সংস্কারের পরই নির্বাচন


২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:২৬

॥ গাজী মুহাম্মদ শওকত আলী ॥
পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ; ১৯৭১ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত ৫৪ বছর কেটে গেল। পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৫৪ সালের ৮ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত। এ নির্বাচনে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের সাথে প্রতিদ¦ন্দ্বিতা হয় নুরুল আমিনের নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগের। নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করে ও শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন। নির্বাচিত সংসদের ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলীকে ১৯৫৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সংসদে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ সেপ্টেম্বর শাহেদ আলী মারা যান। এহেন ঘটনা তো নির্বাচিতরাই ঘটিয়েছে। পরবর্তীতে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার প্রাদেশিক সরকারকে বিলুপ্ত করে গভর্নরের শাসন চালু করে।
১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিজয়ী দলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী ও শাসকদের পক্ষ থেকে কারচুপির অভিযোগ ওঠে। এ নির্বাচন কি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে যে বৈষম্য ছিল, তা কমাতে পেরেছে? বরং দুই পাকিস্তানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে, যুদ্ধ হয়েছে, বিভক্ত হয়েছে। পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হয়েছে। ৫৩ বছর পর ২০২৪-এর গণবিপ্লবে দুই সহ¯্রাধিক তাজাপ্রাণ আর ২৫ থেকে ৩০ সহ¯্রাধিক আহত, পঙ্গু, চক্ষুহারা, হাত, পা, নাক, কানহারা বিকলাঙ্গ মানুষের বিনিময়ে ভারতের সেবাদাস ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দল ভারতের দালালরা ভারতে পালিয়ে গেছে। ভারতের আধিপত্য থেকে আজ বাংলাদেশ মুক্ত। ছাত্র-জনতার এ বিপ্লব কোনো সংবিধান মেনে হয়নি। বিপ্লব অবশ্যই সংবিধানবিরোধী। যারা বিপ্লব মানে, তারা সংবিধান মানতে পারে না। এখানেই সংস্কার প্রয়োজন।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার (গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অস্থায়ী সরকার বা প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার নামেও পরিচিত) মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার গঠিত হয়। তাজউদ্দীন আহমদকে করা হয় প্রধানমন্ত্রী। ১৯৭০-এর নির্বাচন হলো পাকিস্তান সাধারণ পরিষদ আর সরকার গঠিত হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অস্থায়ী সরকার! এ সরকার কোন সংবিধানে ছিল?
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত সরকারই চলতে থাকল ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ নির্বাচন পর্যন্ত। প্রশ্ন হচ্ছেÑ পাকিস্তানের নির্বাচনের পর কেমন করে হয় বাংলাদেশে অস্থায়ী সরকার? তখন সংবিধান কোথায় ছিল? ১৯৭২ সালে সংবিধান রচিত হয়। প্রশ্ন জাগে এ সংবিধানের ভিত্তি কী? জনগণের সাথে এ সংবিধানের সম্পৃক্ততা কোথায়?
১৯৭৩-এর ৭ মার্চ প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের পর সরকারপ্রধান শেখ মুজিব দেশ শাসন করেন। নির্বাচিত মুজিব সরকারের আমলে দেশে চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ঘুষ, খুন আর লুটপাটের রাজত্ব বিরাজ করছিল। ১৯৭৪ সালে দেশের চরম দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। মানুষ ক্ষুধা নিবারণে ডাস্টবিনের খাবার কুকুরের সাথে ভাগাভাগি করে খেয়েছিল আর লজ্জা নিবারণে মাছ ধরার ছেঁড়া জাল দিয়ে লজ্জাস্থান ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা করতে দেখা গেছে। নির্বাচিত মুজিব সরকার কি দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে পেরেছিল? শেখ মুজিব তার বক্তব্যে বলেছিল, “মানুষ পায় সোনার খনি আর আমি পেয়েছি চোরের খনি।” তিনি রেডক্রস প্রধান গোলাম মোস্তফাকে উদ্দ্যেশ্য করে বলেছিলেন, “সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য আট কোটি কম্বল এসেছে, আমার কম্বল গেল কোথায়! আমি ভিক্ষা করে যা কিছু আনি, চোরের দল তা লুটে খায়।” তখন তো নির্বাচিত সরকারই ক্ষমতায় ছিল। কি লাভ হলো এমন নির্বাচন দিয়ে?
