রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের বিভিন্ন সংকেত চিহ্নের সাইনবোর্ড উধাও।। দুর্ঘটনা বৃদ্ধি

মো. মেহেদী হাসান, পুঠিয়া (রাজশাহী) থেকে : রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কসহ চারঘাট, বাঘা, পুঠিয়া, দুর্গাপুর ও বানেশ্বরের বিভিন্ন রুটের বিভিন্ন সংকেত চিহ্ন সংবলিত সাইন বোর্ডগুলো উধাও হয়ে গেছে, সেই সাথে বেড়েছে দুর্ঘটনা । অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিশ্ব রোড তৈরির সময় সামনে বাঁক, সামনে মোড়, সামনে স্কুল ইত্যাদি লিখিত সাইনবোর্ড জনগণের সুবিধার্থে ও দুর্ঘটনা এড়াতে নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বর্তমানে সেইসব সইনবোর্ড আর দেখা মিলছে না। এসব সাইনবোর্ড না থাকার ফলে সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যানবাহন ও যাত্রীরা। তারা প্রধান সড়ক বা ট্রেনযোগে আসলেও বিভিন্ন রুট সংবলিত না থাকায় তারা সঠিক রুট জানতে এলাকাবাসীকে জিজ্ঞাসা করে গন্তব্য পৌঁছাতে বাধ্য হচ্ছে। সামনে স্কুল সংবলিত সাইন বোর্ড না থাকায় গত কয়েক মাসে প্রায় শতাধিক ছাত্র/ছাত্রী দুর্ঘটানায় শিকার হয়ে নিহত ও আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সাইনবোর্ডগুলো না থাকায় চালকরা তা বুঝতে না পেরে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালায়, আর সঙ্গে সঙ্গে ঘটে যায় মারাত্মক দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কের ওপর লাঠি-সোটা নিয়ে অবরোধ, গাড়ি ভাংচুর, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষসহ বিভিন্ন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকে। এক্ষেত্রে বড় সমস্যা হয় স্কুল ছুটির পরে অনেক স্থানে দেখা যায় শিক্ষকরা রীতিমত রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে ছোট ছোট ছাত্র/ছাত্রীদের রাস্তা পারাপার করাতে সাহায্য করে।

পুঠিয়া থানার খুটিপাড়া বালিয়াঘাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র সাকিব ও ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী মাহমুদা সলতানা মীম জানায়, গাড়িগুলো বেপরোয়া চলার কারণে স্কুলের সামনের রাজশাহী-ঢাকা বিশ্বরোড পার হতে প্রচন্ড বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। দীর্ঘদিন আগে এই সাইনবোর্ডগুলো চুরি হলেও সেগুলো পুনঃস্থাপনের কোন মাথাব্যথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই। এমতাবস্থায় অভিজ্ঞমহল মনে করেন রাস্তার বিভিন্ন নিয়ম কানুন সংবলিত সাইনবোর্ডগুলো পুনঃস্থাপন হোক, তা না হলে নাজুক ট্রাফিক ব্যবস্থা আরও ভেঙে পড়ার আশংকা রয়েছে।