ভয়ংকর রূপে ফিরে আসার আওয়ামী হুংকার
১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫২
॥ হারুন ইবনে শাহাদাত ॥
‘ভয়ংকর রূপে ফিরে আসবে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ’ ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মাধ্যমে হুংকার দিচ্ছে পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসররা। যেমন সর্বশেষ দেখা গেছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা (দক্ষিণ) কার্যালয়ে লাগানো মাদকবিরোধী ডিসপ্লে বোর্ডে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরে আসবে’ লেখা ভেসে উঠেছিল গত ১২ জানুয়ারি রোববার। এর আগে গত ১ জানুয়ারি ‘আ’লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরে আসবে’ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে এ লেখা ভেসে ওঠে।
গত ৪ জানুয়ারি নড়াইলের লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ভেসে উঠেছে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা আবার আসবে বীরের বেশে। ৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী সদর, উপজেলার হাসপাতাল রোডের সিটি হসপিটাল প্রাইভেটের মূল ফটকের ডিসপ্লেতে ‘আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ লেখা ভেসে ওঠে। ৮ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে শেরপুর পৌর শহরের রঘুনাথ বাজার রোডে রাজ ক্রোকারিজ অ্যান্ড গিফট শপের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ভেসে ওঠে, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’। প্রতিটি ঘটনার পরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে স্থানীয় জনগণ। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বুঝিয়ে তাদের শান্ত করেছেন।
এখনো ২০২৪-এর আন্দোলনে শহীদদের রক্তের দাগ মুছে যায়নি। আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন হাজার হাজার বিপ্লবী ছাত্র-জনতা। কিন্তু তাদের নিয়ে কোনো অনুশোচনা নেই। এমন কি নেই কোনো অপরাধবোধ। বরং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা আন্দোলন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য দিয়েই চলছে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড হ্যাক করে ‘ভয়ংকর’ রূপে ফিরে আসার বার্তা দিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। তারা ভুলে গেছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একই অপরাধ অর্থাৎ স্বৈরাচারী শাসন বাকশাল জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ায় সেনাঅভ্যুত্থানে শেখ মুজিবের শুধু পতন নয়, নিহত হতে হয়েছে। যাকে মর্মান্তিক ঘটনা বলে উল্লেখ করেন অনেকে। তারপরও আওয়ামী লীগের নাম-নিশানা জনগণের হৃদয় থেকে প্রায় মুছেই গিয়েছিল। জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে দীর্ঘ একুশ বছর পর ক্ষমতায় আসার একটা পথ বের করেছিল। শেখ মুজিবের মেয়ে শেখ হাসিনা এবার পালিয়ে যাওয়ার আগে ঘটিয়েছেন ভয়ংকর ঘটনা। তারপরও হুমকি দিচ্ছে ভয়ংকর রূপে ফিরে আসার। অথচ কোনো সভ্য দেশে ফ্যাসিস্টদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ নেই। কারণ ব্যক্তি বদল হলেও আদর্শের কারণেই তাদের স্বভাব বদলায় না। তাই মানবতার সুরক্ষার অংশ হিসেবে ফ্যাসিস্টদের শাস্তি নিশ্চিত করা সভ্য দুনিয়ার দায়িত্ব। শাস্তি নিশ্চিত করতে হয় মানবসমাজ ও সভ্যতা রক্ষা করতে। অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করার ব্যর্থতার দায় শোধ করতে হয় অনেক জীবনে মূল্য দিয়ে এ আপ্তবাক্যটির সত্যতা আওয়ামী লীগের বিগত দেড় দশকের শাসনে আবারও প্রমাণ হয়েছে বলে মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। তারা মনে করেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনার পর আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের সুযোগ না পেলে ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতাকে জীবন দিতে হতো না।
