আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠছে
আন্দোলনে যাচ্ছে বিরোধীদল
॥ জামশেদ মেহ্দী॥
সাপ্তাহিক সোনার বাংলার এ প্রতিনিধি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পেরেছেন যে, আগামী দিনে সরকারবিরোধী যে যুগপৎ আন্দোলন শুরু হবে, সেই আন্দোলনে প্রধান গুরুত্ব দেওয়া হবে অধিপত্যবাদী প্রভুত্বের অবসান ঘটানোর ওপর। স্মরণ করা যেতে পারে যে, মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের তিন কমান্ডারের অন্যতম হওয়া সত্ত্বেও যখন দেশের শাসনভার গ্রহণ করেন তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আদর্শ এবং এককভাবে ভারতকেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতিতে ১৮০ ডিগ্রি পরিবর্তন সাধন করেন। তার পূর্বেকার সরকার সাড়ে তিন বছরে ভারতের সাথে শুধুমাত্র ২৫ বছরের গোলামি চুক্তিই সম্পাদন করেনি, বরং ফারাক্কাসহ আরো অনেক বিষয়ে ভারতের কাছে সম্পূর্ণ নতজানু নীতি গ্রহণ করেছিল। বেগম জিয়ার প্রথম আমল পর্যন্ত জেনারেল জিয়াউর রহমানের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। কিন্তু দ্বিতীয় মেয়াদে অর্থাৎ ২০০১ সালের পর সেই সুর বেশ কিছুটা নরম হয়।
২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ একটানা ১৬ বছর ক্ষমতায় আছে। বিএনপিও এ ১৬ বছর একটানা বিরোধীদলে আছে। কিন্তু এ ১৬ বছরে বিএনপির নীতিতে; বিশেষ করে ইসলামী মূল্যবোধ ও ভারত নীতিতে আমূল পরিবর্তন সূচিত হয়। বিএনপিকে দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যশক্তি থেকে বোঝানো হয় যে, ভারতের বিরোধিতা করে কোনো সরকার ক্ষমতায় যেতেও পারেনি, আর ক্ষমতায় থাকলেও তারা টিকতে পারেনি। তারা বিএনপির সেন্ট্রাল কমান্ডের একটি অংশকে বোঝাতে সক্ষম হয় যে, জনসমর্থনবর্জিত হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র ভারতের সর্বাত্মক সমর্থনের কারণেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে।
এ পটভূমিতে বিএনপি এরূপ ভ্রান্ত ধারণার শিকার হয় যে, আগামীতে ক্ষমতায় যেতে হলে ভারতের সাথে একটি মৈত্রীসুলভ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ লক্ষ্য সামনে রেখে বিএনপি বিগত ১০ বছরে একাধিকবার চেষ্টা করেছে তাদের প্রতি (বিএনপির প্রতি) ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি অনুকূল এবং ইতিবাচক রাখার। এ উদ্দেশ্যে একাধিকবার বিএনপির একাধিক টিম ভারত সফর করে। কিন্তু ভারত-বিএনপি সম্পর্কে বরফ গলেনি।
অনুসন্ধানী সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, ২০২৩ সালের মধ্যভাগ থেকে গত ৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন পর্যন্ত দেশের রাজনৈতিক তৎপরতায়; বিশেষ করে সভা-সমাবেশ মিছিল প্রভৃতিতে দেখা গেছে যে, আওয়ামী লীগের পেছনে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন নেই। তারপরও ভারত তার ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থে এবং বাংলাদেশকে শোষণ ও লুণ্ঠনের স্বার্থে আওয়ামী লীগকে অন্ধ সমর্থন দিয়ে গেছে। পর্যবেক্ষক মহলের মতে, ভারতীয় স্বার্থের কারণেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়নি এবং ৯৫ শতাংশ মানুষের সমর্থন সত্ত্বেও বিরোধীদলের আন্দোলন সফল হয়নি।
৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের পর জোট শরিকরা তাদের আন্দোলনের আপাত ব্যর্থতার (আওয়ামী লীগ সরকারের পতন) কারণ নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করার জন্য বৈঠকে বসে। তখনো মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস প্রমুখ নেতা কারাগারে ছিলেন। দুই রাউন্ড বৈঠকের পর এটি প্রতিভাত হয় যে, বিএনপির এসব সিনিয়র নেতা জেল থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত নির্মোহ ও নিরাসক্ত বিশ্লেষণ সম্ভব নয়।
মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস প্রমুখ নেতৃবৃন্দ জেল থেকে বের হওয়ার পর আবার জোট শরিকরা বৈঠকে বসে। এর মধ্যে বিএনপির সমগ্র তৃণমূল এবং মধ্যম স্তর দলীয় চ্যানেলে নেতৃবৃন্দকে জানায় যে, ভারতের কারণেই গণআন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে। সুতরাং আগামীতে আন্দোলন সফল করতে হলে ভারতবিরোধী বক্তব্য নিয়ে জনগণের কাছে হাজির হতে হবে। এর মধ্যে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জয়নুল আবদিন ফারুকসহ এ স্তরের নেতৃবৃন্দ প্রকাশ্যে ভারতবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেন। বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটি প্রথমে নিজেরা তাদের অস্থায়ী সভাপতি তারেক রহমানের সাথে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে একাধিক মিটিং করেন। তাকে তৃণমূল এবং মধ্যম স্তরের নেতা ও কর্মীদের মনোভাব ও সেন্টিমেন্ট জানানো হয়। তিনিও তাদের বক্তব্য ধৈর্য ধরে শোনেন এবং এ সেন্টিমেন্টের সাথে একমত হন। তবে স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, অতঃপর বিএনপি ভারতবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করবে ঠিকই, কিন্তু ভূ-রাজনৈতিক কারণে কিছুটা কৌশলী হতে হবে।
গত তামাশার নির্বাচনের ৫ মাস পরও আওয়ামী লীগ বিএনপির কর্মীদের ওপর জেল-জুলুম ও মামলা-হামলা অব্যাহত রাখে। এ পরিস্থিতিতে বিএনপির পক্ষে আর রেখে ঢেকে কথা বলা সম্ভব হয় না। ভারতবিরোধিতার সাথে সাথে আওয়ামী লীগ যে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ইসলামবিরোধিতা করছে, সেটিও নেতাকর্মীদের কাছে প্রকট হয়ে ওঠে। তাদের কাছে আরো প্রতিভাত হয় যে, তাদের অবিসংবাদিত নেতা মরহুম জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ এবং আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থার বিষয়টিও আওয়ামী লীগ ধীরে ধীরে মানুষের মন থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। দ্রুত পরিবর্তনশীল আওয়ামী রাজনীতির প্রেক্ষিতে বিএনপিও তার সমমনাদের সাথে বৈঠকে তাদের সকলের অবস্থান দ্রুত পরিবর্তন করে। পরিবর্তনের এ ঢেউ লেগেছে মির্জা ফখরুলের বক্তৃতায়। ঢেউ লেগেছে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দের বক্তৃতায়।
বিএনপির এ পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছে সেদিন মহাসচিব মির্জা ফখরুলের জ¦ালাময়ী বক্তৃতায়। গত ৫ জুন প্রেস ক্লাবে এক সমাবেশে মির্জা ফখরুল যে বক্তৃতা করেন, সেটি বিগত ১৬ বছরে বিএনপির কেউ করেননি। ঐ সমাবেশে মির্জা ফখরুল যে বক্তৃতা করেন, তার ফুটেজ থেকে অংশবিশেষ আমরা হুবহু নিম্নে উদ্ধৃত করছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার কিছুদিন পর রক্ষীবাহিনী তৈরি করা হয়েছিল। এ সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, এ রাজনৈতিক দমন-পীড়ন করার জন্য নতুন একটি বাহিনী তৈরি করা হয়েছে। বাহিনীর নামটি ছিল রক্ষীবাহিনী। এটা আমরা অনেকেই ভুলে গেছি। ছিল একটি বাহিনীর অত্যাচার, এখন যে আপনারা র্যাবের অত্যাচার সহ্য করছেন, তার চেয়েও ভয়াবহ ছিল। তার একটি নমুনা দেব আপনাদের। সেই সময়ে বিরোধীপক্ষ যারা ছিল বা যারা বাম রাজনীতি