॥ হারুন ইবনে শাহাদাত ॥
রাজনীতির চক্র বাইরে থেকে বোঝা কঠিন। অনেকটা ওপরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাটের মতো অবস্থা। আওয়ামী লীগ দীর্ঘ প্রায় দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় আছে। তাদের কর্তৃত্ববাদী শাসনে বিরোধীদল কোণঠাসা। অত্যাচার-নির্যাতন, জেল-জুলুম, গুম-খুন পর্ব বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের গণ্ডি পেরিয়ে এখন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বাইরে থেকে দেখলে মনে হয়, খুব দাপটের সাথে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশ শাসন করছে। কিন্তু অতি সম্প্রতি দলটির এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের ভারতে গিয়ে চোরাচালান দ্বন্দ্বে খুন, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের অপকর্ম ফাঁস এবং সর্বশেষ ভোটারবিহীন উপজেলা নির্বাচনেও সাতজন নিহত হওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর সাথে আছে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ, লাগামহীন দুর্নীতি, খেলাপি ঋণের নামে ব্যাংক লুট এবং অর্থনীতির চরম বেহাল দশায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা।
উল্লেখিত বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে পর্যবেক্ষকরা মন্তব্য করেছেন, ঘুণেধরা লাঠির ওপর ভর করে টিকে আছে আওয়ামী লীগ সরকার। যিনি লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন, তার লাঠির শক্তি ফুরালে শেষরক্ষা কীভাবে হবে, সেই কৌশল নীতিনির্ধারণে ব্যস্ত আওয়ামী লীগের বর্তমান নেতৃত্ব।
হযরত সুলায়মান আ.-এর লাঠি : একটি রাজনৈতিক দলের হঠাৎ এভাবে নিঃশেষ হওয়ার প্রক্রিয়ার সাথে হযরত সুলায়মান আ. এর লাঠির তুলনা করেছেন অনেক বিশ্লেষক। হযরত সুলায়মান আ.-এর লাঠির ঘটনা আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এভাবে বর্ণনা করেছেন, ‘অতঃপর যখন আমরা সুলায়মানের মৃত্যু ঘটালাম, তখন ঘুণপোকাই জিনদের তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত করল। ঘুণপোকা সুলায়মানের লাঠি খেয়ে যাচ্ছিল। অতঃপর যখন তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন, তখন জিনরা বুঝতে পারল যে, যদি তারা অদৃশ্য বিষয় জানত, তাহলে তারা (মসজিদ নির্মাণের) এ হাড়ভাঙা খাটুনির আযাবের মধ্যে আবদ্ধ থাকত না।’ (সাবা ৩৪:১৪)।
তাফসিরে ইবনে কাসিরে এ ঘটনার ব্যাখ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে, বায়তুল মুকাদ্দাসের নির্মাণ সর্বপ্রথম ফেরেশতাদের মাধ্যমে অথবা আদম (আ.)-এর কোনো সন্তানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, কা’বাগৃহ নির্মাণের চল্লিশ বছর পর। অতঃপর স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে হযরত ইয়াকুব (আ.) তা পুনর্নির্মাণ করেন। এর প্রায় হাজার বছর পর দাউদ (আ.) তার পুনর্নির্মাণ শুরু করেন এবং সুলায়মান (আ.)-এর হাতে তা সমাপ্ত হয়। কিন্তু মূল নির্মাণকাজ শেষ হলেও আনুষঙ্গিক কিছু কাজ তখনো বাকি ছিল। এমন সময় হযরত সুলায়মানের মৃত্যুকাল ঘনিয়ে এলো। এ কাজগুলো অবাধ্যতাপ্রবণ জিনদের ওপরে ন্যস্ত ছিল। তারা হযরত সুলায়মানের ভয়ে কাজ করত। তারা তাঁর মৃত্যু সংবাদ জানতে পারলে কাজ ফেলে রেখে পালাত। ফলে নির্মাণকাজ অসম্পূর্ণ থেকে যেত। তখন সুলায়মান (আ.) আল্লাহর নির্দেশে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হয়ে তাঁর কাচ নির্মিত মেহরাবে প্রবেশ করলেন। যাতে বাইরে থেকে ভেতরে সবকিছু দেখা যায়। তিনি বিধানানুযায়ী ইবাদতের উদ্দেশ্যে লাঠিতে ভর করে দাঁড়িয়ে গেলেন- যাতে রূহ বেরিয়ে যাবার পরও লাঠিতে ভর দিয়ে দেহ স্বস্থানে দাঁড়িয়ে থাকে। সেটাই হলো। আল্লাহর হুকুমে তাঁর দেহ উক্ত লাঠিতে ভর করে এক বছর দাঁড়িয়ে থাকল। দেহ পচল না, খসল না বা পড়ে গেল না। জিনরা ভয়ে কাছে যায়নি। ফলে তারা হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে কাজ শেষ করে ফেলল। এভাবে কাজ সমাপ্ত হলে আল্লাহর হুকুমে কিছু উইপোকার সাহায্যে লাঠি ভেঙে দেওয়া হয় এবং সুলায়মান (আ.)-এর লাশ মাটিতে পড়ে যায়। এ কথাগুলো আল্লাহ তায়ালা আল কুরআনে সূরা সাবার ১৪ নম্বর আয়াতে বর্ণনা করেছেন। সুলায়মানের মৃত্যুর এ ঘটনা আংশিক কুরআনের আলোচ্য আয়াতের এবং আংশিক ইবনে আব্বাস (রা.) প্রমুখ থেকে বর্ণিত হয়েছে।’ পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআনসহ বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে এমন উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে মানবজাতিকে সতর্ক করার জন্য। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ক্ষমতাবান মানুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই উপদেশ সময় থাকতে গ্রহণ করতে চায় না।