অনেকে প্রশ্ন করেন, যারা হৃদয়ে আওয়ামী লীগ ও শেখ মুজিবকে লালন করেন, তারা কোথায় যাবেন? নিষিদ্ধ করলে তো আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গিয়ে বিশৃঙ্খলা করবে। তাদের কাছে প্রশ্ন , তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দিলেই কি রাজনীতিতে শৃঙ্খলা ফিরে আসে, আসবে ? অবশ্যই আসে না। এর প্রমাণ এ জাতি ১৯৭৫ সালের পর বার বার দেখতে পেয়েছে। আগেও পেয়েছে। কারণ এখানে ব্যক্তি নয়, আদর্শই বড়। তাদের আদর্শ ফ্যাসিজম এবং ভারতের স্বার্থ রক্ষা। ভারতের স্বার্থ নিষ্ঠার সাথে রক্ষা করার কারণেই ভারত তার প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামী লীগের অপরাধগুলো কিছু বয়ান তৈরি করে লুকিয়ে রেখে গণতান্ত্রিক বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করেছে। কিন্তু এর বিপরীতে গণতান্ত্রিক শক্তি সত্যকে দৃঢ়তার সাথে তুলে ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ববাসী সেই বয়ানগুলো বিশ্বাস করেছে। ভারতের তৈরি বয়ানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, জঙ্গিবাদ এবং কথিত কিছু মিথ্যা চেতনা। ২০২৪-এর আন্দোলনে একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ববাসীর সামনে প্রকৃত সত্য তুলে ধরার। আওয়ামী লীগের ভয়ংকর রূপে ফিরে আসার হুমকি আরেকটি সহায়ক অনুষঙ্গ আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী চরিত্র উন্মোচনের। তাদের প্রকৃত চরিত্র তুলে ধরতে পারলেই যারা পুনর্বাসনের কুচিন্তা করছে, তাদের মুখ বন্ধ হবে। এজন্য করণীয় প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষকদের অভিমত হলো ১. আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে নিয়ে তৃণমূল সবার মানবতাবিরোধী অপরাধ ও দুর্নীতির বিচার এবং শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে। বিচার শেষ করতে হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই। ২. লুটপাটের মাধ্যমে তারা দেশ ও জনগণের যেসব সম্পদ পাচার করেছে, তা ফেরত আনতে হবে। যার যার সম্পদ তার কাছে ফেরতের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩. বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের নির্বাচনসহ সকল রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় কাজ থেকে বিরত রাখতে হবে। যেন পালিয়ে বিদেশে পাড়ি দিতে না পারে, সেজন্য আটক রাখতে হবে। ৪. সকল মিডিয়ায় তাদের লুটপাট, মানবতাবিরোধী অপরাধের বাস্তবচিত্র নিরপেক্ষ ও নির্মোহভাবে তুলে ধরতে হবে। ৫. ফ্যাসিবাদের পক্ষে যারাই আওয়াজ তুলবে, তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
ফ্যাসিবাদের পতনের পর যেসব সভ্য রাষ্ট্র উল্লেখিত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করছে, সেসব দেশেই টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। জনগণ তাদের পছন্দের দল ও ব্যক্তিকে নেতা নির্বাচন করার সুযোগ পাচ্ছেন। সন্ত্রাস, ঘুষ, চাঁদাবাজি থেকে জনগণকে মুক্তি দিয়ে ন্যায় ও ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। নির্বাচন এলেই যেসব দেশে হোন্ডা-গুণ্ডা, টাকা ডলারের নোট আর ভোট আওয়াজ ওঠে না। এদেশের পরীক্ষিত ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ কিন্তু স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধে ইত্যাদি প্রশ্নে অবদানের কথা বিবেচনা করে কতিপয় রাজনৈতিক নেতা ও দল জিইয়ে রাখার পক্ষে। কিন্তু পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, যারা ভয়ংকর রূপে ফিরে আসার হুংকার দিচ্ছে, অতীত নয়, ‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার’ দর্শনের আলোকে তাদের নিয়ে ভাবতে হবে। কিন্তু আসলে রাজনৈতিক দলগুলো কী ভাবছে।
‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার’
ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, হিটলার-মুসোলিনির শুরুটাও ভালোই ছিল। তারা শেখ হাসিনার মতো সেগুনবাগিচায় ভরা ব্যালট, একতরফা নির্বাচন, রাতের ভোট এবং ডামি নির্বাচনে না, একজন জনগণের ভোট অন্যজন গণআন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতা লাভ করেছিলেন। কিন্তু তারা ক্ষমতায় বসে শেষ পর্যন্ত ভালো থাকতে পারেননি। তাই পরিণতি এতটাই খারাপ হয়েছে যে, সাংবিধানিকভাবে শুধু তাদের রাজনৈতিক দলই নিষিদ্ধ করা হয়নি, তাদের দলের চিহ্নগুলোকেও ফ্যাসিবাদের উত্থান ঠেকাতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফ্যাসিস্টদের রক্তের ধারা যাদের মধ্যে আছে, তাদের জন্য রাজনীতি নিষিদ্ধ। কারণ ফ্যাসিস্টরা আইনের তোয়াক্কা করে না, হত্যা, সন্ত্রাস ও হুমকি-ধমকিই তাদের পুঁজি। তাই তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিলে রাজনীতি কলুষিত হবেই।
