সংবাদ শিরোনামঃ

মাওলানা সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড ** আমরা আশা করেছিলাম তিনি খালাস পাবেন ** বৃহস্পতি ও রোববার সারাদেশে হরতাল ** ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা : ইমেজ সঙ্কটে মিডিয়া ** সন্ত্রাসবাদের ইস্যুকে উজ্জীবিত রাখতে সক্রিয় যুক্তরাষ্ট্র ** মুক্ত চিন্তা বন্ধ করতেই মাহবুব উল্লাহর ওপর হামলা ** বিরোধী দলের প্রতি সরকারকে আরো সহনশীল হতে হবে ** এবার কোটি কোটি টাকার গালগল্প ** ঈদকে সামনে রেখে দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে চোরাচালান বাড়ছে ** প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে বেঁচে আছে তিস্তাপাড়ের মানুষ ** মৌলভীবাজার মনুব্যারেজ ও লেকে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় ** কাজী নজরুল ইসলামের শিক্ষা ভাবনা **

ঢাকা, শুক্রবার, ৪ আশ্বিন ১৪২১, ২৩ জিলক্বদ ১৪৩৫, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪

আইএস দমনে ওবামার সর্বাত্মক যুদ্ধ
॥ খন্দকার মহিউদ্দীন আহমদ॥
মধ্যপ্রাচ্যে ইতোমধ্যে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ইরাকের কট্টরপন্থী জঙ্গি সংগঠন আইএস (ইসলামিক স্টেটের) বিরুদ্ধে অবশেষে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। আইএস-এর বিরুদ্ধে ঘোষিত যুদ্ধ ইরাক ও আফগানিস্তানের যুদ্ধ থেকে ভিন্নতর হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই লড়াইয়ে অতীতের ভুল করা যাবে না। অতীতের ভুল বলতে কি বোঝাতে চেয়েছেন তার কোনো ব্যাখ্যা অবশ্য ওয়াশিংটন দেয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির ভাষায় তা হলো ‘সন্ত্রাসবিরোধী বিস্তৃত পর্যায়ের অভিযান’। তিনি অবশ্য এই অভিযানকে যুদ্ধ বলতে নারাজ। ১০টি আরব দেশের সর্বাত্মক সমর্থন নিশ্চিত করার পর প্রেসিডেন্ট ওবামার সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা এলো। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মতে, আইএস বিরোধী কর্মসূচি চলবে তিন ধাপে পরিসমাপ্তি ঘটবে তিন বছরে। অর্থাৎ ওবামা তার মেয়াদকালের পুরো সময় এই যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহলে। মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, এই দীর্ঘমেয়াদী অভিযান ইয়েমেন এবং পাকিস্তানসহ বিশ্বের অন্যান্য স্থানে পরিচালিত আল কায়েদা বিরোধী অভিযানের চেয়ে ভিন্ন এবং অনেক বেশি জটিল হবে। কৌশলগত দিক থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।

আল কায়েদা থেকে বেরিয়ে আসা জঙ্গিদের নিয়ে আইএস-এর জন্ম। চলতি বছরের জুন মাসে ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল দখল করে নেয় আইএস যোদ্ধারা। তারপর একের পর এক ইরাকের শহর তাদের দখলে চলে যায়। ২৯ জুন খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় আইএস। সিরিয়া ও ইরাকের উল্লেখযোগ্য অংশ জুড়ে খেলাফত কায়েম ও ইসলামী শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন তাদের নেতা আবু বকর আল বোগদাদী। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ৮১টি দেশের প্রায় ৮০ হাজার প্রশিক্ষিত যোদ্ধা রয়েছে দলটিতে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য মতে আইএস-এর প্রশিক্ষিত যোদ্ধা রয়েছে ৩০/৩১ হাজার। আমেরিকা ও ব্রিটেনের যোদ্ধারা রয়েছে এই দলে। আর তাই আতঙ্কিত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ এই সমস্ত যোদ্ধারা যখন স্বদেশে ফিরবে তখন ‘জঙ্গিবাদ’ নিয়েই ফিরবে। অর্থাৎ মধ্যপ্রাচ্য থেকে জঙ্গিবাদ ঢুকে পড়বে খোদ আমেরিকা বা ব্রিটিশ ভূখণ্ডে। ভয়ঙ্কর এক দুঃস্বপ্নের মধ্যে আতঙ্কিত রয়েছে প্রশাসন।

