সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি

পঁচাত্তর-পূর্ব সময়ের মতো গ্রামে-গঞ্জে ডাকাতি হচ্ছে

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য পেশ করেন দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন

স্টাফ রিপোর্টার : দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির উল্লেখ করে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলটির পে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, পঁচাত্তর-পূর্ব পরিস্থিতির মতো গ্রামে-গঞ্জে মহামারি আকারে ডাকাতি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত নারীর সম্ভ্রমহানির ঘটনা ঘটছে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গত ২৪ জুলাই শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান রিপন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ডাকাতি ও নারী নির্যাতনের এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ এবং মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীকে সতর্ক করতে আমরা বিষয়টি তুলে ধরছি।’

সরকারি দলের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোয় সাধুবাদ জানান রিপন। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ ও তাদের অভিভাবক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই আমন্ত্রণ যদি আন্তরিকভাবে করে থাকে তাহলে আমরা মনে করি, এটা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য ইতিবাচক হতে পারে।’ ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসানের মুক্তি দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ছাত্রলীগের দাওয়াতকে উপল করে আমরা আবারও সরকারের কাছে রাজীবের মুক্তি দাবি করছি। একটি মিথ্যা, সাজানো ও লজ্জাজনক মামলায় চরিত্র হননের জন্য তাঁকে আটক করা হয়েছে। আমরা দাবি করছি, ছাত্রদল সভাপতিকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক, যাতে তিনি ছাত্রলীগের কাউন্সিলে যেতে পারেন। আশা করব সরকার দ্রুত সে ব্যবস্থা নেবে। একই সঙ্গে আমাদের প্রত্যাশা, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা থেকে সরকার বিরত থাকবে।’

রিপন বলেন, সরকার চাইলে সব কিছু সম্ভব। রাজীব জামিন পেলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ছাত্রলীগের সম্মেলনে অবশ্যই যাবেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোয় ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানান তিনি। সম্মেলনের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে আসা ছাত্রলীগ নেতাদের ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক স্বাগত জানিয়েছেন উল্লেখ করে রিপন বলেন, ছাত্রদলের আরো সিনিয়র নেতারা তাঁদের অভ্যর্থনা জানাতে পারতেন। কিন্তু মিথ্যা মামলা-হামলার শিকার হয়ে তাঁরা অনেকে প্রকাশ্যে আসতে পারেন না। এ জন্য সরকারই দায়ী।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বর্তমানে দেশে দুই ধরনের আইন চলছে-সরকারের জন্য এক রকম, বিরোধী দলের জন্য অন্য রকম। বিরোধী দলের নেত্রীর জন্য এক ধরনের আইন, শাসক দলের জন্য আরেক ধরনের আইন।

সারাদেশে সড়ক-মহাসড়কের দুরবস্থা ও সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানির উল্লেখ করে রিপন বলেন, সরকার জনগণের জানমালের দিকে খেয়াল করছে না। তাদের খেয়াল কী করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মামলা-হামলার মাধ্যমে হয়রানি করা যায়। জনগণের কথা, দেশের কথা চিন্তা করলে তারা রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করত। সড়কের বেহাল দশার দিকে খেয়াল করত। সড়ক দুর্ঘটনা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার উদ্যোগ নিত। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির শিাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, অন্যতম আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিমউদ্দিন আলম, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, এ বি এম মোশারফ, রফিক শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।