সংবাদ শিরোনামঃ

আগাম নির্বাচন দিতে চায় সরকার ** খালেদা জিয়ার সাথে জামায়াত নেতাদের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ** সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী’র মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল ** আওয়ামী সরকারের অধীনে নির্বাচন বেগম জিয়ার প্রত্যাখ্যান ** দেশের স্বার্থ রক্ষায় সোচ্চার থাকতে হবে : শিবির সভাপতি ** বাড়ছে কোটিপতি বাড়ছে বৈষম্য ** সকল ক্ষেত্রে একটি বন্ধ্যাত্ব পরিস্থিতি বিরাজ করছে ** নৈতিক অবক্ষয় প্রধান কারণ ** শুরুর কথা শুনুন ** ফাঁসির মঞ্চে মর্দে মুমিন যুগে যুগে ** ফেলানী হত্যার বিচার না মেগাসিরিয়াল! ** ধেয়ে আসছে বন্যা॥ পানিবন্দী লাখ লাখ মানুষ ** সরকারি গাছ কেটে কর্মকর্তার শখের ফুল বাগান **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪২২, ১৪ শাওয়াল ১৪৩৬, ৩১ জুলাই ২০১৫

॥ জামশেদ মেহদী॥
বিএনপি এবং জামায়াত সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা ও অপপ্রচারের অন্ত নেই। বলা যেতে পারে, অধিকাংশ প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া এখন এক ধরনের ওয়াইল্ড ক্যাম্পেইনে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপিকে নিয়ে এই অপপ্রচারের সর্বশেষ সংযোজন হলো নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পর্কে দলটির সর্বোচ্চ ছাড়। বলা হচ্ছে যে, এখন যে কোনো মূল্যে বিএনপি একটি নির্বাচন চায়। যদি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেও সেই নির্বাচন হয় তাহলে সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেও বিএনপির কোনো আপত্তি নাই। এই কথার সপক্ষে বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ একটি মন্তব্যের উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া বার সমিতির নবনির্বাচিত কর্মকর্তারা বেগম জিয়ার গুলশান অফিসে দেখা করতে গেলে বেগম জিয়া বলেছেন যে, তার দল একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য সেই সরকারকে যে কেয়ারটেকার সরকার হতেই হবে এমন কোনো বাধ্য বাধকতা নেই। যেকোনো দল বা গোষ্ঠী যদি নিরপেক্ষ হয় তাহলে তাদের অধীনে নির্বাচন করা যেতে পারে। তবে দেখতে হবে যে, সেই নির্বাচন যাতে অবাধ নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার এই বক্তব্যের পর বলা হচ্ছে যে, নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপির এতদিনের অবস্থান থেকে দলটি সম্পূর্ণ সরে এসেছে। জাতীয় পার্টির সাবেক এক প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের পত্রিকা হিসেবে পরিচিত একটি বাংলা দৈনিকে বেগম জিয়ার এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে। বলা হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেও বিএনপি নির্বাচন করতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারকে হতে হবে নিরপেক্ষ।