সরকার চলমান সংকট আমলে না নিয়ে স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ শাসন করায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী একটি গোষ্ঠী ছাড়া সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দল হিসেবে আওয়ামী লীগও রাজনৈতিক দলের মর্যাদা হারিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর সংগঠনে পরিণত হয়েছে। যাদের সম্পর্কে পর্যবেক্ষক মহলের মন্তব্য, ‘তারা নিজের স্বার্থে দেশ বিক্রিও করতে পারে।’ যদিও তাদের এমন অভিযোগের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার বলেছেন, ‘দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে হবে, এ দৈন্যতায় অন্তত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা ভোগেন না। আমার কাছে ক্ষমতা বড় না।’
২০০৮ সালের পর থেকে যে অবস্থা বিরাজ করছে, এতে ‘দেশ বিক্রি না’ হলেও গণতন্ত্র নির্বাসনে গেছে, এ নিয়ে আওয়ামী লীগের দলান্ধ গোষ্ঠী ছাড়া কারো মধ্যে কোনো বিতর্ক নেই। তারা মনে করেন, আওয়ামী লীগ ইচ্ছে করেই সেই সংকট সৃষ্টি করেছে। তাই তারা সেই সংকটের গভীরতা উপলব্ধি করতে পারছে না।
আওয়ামী লীগের সংকট আরও গভীর হয়েছে
দেশ ও জনগণকে উপেক্ষা করে কোনো সরকারই টিকে থাকতে পারে না। জোর করে রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে গদি টিকিয়ে রাখলেও জনগণের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক না থাকায় সংকটের গভীরতা বাড়তে থাকে। দ্রুতগতিতে সে পথেই হাঁটছেন ক্ষমতাসীনরা। এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংকট আরও গভীর হয়েছে। ওনাদের (সরকার) একটা ভুল ধারণা তৈরি হচ্ছে যে, ওনারা সংকট কাটিয়ে উঠেছেন। আসলে সংকট আরও গভীর করেছেন। বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংকট আরও গভীর হয়েছে। ওনারা যদি এখনো সেটা উপলব্ধি না করেন, ভবিষ্যৎ তাদের জন্য খুব ভালো নয়। আওয়ামী লীগ নয়, এক অদৃশ্যশক্তি দেশ চালাচ্ছে।’ ‘অদৃশ্যশক্তি’ কে- এ প্রশ্নের উত্তরে মুখে হাসি নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা আপনাদের বুঝে নিতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে ও দেশের অভ্যন্তরের অনেকেই সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। দ্বাদশ নির্বাচনের আগেই নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে নেতা-কর্মীদের দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা সতর্ক করেছিলেন। সরকার ভাবছে, নির্বাচনের আগে যে সংকট ছিল, সেটা কমে গেছে; কিন্তু সংকট আরও বেড়েছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে মন্তব্য করেছেন, সে ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগেই বলেছেন, নির্বাচনের পর দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। নেতা-কর্মীদের তিনি এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেন। কাজেই আপনারাও (সাংবাদিক) জানেন, কথাটা (ফখরুলের বক্তব্য) সত্য নয়। শেখ হাসিনা কিন্তু বলেননি, নির্বাচন হলেই সংকট কেটে যাবে। তিনি বলেছেন, দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হতে পারে। সে চেষ্টা অনেকেই করছেন আন্তর্জাতিকভাবে ও দেশের অভ্যন্তরে।’
কোনো অদৃশ্যশক্তি বাংলাদেশ চালাচ্ছে বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোন অদৃশ্যশক্তি বাংলাদেশ চালাচ্ছে, পরিষ্কার করে ফখরুল সাহেব বলবেন কী? এখন দেশটা নাকি আমরা চালাচ্ছি না। একটা নির্বাচিত সরকার ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে সরকার গঠন করেছে। নিরপেক্ষ নির্বাচন বলতে যা বোঝায়, সেরকম একটা নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছে নির্বাচন কমিশন।’
জনগণের ভোটে সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘দলীয় লোকদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে এবং ডামি প্রার্থী ঘোষণা করে সরকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিজেদের দলীয় নির্বাচনে পরিণত করেছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে একটি প্রহসনের নাটকে রূপ দিতে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের সকল নিয়মকানুন পদদলিত করে ঘুষ, ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে কিছু লোককে বাগিয়ে নিয়ে বিরোধী প্রার্থী ঘোষণা করে গণতান্ত্রিক ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের এ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকার আদায় করতে হলে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন আরও তীব্র থেকে তীব্রতর করতে হবে।’
রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্যেই পরিষ্কার এ সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠের নয়, সংখ্যালঘিষ্ঠের প্রতিনিধিত্ব করছে। আওয়ামী লীগ এবং তাদের সমমনা ছাড়া আর কেউ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বিরোধীদলের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভোটদানে বিরত ছিল। নির্বাচন কমিশন ৪২ শতাংশ বললেও পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, ১৫ শতাংশ এবং বিরোধীদলগুলোর দাবি, মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ ভোটে অংশ নিয়েছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী এবং সমর্থকরাও ভোটকেন্দ্র যাননি। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের আগেরগুলো ছিল একতরফা। নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। এ কথা নির্বাচন কমিশনও পরোক্ষভাবে স্বীকার করেছে। এ দায় আওয়ামী লীগ সরকারের, তারা স্বীকার করুক আর না করুক। বিরোধীদল, জনগণ ও পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, আওয়ামী লীগই দায়ী- এ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কী বলেন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার একটি জাতীয় দৈনিকের সাথে সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের পাঁচ মাস পার হয়ে গেলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধের জমাট বরফ এখনো গলেনি। সার্বিক পরিবেশ এখনো পুরোপুরি অনুকূল হয়ে ওঠেনি। তবুও আমি আশাবাদী সংকট, নিরসন হবে। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিআই) ঠিক বলেছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) একটা নিজস্ব ধাঁচ আছে এগুলো (নির্বাচন) বিশ্লেষণ করার। এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বিগত নির্বাচনটা খুবই কাক্সিক্ষত মানের হয়নি। সেদিক থেকে এনডিআই যা বলেছে, ঠিক বলেছে আমি বলব। ৭ জানুয়ারির ভোট, উপজেলা ভোট অংশগ্রহণমূলক না হওয়ার কারণ শাসকদলের নিয়ন্ত্রণ, নাকি বিরোধীদলের ভোট বর্জনÑ এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা জানি, আপনারাও জানেন, দেশের সার্বিক পরিবেশ অনুকূল ছিল না। বিতর্কটা এখনো বহাল আছে যে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার। এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায় রয়েছে, নানা বিষয় রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে দেশের অন্যতম একটা প্রধান দল বলে, আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না এবং না করে থাকে। এতে প্রত্যাশিত যে রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, তার ঘাটতি ছিল।’
অদৃশ্য সুতাই আওয়ামী লীগের টিকে থাকার শক্তি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ ঘাটতির কথা স্বীকার করেছেন। সেই ঘাটতির দায় কার? আওয়ামী লীগ সরকারই এজন্য দায়ী এবং তাকেই এ দায় নিতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তারা মনে করেন, সমাধানের পথও সরকারকেই বের করতে হবে। এমন দাবি নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে করা হলেও রাজনীতির ইতিহাস বলে, কোনো স্বৈরাচারী ও কর্তৃত্ববাদী শাসকই বিরোধীদলের আন্দোলন ছাড়া আপসে কোনো দাবি মেনে নেয় না। তাই পথ একটাই- তা হলো বিরোধীদলের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। অবশ্য আওয়ামী লীগের জন্য একটি প্লাস পয়েন্ট এখানেই। বিরোধীদলগুলো সরকার এবং একটি প্রতিবেশী দেশের অদৃশ্য সুতার টানে ঐক্যবদ্ধ হতে পারছে না বলে মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। এ অদৃশ্য সুতাই আওয়ামী লীগের টিকে থাকার শক্তি। এখন প্রশ্ন হলো- বিরোধীদল কি পারবে সেই অদৃশ্য সুতা ছিঁড়ে ঘুণেধরা লাঠিতে ভর করে টিকে থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি আদায় করতে?
এ পাতার অন্যান্য খবর
- অস্থিরতা বাড়ছে
- আন্দোলনে যাচ্ছে বিরোধীদল
- বিনামূল্যে সরকারি বাড়ি গৃহহীনদের আত্মমর্যাদা এনে দিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
- জনগণের প্রতি এ সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই
- চামড়ার দামে ধসের নেপথ্যেও কারসাজি
- এ সরকার দেশের সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে : মির্জা ফখরুল
- হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু ১৪ জুন ,আরাফাত দিবস ১৫ জুন আগামী ১৭ জুন বাংলাদেশে পবিত্র ঈদ উল আজহা