ভোগান্তির শেষ নেই
উৎসবের পর ফিরছে মানুষ
স্টাফ রিপোর্টার : ঈদ উদযাপন করে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরের কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ। গত ২০ জুন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কর্মস্থলে ফেরার চাপ খুব বেশি ছিল না। তবে আগামী রোববারের আগে এ চাপ আরও বাড়বে পারে। কারণ যারা বাড়তি দুদিন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) ছুটি নিতে পেরেছেন তারা রোববার অফিস করবেন। তাছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকায় আগামী সপ্তাহেও আসল চরিত্রে ফিরছে না ঢাকা। এদিকে এবারের ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে লঞ্চ, বাস ও ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় অতিরিক্ত ভাড়া, কোনো কোনো পরিবহন দ্বিগুণের বেশি ভাড়া নিয়েছেন এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।
ঈদের আগে ১৪ জুন শুক্রবার রাজধানীর মাতুয়াইল থেকে সদরঘাট যেতে ৯০০ টাকা ভাড়া নিয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। একই দূরত্বে গত ১৯ জুন ভাড়া নিয়েছে সাড়ে চারশত। অথচ এই দূরত্বে স্বাভাবিক সময়ে ভাড়া নেওয়া হয় ২৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা। এ অবস্থা ছিল বাস লঞ্চেও।
জানা গেছে, বেশিরভাগ রুটে বাসের যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। যদিও ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটসহ দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সব রুটে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাত্রীদের যেতে হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজধানীর সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনালের খবর নিয়ে জানা গেছে, তীব্র যানজট আর অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে পরিবহন শ্রমিকরা। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর ভাষ্য, ঈদে ৯০ শতাংশের বেশি যাত্রীকে বাড়ি যেতে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেশি ভাড়া দিতে হয়। এমনকি বিআরটিএ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ না করে যাত্রীরা স্বল্প দূরত্বে গেলেও শেষ গন্তব্য পর্যন্ত ভাড়া দেওয়ার নির্দেশনা দেন। যারা সড়কে চাঁদাবাজিতে জড়িত তাদের ওপরই ঈদযাত্রায় চাঁদাবাজি বন্ধের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফলে চাঁদাবাজরাই চাঁদাবাজি বন্ধের সিদ্ধান্ত আটকে দেয়। তিনি বলেন, প্রতি ঈদে ফিটনেসবিহীন বাসের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী বহনে কঠোরভাবে নিষিদ্ব ঘোষণা হলেও তা ঠেকানো যায় না। বরং এসব পরিবহন যাদের বন্ধ করার কথা তারা জায়গায় জায়গায় যানবাহন আটকে উৎকোচ নেয়। যার জন্য ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া ঠেকানো যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিন্তু প্রতি বছর ঢাকা ছেড়ে গ্রামে যাওয়া ও আসার পথে যে ভোগান্তি, কষ্ট এবং তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়, সেটা আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে খানিকটা জানতে পারি। গণমাধ্যমের খবর পুরো চিত্র ফুটে ওঠে না।
ঈদে মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচলের পাশাপাশি টেম্পো, রিকশা, ভ্যান, মোটররিকশা, গরু বহনকারী পিকআপ, সিএনজি স্কুটার এবং বেপরোয়া বাইকারদের যত্রতত্র যাতায়াত মৃত্যুর ফাঁদ তৈরি হয়। এতে রাস্তায় যানজট বেড়ে যায় এবং যানজট বেড়ে যাওয়ার কারণে জনগণের ভোগান্তি চরমে পৌঁছায়। তাছাড়া দুর্ঘটনার আশঙ্কায় মানুষ ভয়ে ভয়ে পথ চলেন।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- দিল্লি-বেইজিং দ্বন্দ্বক্ষেত্র ঢাকা?
- কে হচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
- জলবসন্তের জীবাণু থেকে সাবধান
- বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা পাচার হয় : সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
- মুসলমানদের ইতিহাস মুছে দিচ্ছে চীন
- সেন্টমার্টিন কি বিচ্ছিন্ন
- ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে : নূরুল ইসলাম বুলবুল
- পানিবন্দি মানুষ চরম দুর্ভোগে : এ্যাড. জুবায়ের
- রাজপথে ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তুলুন : ড. রেজাউল করিম
- ইসলাম প্রচার সমিতির উদ্যোগে দুস্থ নওমুসলিমদের মাঝে কুরবানির গোশত বিতরণ
- উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে নিহত ৯
- সব দেশের সাথে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় আফগানিস্তান
- ভারতে ফ্রিজে গরুর গোশত রাখার অভিযোগে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো ১১টি মুসলিম বাড়ি