আইএসের যোদ্ধাদের কাছে রয়েছে জঙ্গি সব ধরনের যুদ্ধ অস্ত্র ও সরঞ্জাম। জঙ্গি হেলিকপ্টার, পরিবহন বিমান ও অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র রয়েছে তাদের হাতে। অর্থের দিক থেকে তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় জঙ্গি সংগঠন। তাদের নগদ সম্পদের পরিমাণ ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। তাছাড়া তারা বর্তমানে যে সমস্ত তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, তা থেকে তাদের দৈনিক আয় ৩০ লাখ ডলার। সর্বদিক বিবেচনায় তারা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ধনী জঙ্গি গোষ্ঠী যাদের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব, কাতার ও কুয়েতের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা।

প্রেসিডেন্ট ওবামা ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা কোনো গোষ্ঠীই নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পাবে না। আইএস জঙ্গিদের নির্মূল করতে বিস্তৃত পরিসরের জোটের নেতৃত্বে থেকে মূল ভূমিকা পালনে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। আইএস বিরোধী জোটে ১০টি আরব দেশের অংশগ্রহণের পর সুস্পষ্ট যে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে নতুন করে সন্ত্রাস বিরোধী দীর্ঘমেয়াদী এক যুগের সূচনা হলো। আইএস-এর বিরুদ্ধে আরব দেশগুলোর নিজ দায়িত্বে ‘নিবিড় লড়াই’ সূচারুভাবে চালানোর ঘোষণার পর ওবামার ‘সম্প্রসারিত লড়াই’ এক ভিন্ন মাত্রা লাভ করলো। চলমান লড়াইকে প্রেসিডেন্ট ওবামা ‘নিজ হাতে’ তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়ে  বস্তুতপক্ষে পুরো বিষয়টিকে তার নিজ পর্যবেক্ষণে নেয়ারই কথা বললেন। আইএস বিরোধী অভিযানের অংশ  হিসেবে ইরাকের পাশাপাশি সিরিয়ায় বিমান হামলা চালাবে সম্মিলিত জোট। এদিকে রাশিয়া সিরিয়ার জঙ্গিদের ওপর একতরফা হামলার নিন্দা জানিয়ে তা আইনের স্থূল লঙ্ঘন হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। সম্প্রসারিত লড়াইর কথা বলে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকী বাহিনী ও স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি এলাকার ‘পেশমেরগো’ বাহিনীর জন্য বাড়তি প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে দাবি মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞদের। সিরিয়ার মধ্যপন্থী বিদ্রোহী গ্রুপগুলোকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দেয়ার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে  বিবেচনায় এনেছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। এই বহুমুখী যুদ্ধের নিয়ন্ত্রণভার ওবামা নিজ কাঁধে নেয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্রে পরিবর্তনের বিষয়টিও চলে আসবে আলোচনার টেবিলে। হামলার পরিসর বিস্তৃত করার কৌশল ও ঘোষণার পর দীর্ঘমেয়াদী সহিংসতার দিকে পা বাড়ানো হলো বলে মন্তব্য মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের। ফলে নতুন করে অস্থিতিশীলতা জন্ম নেবে যা কি না সন্ত্রাসবাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে অচিরেই।

