যে কারণে ১২০ বছরেও বদলায়নি ব্লেডের আশ্চর্য নকশা
১ মে ২০২৫ ১৮:০২
আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর মধ্যে অতিপ্রয়োজনীয় একটি জিনিস ব্লেড। চুল কাটা, দাড়ি কামানো, নখ কাটা তো আছেই, এর বাইরেও গৃহস্থালির কত টুকিটাকি কাজে লাগে ব্লেড।
ভারতে ১৯০০ সালের পর আন্তর্জাতিক ব্লেড প্রস্তুতকারক কোম্পানি জিলেট বেশি করে পরিচিত হয়। টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনের কারণে। পরে অবশ্য বহু ভারতীয় কোম্পানিও এসে পড়ে বাজারে, তাদের চমকদার বিজ্ঞাপন নিয়ে। ফলে ব্লেডের মোড়ক বদলেছে। তবে গত ১২০ বছরেও বদলায়নি ব্লেডের চেহারা বা অদ্ভুত নকশা।
১৯০১ সালে ব্যবসা শুরু করে ব্লেড প্রস্তুতকারক কোম্পানি জিলেট। ১৯০৪ সালে তারা বাজারে আনে ‘কিং ক্যাম্প’ নামের একটি ব্লেড। কিং ক্যাম্প জিলেট আসলে কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা কর্ণধার। তার নামেই কোম্পানি, তার নামেই ব্র্যান্ড, যা দ্রুত জনপ্রিয় হয়।
মজার ব্যাপার হলো, পরবর্তী ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে পুরো বিশ্বের যত কোম্পানির ব্লেড বাজারে এসেছে, সবগুলোই ঐ একই নকশার। বিশেষত ব্লেডের মাঝের ফাঁকা অংশের নকশা এবং ব্লেডের মাপ কখনোই বদলায়নি। তার কারণ ছিল।
আসলে সেকালে রেজারের হাতলের সঙ্গে ব্লেডটিকে যুক্ত করার জন্য যে ফাঁকা অংশ রাখা হয়েছিল ব্লেডের মাঝখানে, তা পরবর্তীকালে অবধারিত হয়ে দাঁড়ায়। যেহেতু তা অত্যন্ত কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয় এবং দ্রুত জনপ্রিয়ও হয় জিলেটের ঐ নকশা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে শেভিং ব্লেড মানেই ঐ আকৃতি ও মাপকেই বোঝে গ্রাহক। পরবর্তীকালে সব সংস্থাই তাই ঐ নকশা মেনেই ব্লেড তৈরি করে।
সাম্প্রতিককালে শেভিং ব্লেডের সংজ্ঞা বদলে গেছে। ইলেকট্রিক শেভিং মেশিনও এসে গেছে বাজারে। তবু বিশ্বের একদল মানুষের পছন্দ পুরনো স্টেনলেশ স্টিলের শেভিং ব্লেড। একাধিক প্রজন্ম ধরে যার চেহারায় বদল আসেনি। দাড়ি কাটার জন্য হোক বা পেন্সিল কাটার জন্য, আজও পাড়ার মুদির দোকানে গেলে মেলে শতাধিক বছরের পুরনো নকশার সেই ব্লেড। ইন্টারনেট।