গুম মানবতাবিরোধী অপরাধ

সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা


১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৩:০৮

॥ সাইদুর রহমান রুমী ॥
দেশের ইতিহাসে এই প্রথম সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলা এবং গ্রেফতারি পরোয়ানার ঘটনায় দেশজুড়ে চলছে ব্যাপক তোলপাড়। ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২২ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাড়ে পনেরো বছর শাসনামলে শত শত গুমের অভিযোগ রয়েছে। এর মাঝে সরাসরি আসামিদের বিরুদ্ধে জেআইসি তথা আয়নাঘর এবং টিএফআই তথা র‌্যাব আয়নাঘরের মাধ্যমে মোট ৩৪টি গুমের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে। জড়িত ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধে দুটি মামলা হয়েছে। মামলা দুটিতে ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার সাথে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তৎকালীন নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিক এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ ডিজিসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আগামী ২২ অক্টোবর আসামিদের গ্রেফতার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার কথা।
কাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ
দুটি মামলায় জেআইসিভুক্ত ১৩ আসামি হলেন- ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক, ডিজিএফআইয়ের সিটিআইবির সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম, ডিজিএফআইয়ের সিটিআইবির সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ডিজিএফআইয়ের সিটিআইবির সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ, ডিজিএফআইয়ের সিটিআইবির সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ডিজিএফআইয়ের সিটিআইবির সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক।
আর টিএফআই-এর সঙ্গে যুক্ত ১৭ অভিযুক্ত আসামি হলেন- শেখ হাসিনা ও তারিক আহমেদ সিদ্দিক। অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার মো. হারুন-অর-রশিদ, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল কে এম আজাদ, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, র‌্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, র‌্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম, র‌্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল এবং র‌্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন। আসামীদের মধ্যে ডিজিএফআই, র‌্যাব, সিটিআইবিতে কাজ করা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন লেফটেন্যান্ট জেনারেল, ৫ জন মেজর জেনারেল, ৬ জন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল, ৩ জন কর্নেল এবং ৫ জন লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদ মর্যাদার সেনা কর্মকর্তা।
টিএফআই সেলে বন্দি রেখে নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। আর জেআইসিতে বন্দি রেখে নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মাঝে অন্যতম অভিযোগগুলো হলো জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মরহুম গোলাম আযমের ছেলে গুম হওয়া অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান, মরহুম বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাসেম আরমান, মাইকেল চাকমার গুম হবার চাঞ্চল্যকর ঘটনা রয়েছে। প্রসিকিউশন জানায়, গুম, গোপন বন্দিশালায় আটক, নির্যাতন, হত্যাকাণ্ডসহ নানান ধরনের এ আসামিরা সরাসরি জড়িত। তারা বাংলাদেশে এক ভয়াল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। অভিযুক্তরা বিভিন্ন গোপন বন্দিশালায় ভিন্নমতাবলম্বী রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক, ব্লগারকে আটক রেখে ভয়াবহ নির্যাতন করে। এ সমস্ত হাজারো অভিযোগের মধ্য থেকে যেগুলো এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে ফরমাল চার্জ দাখিল করা হয়েছে।
কী বলছে সেনা সদর
এদিকে গত ১১ অক্টোবর শনিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রেফতারি পরোয়ানার মাঝে কর্মরত ১৫ কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আর তাঁদের মধ্যে এলপিআরে থাকা মেজর জেনারেল কবীরের সন্ধান নেই। এছাড়া হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের পরিবার থেকে আলাদা করা হয়েছে। ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ সেনা হেফাজতে আসেননি। তাঁর পরিবারের ভাষ্যমতে, তিনি ৯ অক্টোবর সকালে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করতে বাসা থেকে বের হন। এরপর আর ফিরে আসেননি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অনুপস্থিত বা ‘ইলিগ্যাল এবসেন্ট’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁকে খুঁজে বের করতে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তিনি যেন অবৈধভাবে দেশত্যাগ করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য ডিজিএফআই, এনএসআই এবং বিজিবিসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী দ্ব্যর্থহীনভাবে বিচারের পক্ষে অবস্থান করে। সেনাবাহিনী ন্যায়বিচারের পক্ষে।’ ‘নো কম্প্রোমাইজ উইথ ইনসাফ’। আমরা বিশ্বাস করি, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। গুমের শিকার পরিবারগুলোর প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে। প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ও সেনা আইন মুখোমুখি নয়।