তাই ফ্যাসিবাদের জন্মভূমি ইতালি ও জার্মানিই শুধু নয়, গোটা ইউরোপ ও আমেরিকাই ফ্যাসিস্টদের কঠোরভাবে প্রতিহত করা হয়। তাই এ প্রসঙ্গে ড. জাহেদ আরমানের একটি অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হলো। তিনি লিখেছেন, “তখন সবে যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ইলিনয় ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডির ক্লাস শুরু করেছি। সময়টা ২০১৮ সালের ফল সেমিস্টার। এক সকালে ইউনিভার্সিটি পুলিশের কাছ থেকে একটি ই-মেইল পেলাম। ই-মেইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর পরিচয় জানতে চাওয়া হয়েছিল, যার বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী ও নব্য নাৎসি গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল। যদি কেউ ওই নামের কাউকে দেখেন বা চেনেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে যাতে পুলিশের কাছে রিপোর্ট করে। এই ছিল ই-মেইলের উদ্দেশ্য। আমি যেহেতু ওই নামের কাউকে চিনি না, তাই ই-মেইলের রিপ্লাই করিনি। সপ্তাহখানেক পর ইউনিভার্সিটির কাছ থেকে আরেকটি ই-মেইল পেলাম। যেখানে বলা হলো, ওই স্টুডেন্টকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কী তার অপরাধ? ওই শিক্ষার্থী ‘ফাশ ড্রাগন’ নামে একটি প্রোফাইলের অধীনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে নব্য নাৎসি বলে পরিচয় দিয়েছে।” তাই আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী চরিত্র বিশ্ববাসীর সামনে যথাযথভাবে তুলে ধরতে পারলে শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্ব থেকেই তাদের নাম-নিশানা মুছে যাবে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। তাই জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী বলে পরিচয় দেয়ার পরও যারা ফ্যাসিস্টদের জন্য কান্নায় বুক ভাসাচ্ছেন, জাতি তাদের কোনোদিন ক্ষমা করবে না।
জাতি তাদের ক্ষমা করবে না
যদি কারো দুর্বলতা ও সহযোগিতার কারণে ফ্যাসিস্টরা আবার পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পায়, জাতি তাদের কোনোদিন ক্ষমা করবে না- এবিষয়ে ঐকমত্য সময়ের দাবি।
এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে একটি ফ্যাসিষ্ট দল। এ ফ্যাসিবাদী দলের বাংলাদেশে বিক্ষোভ, সভা-সমাবেশ করার কোনো সুযোগ নেই।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে এসব কথা জানান তিনি। শফিকুল আলম ওই পোস্টে আরও বলেন, গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশ নিয়ে কেউ সভা, সমাবেশ ও মিছিল করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পূর্ণাঙ্গ মোকাবিলা করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সহিংসতা বা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গের কোনো প্রচেষ্টাকে বরদাশত করবে না।
সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও তার অনুসারীরা এখনো শেষ হয়নি। এদের উপড়ে ফেলতে হবে। ফ্যাসিবাদ বার বার ফিরে আসবে, তাদের প্রতিহত করতে হবে। এ সময় হতাশ না হয়ে লক্ষ্যে স্থির থাকতে শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের সেক্রোটরি মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগই আসল স্বাধীনতাবিরোধী। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার-এর কোনোটিই এ ৫৩ বছরে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। জাতীয় ঐক্য ও সংহতি বিনষ্টকারী ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের স্বাধীনতাবিরোধী ভিত্তিহীন বয়ান ও চেতনার কারণেই তা সম্ভব হয়নি। তাই এ জাতি কোনোদিন তাদের ক্ষমা করবে না।
রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, বার বার পরীক্ষিত ফ্যাসিবাদকে যারা এবার আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবে, জাতি তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। তাদের পরিণতিও হবে আওয়ামী লীগের মতো। ভয়ংকর রূপে ফিরে আসার আওয়ামী, দুঃস্বপ্ন অবশ্য কোনোদিন পূরণ হবে না।