সংবাদ শিরোনামঃ

আওয়ামী লীগ ভারতের অনুগত ।। বিএনপি জামায়াত চক্ষুশূল ** আবারও প্রমাণিত হলো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতেই কথিত যুদ্ধাপরাধ বিচারের আয়োজন ** দেশের পরিবর্তে বিদেশী কৃষককে ৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার : বঞ্চিত দেশি কৃষক ** দেশের বুকচিরে করিডোর কার্যকর করলো সরকার ** আওয়ামী লীগ দেশকে হানাহানি ও সংঘাতের দিকে নিয়ে গেছে ** ছাত্রশিবিরের স্বাধীনতা দিবসের র‍্যালিতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী পুলিশের বর্বর হামলা ** লিবিয়া এবং করপোরেট আগ্রাসন ** বিশ্বকাপ শিরোপা এবার উপমহাদেশেই **

ঢাকা শুক্রবার ১৮ চৈত্র ১৪১৭, ২৬ রবিউস সানি ১৪৩২, ০১ এপ্রিল ২০১১

আতোয়ার রহমান মনির, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) থেকে : রায়পুর উপজেলায় লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্টের (এলজিএসপি) কাজে অস্তিত্বহীন কাগজে-কলমে প্রকল্প তৈরি করে লাখ লাখ টাকা লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০১০-১১ অর্থ বছরে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে প্রথম কিস্তির প্রায় ৫৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। যথোপযুক্ত জবাবদিহিতার অভাবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা এ অর্থ লুটপাট করছেন। এতে এ প্রকল্পকে ঘিরে সরকারের মূল উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। আর পকেট ভারি হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সচিবদের।

এদিকে রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী দুলাল এলজিএসপি প্রকল্পের লুটপাটের মহোৎসবের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ ও উন্নয়নমূলক কাজ কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে তা শুভঙ্করের ফাঁকি। বিষয়টি সরজমিন তদন্ত হওয়া দরকার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতি বছর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় অধিদপ্তর থেকে ইউনিয়ন পরিষদে এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। চলতি অর্থ বছরে রায়পুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার ৯১৮ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। তন্মধ্যে উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নে ৪ লাখ ৬০ হাজার ১৬৭, উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে ৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৯১, কেরোয়া ইউনিয়নে ৫ লাখ ৭২ হাজার ৫৭০, বামনী ইউনিয়নে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯০, দক্ষিণ চরআবাবিল, দক্ষিণ চরবংশী, চরমোহনা, চরপাতা, সোনাপুর ও ১০নং রায়পুর ইউনিয়নে ৪ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দকৃত এ প্রকল্পের অর্থ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের যৌথ একাউন্টে জমা হয়। তারা যৌথ স্বাক্ষরে এ টাকা উত্তোলন করেন। চেয়ারম্যান ও সচিবরা ইউনিয়নের অবকাঠামো উন্নয়নে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকল্প তৈরি করে তাদের ঘনিষ্ঠ ইউপি সদস্যদের প্রকল্পে সভাপতি করেন। এক্ষেত্রে তাদের হাতে সামান্য কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে কৌশলে স্বাক্ষর নেন চেয়ারম্যানরা। সরেজমিন চরমোহনা, চরবংশী, বামনী, কেরোয়া ও চরপাতা ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, কোন কোন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া এলজিএসপির নীতিমালা তোয়াক্কা না করেই চেয়ারম্যানরা নিজের খেয়াল খুশিমত কিছু প্রকল্পের দায়সারা ও নিম্নমানের কাজ করে অধিকাংশ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চরমোহনা ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য জানান, সরকার গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে এলজিএসপিসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ দেয়। কিন্তু তদারকির দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে চেয়ারম্যান বরাদ্দের অধিকাংশ অর্থ আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও চেয়ারম্যানের অনুসারী পছন্দের মেম্বারদের দিয়ে প্রকল্প তৈরি ও সব কাজ-কর্ম করান বলে তিনি অভিযোগ করেন।

৬নং কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক সংবাদ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমার ইউনিয়নে শতভাগ কাজ হয়েছে। তবে এখনো মেম্বারদের পুরো টাকা দেয়া হয়নি। সরকারি কাজ বলে কথা, কিছু নয়-ছয় তো হবেই।

এ ব্যাপারে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান কাউছার বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।