ঈদ পুনর্মিলনীতে অধ্যাপক মুজিব

শ্রমজীবী মানুষ ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেনি

গার্মেন্টস, সরকারি-বেসরকারি পাটকল শ্রমিক এবং পরিবহন শ্রমিকসহ বিভিন্ন সেক্টরের অসংখ্য খেটে খাওয়া, অসহায় শ্রমজীবী মানুষ তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ পুরোপুরি উপভোগ করতে পারেনি।

গত ২৩ জুলাই শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এই মন্তব্য করেন। শ্রমিক কল্যাণের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কল্যাণের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসাইন, অর্থ সম্পাদক মনসুর রহমান, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক আজহারুল ইসলাম, ঢাকা বিভাগ উত্তরের সভাপতি নুরুজ্জামান আজাদ, সেক্রেটারি এটিএম মুজাহিদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরীর সভাপতি লস্কর মোহাম্মদ তাসলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমান অবৈধ, অগণতান্ত্রিক সরকারের কঠোর সমালোচনা করে জনাব মুজিব বলেন, সরকার সারা দেশকে  কারাগারে পরিণত করেছে। সরকারের লেলিয়া দেয়া পুলিশ এবং দলীয় বাহিনীর নির্যাতনের ভয়ে অসংখ্য মানুষ আজ নিজের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সরকার অন্যায়ভাবে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের বন্দী করে রেখেছে। ফলে তাদের পরিবারে ঈদের আনন্দের পরিবর্তে হতাশা ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, আইএলও এবং বাংলাদেশ শ্রম আইনে শ্রমিকদের যতটুকু অধিকার দেয়া হয়েছে তাও বাস্তবায়িত না হওয়ায় শ্রমিকদের মাঝে ঈদের আনন্দ প্রকৃতপে কখনোই আসেনি। অধিকাংশ শ্রমিকরা ঈদের পূর্বে বকেয়া বেতন ভাতা না পেয়ে তাদের হতাশাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, “শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তাদের পারিশ্রমিক দিয়ে দাও” ইসলামী শ্রমনীতির এই মূলমন্ত্র রাষ্ট্রে ও সমাজে বাস্তবায়িত হলেই কেবল শ্রমজীবী মানুষের সমস্যার সমাধান হতে পারে এবং সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আসবে।

তিনি  আরো বলেন, কুরআন-সুন্নাহর পরিবর্তে মানবরচিত মতবাদ দিয়ে রাষ্ট্র ও সমাজ পরিচালিত হওয়ার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি কৃষক শ্রমিকসহ সর্বস্তরের মানুষকে কুরআন-সুন্নাহর সমাজ কায়েমের জন্য আহ্বান জানান।

শ্রমিকনেতা মাওলানা নেছার আহমদের মৃত্যুতে শোক : শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিলেট জেলা রিকশা  শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি : ১৬৬৯) সভাপতি মাওলানা নেছার আহমদের (৪০) মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি  অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান, সিলেট বিভাগীয় সভাপতি ফখরুল ইসলাম, সেক্রেটারি আব্দুল মতিন, শ্রমিক কল্যাণ সিলেট মহানগরী সভাপতি মো. শাহজাহান আলী, সেক্রেটারি এডভোকেট জামিল আহমেদ রাজু। গত ২২ জুলাই রাত ৩ টায় মস্তিষ্কের রক্তরণে তার মৃত্যু হয়। তিনি তার পিতা-মাতা, ৩ ছেলে ১ মেয়েসহ অসংখ্য স্বজন রেখে এই পৃথিবী হতে চিরবিদায় গ্রহণ করেছেন।

নেতৃবৃন্দ এক শোকবার্তায় মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।