ইসলামিক স্টেটের বিস্ময়কর উত্থান এবং ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কে এই  বাগদাদী? কোথা থেকে এতো অস্ত্র তাদের হাতে? এতো অস্ত্র এলো কোথা থেকে? ৩০ হাজার প্রশিক্ষিত যোদ্ধা একদিনে তৈরি হয়নি। বিশ্বের ৮১টি দেশের মুসলমান যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণের পর ইরাকের রণাঙ্গনে জমায়েত হওয়ার বিষয়টি একদিনে নিশ্চয়ই ঘটেনি। দীর্ঘ সময় ধরে এর প্রস্তুতি চলছে কোনো পরাশক্তি তত্ত্বাবধানে এবং ‘নিবীড় পর্যবেক্ষণে’র মাধ্যমে। অস্ত্র, অর্থ প্রশিক্ষণ হয়েছে ‘সূচারুভাবে’। এতে সন্দেহ নেই আইএস-এর কর্মকাণ্ড নৃশংসতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। খেলাফত প্রতিষ্ঠার নামে ‘মানুষ হত্যা করা হচ্ছে।  ক্ষেত্র বিশেষে শিয়া মতাদর্শের মুসলমানদের টার্গেট করা হচ্ছে। বিদেশী সংবাদ মাধ্যমের নিরীহ ব্যক্তিদের শিরñেদ করে তার ভিডিও প্রকাশ করা কিসের আলমত বহন করে? বস্তুতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘকাল ধরে মুসলমান যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ‘সন্ত্রাসী’ বানানোর কাজটি করে আসছে অত্যন্ত ‘নিখুঁত’ এবং ‘সূচারুভাবেই’। তাদের টার্গেট মুসলমানদের হেয় প্রতিপন্ন করা, ইসলামকে বিতর্কিত করা। জিহাদের ধুয়া তুলে মুসলমান যুবকদের বিপদগামী করা হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মুসলমান সমাজে সব সময় কট্টরপন্থী একটি গ্রুপের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এরা সহসাই ‘খেলাফত’ বা ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার নামে পরিচালিত বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে সক্রিয়ভাবে। ইহুদি প্রভাব বলয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের মূলত এটা দীর্ঘমেয়াদী একটি কর্মসূচি। যেমনভাবে তারা ৯/১১-এর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের টার্গেটে পরিণত করেছিল মোসাদ এবং সিআইএ, ঠিক তেমনি নতুন এক কর্মকৌশলের নাম ইসলামী স্ট্রেটস। ইরাকে ইসলামী স্টেটের ছত্রছায়ায় যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোর ভৌগোলিক পরিবর্তনের নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে উদ্ধত হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে ইসলামী স্টেটের প্রধান বাগদাদীর বিষয়ে এমন সংবাদও প্রচারিত হয়েছে যে, তিনি প্রকৃতপক্ষে ইহুদির সন্তান। যেমনিভাবে মিসরের সেনাপ্রধান সিসি একজন ইহুদি নারীর সন্তান।

ইসলামী স্টেটস (আইএস)-এর জন্ম আল কায়েদা থেকে। আল কায়েদা দীর্ঘদিন থেকে সিরিয়ায় তৎপরতা চালিয়ে আসছে। সিরিয়ায় সহিংস কর্মকাণ্ড স্তিমিত হয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে আইএস একদম প্রস্তুত চৌকস যোদ্ধা পেয়ে গেছে। যারা যেকোনো রণাঙ্গনে লড়তে প্রস্তুত। এই গ্রুপটি বাগদাদীর নেতৃত্বে ইরাকে দীর্ঘদিন থেকে চলা গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বকে সফলভাবে কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছে। ইরাকের দুর্বল প্রশাসন এবং কুর্দী বিদ্রোহীদের শক্তিশালী অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে আইএস একের পর এক অভিযান চালিয়ে সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিহাদের  প্রেরণায় উদ্ব্দ্ধু সরলপ্রাণ মুসলমানরাও এতে যোগ দিয়েছে দল ভারী করতে। আইএস-এর সশস্ত্র যোদ্ধাদের কর্মকাণ্ডে ইতোমধ্যে নৃশংসতার নতুন মাত্রা  লাভ করেছে। তারা একদিকে যেমন শিয়া মুসলমানদের হত্যা করেছে, অন্যদিকে খ্রিস্টানদেরও হত্যা করে গোষ্ঠীগত বিবাদ তৈরি করেছে। এই সমস্ত হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। ইরাকের বাইরে বিগত মে মাসে সংগঠনটি ব্রাসেলসের ইহুদি জাদুঘরের সামনে তিন ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি অমুসলিম দেশে মুসলমানদের বসবাসের ক্ষেত্রে চরম বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে। দেখবার বিষয় হলো আদৌও আইএস এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত কি না। কেননা বিষয়টি ইউরোপে বসবাসরত মুসলমানদের বিরুদ্ধে খ্রিস্টানদের ক্ষেপিয়ে তোলার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হয়ে থাকতে পারে।

সন্ত্রাসবাদের ইস্যুকে উজ্জীবিত রাখতে সক্রিয় যুক্তরাষ্ট্র। তাদের টার্গেট মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একে একে সমস্ত বাধা অপসারণ করে চলা। ইরাকে বিমান হামলার পাশাপাশি সিরিয়ায়ও বিমান হামলার পরিধি বাড়ানো হবে। রাজতান্ত্রিক আরব দেশগুলোকে বশে আনতে এবং দীর্ঘমেয়াদী নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন মাঝে মধ্যেই নিত্যনতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ। ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষায় মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কর্মকৌশলের নাম হচ্ছে আইএস।

লেখক : কলামিস্ট ও বিশ্লেষক। Email : mohi_ahmad15@yahoo.com

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।