বেগম জিয়া এক চুলও নড়েননি

বেগম জিয়া তথা বিএনপির বিরুদ্ধে যখন এই ধরনের উন্মাদ প্রচারণা চলছে তখন গত সোমবার ২৭ জুলাই ইংরেজি ডেইলি স্টারে সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী একটি সংবাদ ছাপা হয়েছে। খবরের শিরোনাম POLLS UNDER NON-PARTY GOVT / Khaleda won’t budge from demand. ঐ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বেগম খালেদা জিয়া নির্দলীয় সরকারের দাবিতে এখনও অবিচল। দলের সিনিয়র নেতাদের সূত্রে এই খবর পাওয়া গেছে বলে পত্রিকায় দাবি করা হয়েছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, গত ২৫ জুলাই শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া বার সমিতির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের নিকট তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেই বক্তব্যের পর অনেকের মনে একটি বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে যে, বেগম জিয়া হয়ত নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি থেকে সরে এসেছেন। তাদের কাছে তিনি বলেছেন যে, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কেয়ারটেকার সরকার একটি অপরিহার্য শর্ত নয়। তিনি বলেন, নাম যাই হোক না কেন, এটি একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেও হতে পারে। তবে তিনি সেখানে একথাও দৃঢ়তার সাথে বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করার জন্য ২০১২ সাল থেকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট আন্দোলন করে আসছে। তাদের এই দাবি আওয়ামী লীগ সরকার গ্রহণ না করায় ২০ দল এবং সেই সাথে আরও অনেক দল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন বর্জন করে। চলতি বছর ৬ জানুয়ারি থেকে একই দাবিতে এবং ঐ নির্বাচন অস্বীকার করে ২০ দল ৩ মাস ধরে অবিরাম অবরোধ এবং হরতাল পালন করে। কিন্তু সরকার প্রথম থেকেই একটি পয়েন্টে অনড় ছিল যে, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী মোতাবেক অর্থাৎ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৩ মাসব্যাপী অবরোধ ও হরতালে জান ও মালের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়। পেট্রোল বোমা এবং ক্রস ফায়ারে প্রায় ২৫০ জন লোক মারা যায়। সরকারের প্রচণ্ড দমননীতি সফল হয়। ২০ দল নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করতে সক্ষম হয়নি।

মওদুদ আহমেদের বক্তব্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত কর্মকর্তারা যখন গুলশান কার্যালয়ে বেগম জিয়ার সাথে কথা বলেন, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। জনাব মওদুদ আহমেদ বলেন যে, সেদিন দলীয় প্রধান অর্থাৎ বেগম জিয়ার এ্যাপ্রোচ হয়তো ভিন্ন ছিল। কিন্তু তার মূল বক্তব্যে কোনো হেরফের হয়নি। সেই মূল বক্তব্য ছিল এই যে, ভবিষ্যৎ নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনেই হতে হবে। তিনি বলেন, যেহেতু সরকার তত্ত্বাবধায়ক শব্দটির ঘোরতর বিরোধিতা করছে তাই বেগম জিয়া একটি বাস্তবধর্মী অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেছেন যে, নির্বাচনকালীন সরকারকে আপনি যে নামেই ডাকুন না কেন, বিএনপি চায় একটি অবাধ নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। মওদুদ আহমেদ বলেন, বিএনপি প্রধান সেদিন দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছেন যে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ভবিষ্যতে যদি কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে কোনো অবস্থাতেই সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবেনা। নির্বাচনকালীন যে সরকার হবে সেটি অরাজনৈতিক এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত হতে হবে। বেগম জিয়া সেদিন যা বলেছেন তার অন্তর্নিহিত বক্তব্য ছিল এটি।

মাহবুবুর রহমানের বক্তব্য

এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, সেদিন বেগম জিয়া আলাপ আলোচনা করার জন্য সরকারের প্রতি পুনরায় আহ্বান জানিয়েছেন। কিভাবে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে সে ব্যাপারে সরকারের সাথে তিনি আলোচনা করতে চান। বেগম জিয়ার পক্ষে এটি অবশ্যই একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। জনাব মাহবুবের মতে বেগম জিয়া পরোক্ষভাবে সরকারের কাছে যে বার্তা দিতে চেয়েছেন সেটি হলো এই যে, বিএনপি সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনী পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছে না। ত্রয়োদশ সংশোধনীতে কেয়ারটেকার সরকারের ব্যবস্থা রয়েছে। সেই জায়গায় বেগম জিয়া চান যে, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটি নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার ফর্মূলা উদ্ভাবন করা হোক।