করত তাদের তারা হত্যা করত, দমন করত। ঝিনাইদহে বাম রাজনীতি করত একটা ছেলে। তাকে ধরার জন্য রক্ষীবাহিনী গেছে সেই গ্রামে। গিয়ে যখন তাকে পায়নি, তখন তার বাবাকে ধরে নিয়ে আসছে। তাদের বাবাকে বলেছে তোমার ছেলেকে এ মুহূর্তে এখানে হাজির কর। বাবা যখন বলে, আমার ছেলে তো বাসায় আসে না। বাইরে বাইরে থাকে। তারপর যেভাবেই হোক ঐ ছেলেকে ধরে নিয়ে এসেছে। তারপর ঐ বাবাকে বলে যে, কুঠার দিয়ে নিজের হাতে তার ছেলের কল্লা কাটতে এবং বাবাকে বাধ্য করেছে সেটি করার জন্য। আর সেই কল্লা দিয়ে তারা ফুটবল খেলেছে। এই কথাটা আমার না, আপনারা বইয়ে পাবেন। ইতিহাসে পাবেন। আর একজন মহিলা শান্তি সেনের স্ত্রী এবং হনুফা বেগম নামে একজন আওয়ামীবিরোধী রাজনীতি করতেন। তাদের তুলে নিয়ে এসে ২১ দিন নির্মম অত্যাচার করেছে। অত্যাচার করার পর তাদের বস্তায় ভরে পুকুরে চুবিয়েছে। তারপর তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে। সেই কারাগার থেকে আমাদের ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাহেব তখন তাদের বিচারকদের সামনে নিয়ে আসেন।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, তখন বিচারক ছিলেন দেবেশ ভট্টাচার্য। তিনি অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের বাবা। বিচারপতি আইনজ্ঞদের কথা শোনেন, নির্যাতিতদের পরীক্ষা করেন এবং তৎক্ষণাৎ ভিকটিমদের সেই মুহূর্তেই সেখান থেকেই অর্থাৎ আদালত প্রাঙ্গণ থেকেই মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। মির্জা ফখরুল আরো বলেন, তিনি তো মাত্র দুইটি ঘটনা বলেছেন। তখনকার সরকার সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল।
মির্জা ফখরুল বলেন, তখনো (১৯৭২ থেকে ১৯৭৫) কেউ সহজে আল্লাহর নাম নিতে পারত না। তখনো সেই একই অবস্থা ছিল। তখনো কেউ যদি ইসলাম ধর্মের কথা বলতেন, তাহলে তার ওপর একইভাবে নির্যাতন নেমে আসত। আজকেও একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংযোজন করেছিলেন। যিনি আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ^াস সংবিধানে সংযোজন করেছিলেন। এরা (আওয়ামী লীগ) আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ^াস কেটে দিয়ে শুধুমাত্র ভয়ে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ শব্দ কয়টি রেখে দিয়েছে। এদেশের সমগ্র সংখ্যাগুরু ধর্মীয় সম্প্রদায় অর্থাৎ মুসলমানদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এরা কাজ করে যাচ্ছে।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, আপনারা কি ভুলে গেছেন, হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে কী ঘটনা ঘটানো হয়েছে? সেদিন এই বেনজীর আহমেদ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ছিলেন। সেদিন অন্যায়ভাবে রাতের অন্ধকারে নির্বিচারে গুলি করে অসংখ্য মানুষকে তিনি হত্যা করেন। সেদিন মাদরাসার তরুণ ছাত্র, হাফেজ এবং আলেম-ওলামাদের হত্যা করা হয়েছে। মানুষ এখন দাড়ি-টুপি রাখতেই ভয় পায়, যদি তাদের জঙ্গি নাম দিয়ে দেয়। এটা তারা করেছে। অনেক মানুষকে জঙ্গি নাম দিয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে। মাওলানা মামুনুল হকসহ অনেক মাওলানাকে তারা কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। তাদের অনেকে এখনো কারাগারে আছেন।