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সেনাঅভ্যুত্থানের পর খন্দকার মোশতাক আহমদ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পান। শেখ মুজিবের সেনাপ্রধান কে এম শফিউল্লাহকে চিফ অব স্টাফের পদ থেকে সরিয়ে ডেপুটি চিফ অব স্টাফ জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব প্রদান করেন। খন্দকার মোশতাক মাত্র ৮৩ দিন দেশ শাসন করেন। তিনি কি নির্বাচিত ছিলেন? খন্দকার মোশতাকের ৮৩ দিনের শাসনামলে মানুষের মধ্যে বিগত দিনে যে হাহাকার ছিল, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ছিল, তা হঠাৎ করে কোথাও অর্ধেক, কোথাও দুই-তৃতীয়াংশ বা এক-চতুর্থাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছিল। কারণ তখন নির্বাচিত মুজিব সরকারের লোকেরা দ্রব্যাদি মজুদ রাখতে ও উচ্চমূল্যে বিক্রি করতে সাহস পায়নি। নির্বাচিত মুজিব সরকারের লোকেরা তখন নিত্যপণ্য মজুদ করে অধিক মূল্যে বিক্রি করত বলে বাজারে হাহাকার ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ছিল বলে জনশ্রুতি আছে।
৩ নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফের পাল্টা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে খন্দকার মোশতাককে অপসারণ করে বিচারপতি এ এস এম সায়েমকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়াকে গৃহবন্দি করা হয়। চার দিনের ব্যবধানে ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে সিপাহি-জনতা পাল্টা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে খালেদ মোশারফকে প্রতিহত করে বন্দি জিয়াকে মুক্ত করা হয়। রাষ্ট্রপতি বিচারপতি এ এস এম সায়েমকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং তিন বাহিনীর প্রধান ও উপপ্রধানদের সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। তখন কি সংবিধান মানা হয়েছিল?
১৯৭৬ সালের ৩০ নভেম্বর জেনারেল জিয়া প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হন। পরের বছর ২১ এপ্রিল বিচারপতি সায়েম স্বাস্থ্যগত কারণে পদত্যাগ করেন এবং জেনারেল জিয়া রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হন। তখন জেনারেল জিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয় বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে। জেনারেল জিয়া ১৯৭৭ সালের ৩০ মে গণভোট করেন। তাতে কোনো প্রার্থী ছিল না। জানতে চাওয়া হয়Ñ জিয়ার ওপর আস্থা আছে কি না। এতে ভোটারদের ৯৮.৮৮ ভাগ মানুষ আস্থার পক্ষে ভোট দেন। গণভোটের এক মাস আগে জেনারেল জিয়া ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এগুলো কি সংবিধান মেনে হয়েছে?
১৯৭৮ সালের ৩ জুন দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পূর্বে ভাইস প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আদুস সাত্তার জাতীয়তাবাদী গণতাত্রিক দল (জাগদল) গঠন করেন। জেনারেল জিয়া ছিলেন জাগদলসহ আরো ৫টি দল মিলে জাতীয়দাবাদী ফ্রন্টের প্রার্থী; অপরদিকে আওয়ামী লীগসহ আরো ৫টি দল মিলে গণতাত্রিক ঐক্যজোট, যার প্রধান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি কর্নেল (অব.) এম এ জি ওসমানী। নির্বাচনে জিয়া পান ৭৬.৬৩% ভোট আর ওসমানী পান ২১.৭% ভোট।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ফ্রন্টভুক্ত দলগুলো মিলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠন করা হয়। ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২য় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মোট ৩১টি দল অংশগ্রহণ করে। বিএনপি একাই ২০৭টি আসন ও ৪৪% ভোট পায়। আওয়ামী লীগ ৩৯টি আসন ও ২৫% ভোট পায়। ১৯৭৯ সালের ২ এপ্রিল নবনির্বাচিত সংসদের কার্যক্রম শুরু হয়। ৬ এপ্রিল চার বছর পর দেশ সামরিক শাসন থেকে মুক্তি পায়। এ চার বছর কেউ তো সংবিধানের কথা বলেনি! সামরিক শাসনের এ চার বছর দেশের মানুষ ১৯৯১ থেকে ২০২৪ সালের নির্বাচিত সরকারের আমল থেকে অনেক স্বস্তিতে ছিল।
এসব বিবেচনায় নির্বাচিত সরকারের চাইতে অনির্বাচিত সরকার যে অনেক খারাপ, তা বলা যায় না। জেনারেল জিয়ার আমল বাদ দিলেও বিএনপি দুই-দুই বার নির্বাচিত হয়েও সংবিধানসহ মানুষের মৌলিক অধিকারের ব্যাপারে কোনো ভূমিকা বা সংস্কারের চিন্তা করেনি। আওয়ামী লীগের ব্যাপারে কিছু বলার প্রয়োজন নেই, যা সর্বজনবিদিত। বাংলাদেশের শুরুতেই আওয়ামী লীগ ভারতের দালালি করে আসছিল। ১৯৬৫ সালে আগরতলায় শেখ মুজিবের সাথে একটি চুক্তি হয়েছিল। যে চুক্তির কারণে শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হয়েছিল। যদিও তারা তখন বলেছিল, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা এটি মিথ্যা! অথচ ১৯৯৬-২০০১ সালের জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত স্পিকারের চেয়ারে বসে স্বীকার করেছিল যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সঠিক ছিল। আমিও সে মামলার আসামি ছিলাম।’
