সংস্কার ও খুনিদের বিচার দৃশ্যমান করে ঘোষিত সময়ের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে : অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

গত ১৮ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ৮টায় লাকসাম পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে লাকসাম উপজেলা ও পৌরসভা জামায়াতের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

রেজাউল করিম রাসেল, কুমিল্লা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের লক্ষ্যে একটি জাতীয় নির্বাচনের জন্য আমাদের পদযাত্রা শুরু হয়েছে। তিনি একটি ডেটলাইন দিয়েছেন। তার ওপরেই আপনি ঠিক থাকেন। এর মধ্যেই সংস্কার করে, মানবতাবিরোধী, খুনিদের বিচার দৃশ্যমান করে আপনি নিরপেক্ষ নির্বাচন দেন, আমরা নির্বাচনে যেতে রাজি আছি। আমাদের নির্বাচন অবস্থান নিয়ে অনেকে ভুল বোঝার চেষ্টা করে। আমাদের আমীরে জামায়াত ইতোমধ্যে বলেছেন সরকার বলেছে ২৬-এর জুন অথবা ২৫-এর ডিসেম্বর। আপনি যে সময় বলেন নির্বাচন করেন কিন্তু প্রো ভায়োলেন্স, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪-এর মতো নির্বাচন হলে এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।
গত শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৮টায় লাকসাম পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে লাকসাম উপজেলা ও পৌরসভা জামায়াতের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াত আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
এ সময় তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ সতের বছর পর আমরা লাকসামে উন্মুক্ত পরিবেশে কর্মী সম্মেলন করতে পেরে মহান রবের দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। ১৬টি বছর বাংলাদেশ শেখ হাসিনা নামক একটি জগদ্দল পাথরের নিচে চাপা ছিল। একটা কালো যুগ পার করেছি। এ সম্মেলনের কেউ নেই যার বিরুদ্ধে মামলা নেই এবং জেল খাটেনি। সংবিধানের ৩৬-৩৯ ধারায় বলা আছে বাকস্বাধীনতার কথা। কিন্তু বিগত স্বৈরাচার সরকার মানুষের সেই অধিকার হরণ করেছিল। মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি।
২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪-এর নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ১৪ সালে তারা ষড়যন্ত্র করে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন করেছিল। কেউ নির্বাচনে যায়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল ইতিহাসের আরেক কালো অধ্যায়। যেখানে রাতেই ভোট দিয়ে দিয়েছে বিগত সরকার। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ লীগ সম্মিলিতভাবে এদেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। আর এসব নির্বাচনে হাসিনাকে সঙ্গ দিয়েছে জাতীয় পার্টি। আর তাই এরশাদ নাম্বার ওয়ান দালাল।
কুমিল্লা মহানগরী জামায়াত : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর আয়োজনে রুকন শিক্ষাশিবির গত ১৮ এপ্রিল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমিল্লা নগরীর ভার্চুয়াল ফান টাউনে অনুষ্ঠিত শিক্ষাশিবিরে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহনগরীর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মা’ছুম। মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় এতে দারসুল কুরআন পেশ করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক মাওলানা লিয়াকত আলী ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য মোহাম্মদ আবদুস সাত্তার, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর এডভোকেট শাহজাহান, উত্তর জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল মতিন, মহনগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর মোসলেহ উদ্দিন ও একেএম এমদাদুল হক মামুন, সহকারী সেক্রেটারি কামরুজ্জামান সোহেল, মোশাররফ হোসাইন, নাছির আহম্মদ মোল্লা প্রমুখ।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াত : বিকাল ৫টার দিকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার উপজেলা জামায়াত আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। উপজেলা জামায়াত আমীর এডভোকেট মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমীর মোহাম্মদ শাহজাহান। উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের পৌর আমীর মাওলানা মু. ইব্রাহিম, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি আবদুর রহিম, পৌর নায়েবে আমীর কাজী মো. এয়াছিন, সেক্রেটারি মোশারফ হোসেন ওপেল, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য জয়নাল আবেদীন পাটোয়ারী, সাইয়েদ রাশীদুল হাসান জাহাঙ্গীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।