ক্যান্টমেন্টের বাড়িকে সাবজেল (অস্থায়ী কারাগার) ঘোষণা
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর সেনা সদরে ‘এম ই এস বিল্ডিং নম্বর-৫৪’কে সাময়িক কারাগার ঘোষণার জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়। সেই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে ওই ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা করা হয়। জানা গেছে, অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজিরার পর পরবর্তীতে মামলা চলাকালীন আদালতে আনা নেয়ার সুবিধার্থে এ সাবজেলে রাখা হবে বলে জানা গেছে।
আসামিদের ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ
গত বুধবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল আসামিদের গ্রেফতার করে আগামী ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
কী বলছে প্রসিকিউশন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ট্রাইব্যুনালে আসামি হাজির করা হলে আদালত তাকে জেলখানায় পাঠানোর নির্দেশ দেবেন। কারাগার নির্ধারণ ট্রাইব্যুনালের কাজ নয়। জেল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবে আসামিরা কোন কারাগারে যাবে।
তিনি বলেন, যেকোনো আসামিকে অবশ্যই আদালতে আনতে হবে। এ আদালতেই তাঁদের বিচারের স্থান। যখন আদালত থেকে কোনো গ্রেপ্তারি বা অন্য কোনো পরোয়ানা জারি হবে, তখন একজন আসামিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতের সামনে উপস্থিত করতে হবে। এটা সংবিধান, ট্রাইব্যুনাল ও ফৌজদারি কার্যবিধিতেও রয়েছে।
সেনা আইন সংশোধনের দাবি এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন
সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্তদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছে এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন। গত ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে ‘গুজব নয়, দেশপ্রেমে ঐক্য : সেনাবাহিনী ও জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা প্রতিহত করণ প্রসঙ্গে’ শিরোনামে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক লেফটেন্যান্ট (অব.) সাইফুল্লাহ খান সাইফ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় রেখে ম্যানুয়াল অব ব্যাঞ্জিন মিলিটারি আইন (এমবিএমএল) সংশোধন করে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত। এভাবে যদি না করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে এ বিচারের স্থায়িত্ব বা টিকে থাকার সম্ভাবনা কম।’
আইসিটি আইন ও সংবিধানের মধ্যে কিছু ধারা পারস্পরিক সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আইসিটি অ্যাক্টের একটি ধারা আছে, যা সাংঘর্ষিক হলে আইসিটি অ্যাক্ট প্রাধান্য পাবে। ১০ থেকে ১৫ বছর পর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সংবিধানের আর্টিকেল ৩৫,৩৬, ৬৫, ৫২-এর ফাঁকফোকর থেকে পার পেতে পারেন।’ এজন্য তারা সংশোধনের মাধ্যমে সেনা আইনে বিচার চান।
সাইফুল্লাহ খান সাইফ আরও বলেন, ‘সেনা আইনে বিচার হলে, পরবর্তী সময়ে তাদের (অপরাধীরা) পার পাওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী কী ধরনের বিচার করছে, সেটি সারা বাংলাদেশের জনগণ লাইভ দেখবে। যেভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেখেছে।’ তবে ‘বিচার করতে গিয়ে কোনো ধরনের তাড়াহুড়া যেন না করা হয়, বিচার যেন সুষ্ঠুভাবে হয়’ বলে উল্লেখ করেন সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
সাবেক কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলছেন, সামরিক আইনেই যেকোনো ধরনের অপরাধের বিচারের সুযোগ রয়েছে এবং সে কারণেই তারা কেউ কেউ মনে করেন বিষয়টি যেভাবে জনসম্মুখে আনা হয়েছে তা সামরিক বাহিনী মর্যাদা ও সম্মানের সাথে যায়নি।
অপরদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ড. আব্দুর রব খান অবশ্য বলছেন, এ ঘটনায় বাহিনীকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবে না বরং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ সংক্রান্ত বিচারে সহযোগিতা করে সেনাবাহিনী প্রশংসা কুড়াবে। এটা পুরো বিচার প্রক্রিয়া অংশ। একে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই এবং এতে পুরো জাতি জড়িত। আমি মনে করি, যেভাবে এগোচ্ছে সেটি যথাযথ। এটাকে ম্যাটার অব ফ্যাক্টস হিসেবে নেয়াই উত্তম। এর সাথে পুরো প্রতিষ্ঠানকে টানা ঠিক হবে না
সিনিয়র আইনজীবী শাহ্দীন মালিক বলছেন, বিডিআর বিদ্রোহে সামরিক অফিসারদের হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে প্রচলিত বেসামরিক আদালতে। এটা নিয়ে তখন সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া হয়েছিলো। তারাও বলেছিল নরমাল আদালতেই বিচার হতে পারে। সুতরাং অতীতের উদাহরণ পর্যালোচনায় এটা বলা যায় যে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বেসামরিক আদালতে সেনা কর্মকর্তাদের বিচারে বাধা নেই।