৭২-এর সংবিধানের সাথে এ দেশের জনগণের ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে সম্পৃক্ত নয়। ৭২-এর সংবিধানের চার মৌলিক ভিত্তির ব্যাপারে কখনোই জনগণের ম্যান্ডেট নেয়া হয়নি। ৭১-৭২ থেকে ভারতের প্রতি আনুগত্য বা ভারতের কর্তৃত্বের অবসান ঘটিয়ে ২৪-এর জুলাই-আগস্ট বিপ্লবোত্তর যে সকল সংস্কার প্রয়োজন তার মধ্যে সংবিধান মুখ্য।
দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে অধিকাংশ মানুষের কৃষ্টি-কালচার, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও ধর্মীয় অনুভূতির সাথে মিল রেখে সংবিধান সংস্কার ও সংশোধন করতে হবে। মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন ব্যাপক সংস্কার, যেমন শিক্ষার সংস্কার, আইনের সংস্কার, চিকিৎসার সংস্কার, নৈতিকতার মূল্যায়ন, নৈতিক শিক্ষার প্রচলন। রাজনীতি থেকে মেধাহীনদের অপসারণ, মেধাবীদের পুনর্বাসন। সমাজ থেকে অশিক্ষা, কুশিক্ষা ও মূর্খতার অবসান। একমাত্র ধর্মীয় শিক্ষাই মানুষকে সৎ, চরিত্রবান ও সহনশীল করে তোলে। ধর্মীয় শিক্ষা ব্যতীত নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।
শিক্ষার মূল উৎস হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল কুরআন। আমাদের দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান। মুসলমানদের ধর্মীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতি বাদ দিয়ে সংবিধান সংশোধন বা সংস্কারÑ এটা হবে বৈষম্যমূলক। তাই শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত আল কুরআনকে পাঠ্যসূচিতে আনতে হবে। কারণ যারা কুরআনের জ্ঞান রাখে না, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাদেরকে মূর্খ বলেছে। (বাকারা : ৭৮)। যারা কুরআন জানবে না, তাদের জীবন হবে সংকুচিত, আর কিয়ামতের দিন তারা অন্ধভাবে (হাসরের মাঠে) উঠবে। (ত্বা-হা : ১২৪)। জাহান্নাম থেকে বাঁচতে হলে সকল মুসলমান নর-নারীকে অবশ্যই কুরআন জানতে ও মানতে হবে। অন্য ধর্মের লোকেরাও বাধ্যতামূলকভাবে তাদের ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কারণ সকল ধর্মই মানুষকে নৈতিকতার শিক্ষা দেয়।
দেশ শাসনের হাতিয়ার হচ্ছে সংবিধান। এ সংবিধান অবশ্যই সংস্কার করতে হবে। সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতস্ত্র বাদ দিতে হবে। ধর্মনিরপেক্ষতা ভারতের চাপিয়ে দেয়া একটি উপাদান। অধিকাংশ মানুষের ধর্মীয় কৃষ্টি-কালচারকে প্রাধান্য দিয়ে সংবিধান রচনা করতে হবে। কুরআন-সুন্নাহর আলোকে আইন ও বিচারব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে। বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞানসম্পন্ন লোকদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। মুসলমানদের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সংবিধান দিয়েই দিয়েছেন, আর তা হলো, মহাগ্রন্থ ‘আল কুরআন’। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ঘোষণা করেছেন, ‘জেনে রেখ, সৃষ্টি যার আদেশ চলবে তাঁরই, যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক’ (৭/৫৪)। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরো ঘোষণা করেছে, ‘আকাশম-লী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব কেবল মাত্রই আল্লাহর, আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে পরিপূর্ণ ক্ষমতা রাখেন। (সূরা আলে ইমরান : ১৮৯)।
সংবিধানের সংস্কার এমনভাবে করতে হবে, যাতে কোনো অসৎ ও মেধাহীন ব্যক্তি কোনো অবস্থাতেই কোথাও জনপ্রতিনিধি হতে না পারে। ইউপি নির্বাচনে মেম্বার কমপক্ষে এইচএসসি পাস আর চেয়ারম্যান ¯œাতক পাস হতে হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তথা এমপি হতে হলে দেশপ্রেমিক, সৎ, যোগ্য, মেধাবী ও কমপক্ষে ¯œাতক পাস হতে হবে। রাজনীতি থেকে উপার্জনের পথ বন্ধ করতে হবে। রাজনীতি হতে হবে জনকল্যাণের জন্য, উপার্জনের জন্য নয়। মেধাবীদের মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। মেধা পাচার বন্ধ করতে হবে। পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার চাইতে পাচার হওয়া মেধাবীদের দেশে ফিরিয়ে আনাকে গুরুত্ব দিতে হবে। দেশপ্রেমিক, সৎ, ন্যায়-নীতিবান মেধাবীদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ও পুনর্বাসন করতে হবে। এ সকল সংস্কারের পর নির্বাচন দিলে দেশ হুমকির মুখে পড়বে না বলে আশা করা যায়।