিবাজারে তার প্রভাবে সূচকে পতন হবে। ব্যাংকগুলো লভ্যাংশ দিতে না পারলে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করবে। ফলে ব্যাংকের শেয়ার দরও কমে যাবে।
ব্যাংকাররা বলছেন, খেলাপি ঋণের প্রকৃত পরিমাণ নির্ণয় করা উচিত। এসব প্রতিষ্ঠানকে নতুন ঋণ দেয়া বন্ধ করে বিশেষ হিসেবে স্থানান্তর করা যেতে পারে। কোনো একটি গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান সেই তালিকায় উঠলে গ্রুপের অন্যসব প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যাংক ঋণ বন্ধ করে দিতে হবে। প্রকৃত সমস্যার কারণে খেলাপি ছাড়া বাকিদের সম্পত্তি ক্রোক ও পাসপোর্ট জব্দ করতে হবে। কয়েক ভাগে ধাপে ধাপে তাদের খেলাপি দেখাতে হবে। এভাবে ধাপে ধাপে প্রভিশন সংরক্ষণের সুযোগ দিলে ব্যাংক খাতে তারল্য আটকে যাবে না। তাহলে পুঁজিবাজারের ওপরও প্রভাব পড়বে না।
অন্যদিকে পুঁজিবাজারের নতুন নেতৃত্বও এখনো বিনিয়োগকারীদের আস্থায় আনতে পারছে না। ফ্যাসিস্ট সরকারের রেখে যাওয়া কর্মকর্তাদের নিয়েই কাজ করছে বর্তমান কমিশন। বিশ্লেষকরা বলছেন, পতিত সরকারের প্রতিনিধিদের নিয়ে কাজ করলে বর্তমান কমিশন বাজার ঠিক করতে পারবে না। গত প্রায় ৫ মাসে তাই দেখা গিয়েছে।
এনবিআরে ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রতিনিধি
সরকার পরিচালনায় রাজস্ব আদায়ে এখনো ছন্দে ফিরতে পারেনি সরকারের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পতিত সরকারের সর্বশেষ সময়ে গত নির্বাচনের আগে পদোন্নতি পাওয়া সচিব আব্দুর রহমান খানকে দেয়া হয়েছে এনবিআরের চেয়ারম্যান পদে। তিনি এখন এনবিআরকে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। ব্যবসায়ীদের জন্য আতঙ্কের নামে পরিণত হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটি। দায়িত্ব নেয়ার পর এখনো আগের সরকারের মদদপুষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেননি।
রাজস্ব আদায়ে কর্মকর্তাদের তৎপরতাও বৃদ্ধি করতে পারছেন না। এর ফলে রাজস্ব আদায় নেতিবাচক হয়েছে গত চার মাসে। এ সময়ে ৩১ হাজার কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে আগের বছরের তুলনায়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মন্দায় পড়া অর্থনীতিতেও রাজস্ব আদায় কমেনি বাংলাদেশের। অবশ্য সর্বশেষ গত দুই মাসে রাজস্ব আদায় কিছুটা বাড়লে তা প্রত্যাশিত নয়।
ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনীতি নিয়ে যত ভালো খবর জনগণ পাবে, তত আশাবাদী হবে সাধারণ জনগণ। কয়েকটি গণমাধ্যম সরকারকে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে একবার এ ধারণা জন্মালে তারা এক হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে চলে যাবে। কারণ ছাড়াই সয়াবিন তেলের মতো যেকোনো পণ্য দিয়ে জনগণকে জিম্মি করে ফেলার অপচেষ্টা বারবার করবে।
এজন্য দেশ ও অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র জানতে সরকারকে রাষ্ট্রীয় সংস্থার পাশাপাশি বিশ্বাসযোগ্য গণমাধ্যম ও রাজনীতিবিদ এবং সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সরাসরি তথ্য নিতে হবে। একশ্রেণির গণমাধ্যম অর্থনীতি নিয়ে ভুল ও মিথ্যা ব্যাখ্যা দিচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে একসময়ে। সরকারকে সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
সারা দেশের সাধারণ মানুষের রক্ত সাগরের বিনিময়ে এ সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে ছাত্র-জনতা। সেই প্রত্যাশা পূরণে অর্থনীতি নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়ে, বিশ্বাসযোগ্য অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করে মতামত নেয়া উচিত। সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কী হতে পারে, তা জেনেই বাস্তবায়ন করতে হবে। ফ্যাসিস্টদের দোসর এখনো সবখানে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে প্রশাসনে। সরকারের কোনো ভুল পদক্ষেপ তাদের জন্য সুযোগ করে দিতে পারে।