সংবাদ শিরোনামঃ

মাওলানা সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড ** আমরা আশা করেছিলাম তিনি খালাস পাবেন ** বৃহস্পতি ও রোববার সারাদেশে হরতাল ** ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা : ইমেজ সঙ্কটে মিডিয়া ** সন্ত্রাসবাদের ইস্যুকে উজ্জীবিত রাখতে সক্রিয় যুক্তরাষ্ট্র ** মুক্ত চিন্তা বন্ধ করতেই মাহবুব উল্লাহর ওপর হামলা ** বিরোধী দলের প্রতি সরকারকে আরো সহনশীল হতে হবে ** এবার কোটি কোটি টাকার গালগল্প ** ঈদকে সামনে রেখে দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে চোরাচালান বাড়ছে ** প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে বেঁচে আছে তিস্তাপাড়ের মানুষ ** মৌলভীবাজার মনুব্যারেজ ও লেকে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় ** কাজী নজরুল ইসলামের শিক্ষা ভাবনা **

ঢাকা, শুক্রবার, ৪ আশ্বিন ১৪২১, ২৩ জিলক্বদ ১৪৩৫, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪

কুরবানির পশু কিনতে সাবধান! বিষাক্ত ওষুধে গরু মোটাতাজা

॥ আবুল কাশেম, টাইম নিউজ বিডি ॥
সাবধান সামনে কুরবানি! গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে বিষাক্ত ওষুধে। অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় ঢাকাসহ সারাদেশে গরু ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতিকর ওষুধ প্রয়োগের এ মাধ্যম বেছে নিয়েছে। বলা যায়-গরু মোটাতাজা করণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে তারা।

জানা গেছে,  ডেঙ্গামেথাথন নামে মোটাতাজাকরণ ওষুধ খাওয়ানো গরুর গোশত খেলে মানুষের লিভার, কিডনি, হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্তসহ ভয়ঙ্কর কিছু রোগ হতে পারে। এমন কি ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। পশু চিকিৎসকদের মতে, আসন্ন ঈদুল আজহায় গরুর হাটগুলোতে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ টিমের মাধ্যমে গরুর রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। যদি কোনো গরুর রক্ত পরীক্ষায় বিষাক্ত কিছু ধরা পড়ে, তাহলে সেই গরু সিল মেরে বিক্রেতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে মিডিয়ায় এখনই ব্যাপক প্রচারণা দরকার। এসব উদ্যোগ নিলে হয়তোবা কিছুটা রক্ষা পাওয়া যাবে বলে আশা করেন তারা।

কয়েকজন পশু চিকিৎসক জানান, প্রতিবছর কুরবানির ঈদ সামনে রেখে কৃত্রিমভাবে গরু মোটাতাজাকরণের এ প্রতিযোগিতায় নামে গরু ব্যবসায়ী এবং কৃষকরা। এসব বিষাক্ত ওষুধ প্রয়োগে গরু দ্রুত মোটাতাজা করতে গিয়ে মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। ডেক্সামেথাসন বা ডেকাসন, বেটামেথাসন ও পেরিঅ্যাকটিন অতিরিক্ত মাত্রায় দিলে গরুর কিডনি ও যকৃতের কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ায় শরীর থেকে পানি বের হতে পারে না। এ কারণে শোষিত হয়ে পানি সরাসরি গরুর গোশতে চলে যায়। ফলে গরুকে মোটা দেখায়।

পশু চিকিৎসকগণ জানান, ডেঙ্গামেথাথন জাতীয় ওষুধ পশুকে খাওয়ালে দ্রুত মোটাতাজা হয়। তবে এই মোটাতাজা বেশি দিন স্থায়ী হয় না, ৩ মাস থাকে।

তারা আরও জানান, বিষাক্ত হরমোন, ইনজেকশন ও রাসায়নিক ওষুধ প্রয়োগ করে মোটাতাজা করছেন। এসব গরু ঈদের এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে জবাই না করা হলে মরে যায়। কারণ, গরুর শরীরের পরতে পরতে ঢুকিয়ে দেয়া হয় স্টেরয়েড, হরমোন কিংবা তার চেয়েও ভয়ঙ্কর সব রাসায়নিক দ্রব্য।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার, ফরিদপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, মাদারীপুর, ময়মনসিংহ এবং ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলোতে ক্ষতিকর ওইসব ওষুধ ও রাসায়নিক সেবনের মাধ্যমে এখন গরু মোটাতাজা চলছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. ফরহাদুল আলম সাংবাদিকদের জানান, গরু মোটাতাজা করণে অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে পাম ট্যাবলেট, স্টেরয়েড ও ডেক্সামেথাসনের মতো ভয়ানক ক্ষতিকারক ওষুধ। কুরবানির ঈদ সামনে রেখে এরই মধ্যে এই অসাধু প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বেশি লাভের আশায় অনেক খামারি পশুচিকিৎসকদের পরামর্শ না মেনেই গরুকে স্টেরয়েড দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ডা. মাহবুব আলী খান বলেন, আমাদের দেশে সাধারণত বিক্রয়যোগ্য গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ কাজে স্টেরয়েড আইটেমের ডেক্সামেথাসন গ্রুপের বিভিন্ন ইনজেকশন প্রয়োগ হয়ে থাকে। এছাড়া ইউরিয়া খাওয়ানো হয়। ফলে যেসব গরুকে পাম ট্যবলেট, ডেক্সামেথাসন ও স্টেরয়েড খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়, সেগুলোর মাংস খেলেও মানবদেহে মরণঘাতি সব রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভেটেরিনারী ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, এবার রাজধানীর প্রতিটি গরুর হাটে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ টিমের মাধ্যমে গরুর রক্ত পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যদি কোনো গরুর রক্ত পরীক্ষায় বিষাক্ত কিছু ধরা পড়ে, তাহলে সেই গরু সিল মেরে বিক্রেতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।