তিনি বলেন, আল্লাহর হুকুম তো আছেই। আল্লাহর একটা বিচার আছে না? কিছুদিন পরই রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এসে একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় শাসন পুনঃপ্রবর্তন করেন। এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান। তাদের ঈমান আকিদাকে তিনি মূল্য দিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়া বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদ হলে পৃথিবীর যেখানেই বাঙালি আছে, তাদের বোঝানো হয়। পশ্চিমবঙ্গে যে বাঙালি আছে, তারা কি বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ^াস করে? করে না। তারা ভারতীয় জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে।
৫ জুনের পর একাধিক সমাবেশে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক নির্বিচারে বাংলাদেশিদের হত্যার তীব্র নিন্দা করেন তিনি। বলেন, এ সরকার এতই নতজানু যে সীমান্তের এসব হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদও তারা করার সাহস রাখে না।
বিএনপির এ অবস্থান পরিবর্তনের প্রভাব মিত্রদের ওপরও পড়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না একাধিক জনসমাবেশে প্রশ্ন করেছেন যে, ভারতীয়রা বাংলাদেশিদের হত্যা করার সাহস পায় কীভাবে? গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন, বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারতের পেটের ভেতর ঢুকে গেছে। সেখান থেকে বের হতে হলে এ সরকারের অপসারণ দরকার। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সাইফুল হক গত ১০ জুন কোনোরূপ রাখঢাক না করে বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দিল্লি সফরে, তখন সীমান্তে বিএসএফ বাংলাদেশিদের হত্যা করছে। সীমান্তে বিএসএফ পোকামাকড়ের মতো বাংলাদেশিদের গুলি করে মারছে। সীমান্তে প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশিদের রক্ত দিয়ে ভারতের সঙ্গে অসম বন্ধুত্বের দায় শোধ করতে হচ্ছে। গত ১০ জুন সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সূত্র সাপ্তাহিক সোনার বাংলার এ প্রতিনিধিকে বলেছেন, এসব কথা তাৎক্ষণিক উত্তেজনার বশে বলা হচ্ছে না। সর্বোচ্চ মহলে সিদ্ধান্ত নিয়েই যতটুকু বলা সম্ভব ততটুকু বলা হচ্ছে।
এবারই সর্বপ্রথম মির্জা ফখরুল জামায়াতে ইসলামীর প্রকাশ্য প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, জামায়াত অত্যন্ত সুসংগঠিত একটি দল। তারা পড়াশোনা করে। তারা ভেবেচিন্তে কথা বলে। তারা তাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয় না।
বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দল এবং অন্যরা ভেবেচিন্তে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, ইসলামী মূল্যবোধ এবং ভারতীয় প্রভুত্বের বিরুদ্ধে কথা বলছে। আগামী সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাস থেকে বিএনপিসহ ৬১টি বিরোধীদল রাজনৈতিক ময়দানে উপরোক্ত আওয়াজ নিয়ে সরকার পতন আন্দোলনে রাজপথে নামবে বলে জানা গেছে।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- অস্থিরতা বাড়ছে
- বিনামূল্যে সরকারি বাড়ি গৃহহীনদের আত্মমর্যাদা এনে দিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
- জনগণের প্রতি এ সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই
- কোন অদৃশ্য সুতা আওয়ামী লীগের টিকে থাকার শক্তি
- চামড়ার দামে ধসের নেপথ্যেও কারসাজি
- এ সরকার দেশের সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে : মির্জা ফখরুল
- হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু ১৪ জুন ,আরাফাত দিবস ১৫ জুন আগামী ১৭ জুন বাংলাদেশে পবিত্র ঈদ উল আজহা