রেজি : ডিএ ৫১৭ ॥ ৬৩ বর্ষ : ১২তম সংখ্যা ॥ ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ॥ ৭ জিলহজ ১৪৪৫ হিজরী ॥ ১৪ জুন ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার : বাজার পরিস্থিতি কবে কখন উন্নতি হবে, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যা বলছেন, বাজারের বাস্তব চিত্র তার চেয়ে সম্পূর্ণ উল্টো। শান্ত মানুষ বাজারে গিয়ে অশান্ত হয়েও উঠছেন। কিন্তু এতে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। কারণ ভোক্তাদের অভিযোগ তারা নানাভাবে আয় করছে, এজন্য মূল্য বাড়লেও তারা সমস্যায় পড়েন না। গত ১০ জুন সোমবার এ প্রতিবেদন লেখার দিনেও ঢাকার বাজারের এক ডজন (১২টা) ডিমের মূল্য ১৬০ টাকা বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ সরকার ডিম বিক্রির জন্য যে মূল্য বেঁধে দিয়েছিল, তার ধারে-কাছেও নেই বিক্রেতারা। ঢাকাসহ সারা দেশে একই অবস্থা বিরাজ করছে, কিন্তু নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি না করার জন্য সরকার উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। প্রায় প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে ঠিক একই অবস্থা চলছে। অর্থাৎ ভোক্তার জন্য কোনো ভালো খবর নেই।    
গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তবে বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। যে কারণে বাজারেও বাজেটের কোনো ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায়নি। উল্টো বেড়েছে অনেক পণ্যের মূল্য। এছাড়া মাছ, গোশত, ব্রয়লার মুরগি সবকিছুর মূল্যই বেশি। প্রায় প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ছে, কিন্তু সেই অুনপাতে মানুষের আয় বাড়ছে না। ফলে সংকটের মধ্য দিয়ে দিন যাচ্ছে সাধারণ মানুষের।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারের ঊর্ধ্বগতি থামাতে কর্তৃপক্ষ নানা আশ্বাস দিয়েছে, বেশকিছু পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। তারপরও পণ্যের দাম কমছে না। উল্টো বাড়ছে। সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের সুফল কেন ভোক্তারা পাচ্ছে না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। অতীতে ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্য নিয়ে বড় ধরনের কারসাজি করা হলেও দোষীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে অন্যরা উৎসাহিত হচ্ছে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও তা কার্যকর করা যায়নি। এ অবস্থা চলতে থাকলে স্বস্তির পরিবর্তে চাপেই থাকবে ভোক্তারা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঘোষিত আওয়ামী লীগের ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে প্রথম অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মন্ত্রিসভার সদস্যরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নানা বক্তব্য ও পদক্ষেপের কথা বলছেন। অথচ বাস্তবে লক্ষ করা যাচ্ছে, নিত্যপণ্যের বাজারের অস্থিরতা বেড়েই চলেছে। এটা যে করেই হোক বন্ধ করতে হবে। অবৈধ মজুদ গড়ে কিংবা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কেউ যাতে পার পেতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। বস্তুত বাজার নিয়ন্ত্রণে কেবল বক্তৃতা-বিবৃতিই যথেষ্ট নয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারসাজি বন্ধে সময়মতো জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ ও নিম্নআয়ের মানুষকে। তারা যাতে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য ক্রয় করতে পারে, সেজন্য যা যা করা দরকার, সবই করতে হবে। তারা মনে করেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজার তদারকি সংস্থার অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসাধু ব্যবসায়ীদের আঁতাতের বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে হবে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।