বেগম জিয়ার বক্তব্যের বিকৃতি

বেগম খালেদা জিয়া ৩৩ বছর ধরে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব করছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক জোটেরও নেতৃত্ব দিচ্ছেন। একজন পলিটিশিয়ান হিসেবে তাকে হিসাব করে কথা বলতে হয়। তার এই ধরনের ডিপ্লোম্যাটিক কথাকে আওয়ামী ঘরানা এবং তাদের লেজুড় দলসমূহ ইচ্ছেমতো বিকৃত করে ব্যাখ্যা করছে। তাই তাদের অন্যতম প্রিন্ট মিডিয়ায় গত সোমবার প্রথম পৃষ্ঠার প্রধান সংবাদের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে “বিএনপির লক্ষ্য আগাম নির্বাচন/প্রধানমন্ত্রীর অধীনেও সম্মত”। সংবাদে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে বিএনপির মূল ল্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই ল্েয বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির অধীনে নির্বাচনে যেতেও আপত্তি নেই তাদের। তবে সেই নির্বাচন নিরপে, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হওয়ার শতভাগ নিশ্চয়তা চায় তারা। আগাম নির্বাচনে সরকার সম্মত হলেই বিএনপি এ সংক্রান্ত রূপরেখা প্রকাশ করবে। মতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করেই সবকিছু চূড়ান্ত করতে চায় দলের হাইকমান্ড। বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

আবার দৃশ্যপটে এমাজউদ্দিন

বিএনপির থিংক ট্যাংক হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান সরকার প্রধান বা প্রেসিডেন্ট স্বপদে থাকলেও নির্বাচনে আপত্তি নেই বিএনপির। তবে সেই নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপে। এজন্য প্রয়োজনীয় পদপে সরকারকেই নিতে হবে।

তিনি বলেন, মতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সমঝোতা হতে হবে। তাহলে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। কারণ সবার মূল ল্য একটা- নিরপে নির্বাচন।

খালেদা জিয়ার ঘোষণার পে যুক্তি তুলে ধরে ড. এমাজউদ্দীন আহমদ ঐ পত্রিকাকে বলেন, যৌক্তিক কারণেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি থেকে সরে আসে বিএনপি। তিনি বলেন, আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানটি বাতিল করে চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন। সরকারও আদালতের দোহাই দিয়েই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাবে না। এ অবস্থায় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কথা বললে আদালত অবমাননার অভিযোগও তোলা হতে পারে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বর্তমান অবস্থানকে তিনি যৌক্তিক বলে মনে করেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর আগে খালেদা জিয়া নিরপে সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানালেও এবারের প্রোপট কিছুটা ভিন্ন। বিএনপি চেয়ারপারসনের এমন বক্তব্য এবং দলের সার্বিক অবস্থান বিবেচনায় বড় ধরনের ছাড়ের ইঙ্গিত রয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্টের অধীনে নির্বাচনে যেতে যে আপত্তি নেই, এটা সেই ছাড়েরই ইঙ্গিত বহন করছে।

জনাব এমাজউদ্দিন সুধী মহলে আওয়ামী লীগের সাথে আপোষ করে চলার পক্ষপাতি বলে পরিচিত। এই ধরনের মানুষ বিএনপির সংগ্রামী চরিত্র ধীরে ধীরে ধ্বংস করে ফেলছেন। এখন হাসিনার আন্ডারে ইলেকশন করার জন্য তিনি নসিহত করে বেড়াচ্ছেন। অথচ একই দিন তার স্ট্যান্ডিং কমিটির দুই মেম্বার মওদুদ আহমেদ ও মাহবুবুর রহমান বলেছেন ভিন্ন কথা। মানুষ এখন বিশ্বাস করবে কার কথা?

বিএনপির শেষ ভরসা

বেগম জিয়া

সুখের বিষয়, ৩৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বেগম জিয়া কোনোদিন নীতির প্রশ্নে আপোষ করেননি। আজ ভারত বা আওয়ামী লীগের কোনো সমালোচনা করতে বিএনপির কোনো নেতা হয় সাহস পান না, নতুবা ভাশুর জ্ঞান করে সুুবিধাবাদী চরিত্রের প্রকাশ ঘটিয়ে সেটি এড়িয়ে যান। কিন্তু বেগম জিয়া একা একাই যা কিছু করার করছেন এবং যেখানে যা বলার তা বলছেন। এখন যখন আওয়ামী সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে কেউ কেউ ওকালতি করছেন তখন বেগম জিয়াই সেখানে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে আছেন। আগামীতেও তিনি ২০ দল এবং বিএনপিকে সরকারি চক্রান্তের কবল থেকে রক্ষা করবেন।

Email: jamshedmehdi15 @gmail.com

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।