স্বাধীনতার এত বছরে এসেও ধর্ষকদের বিচার চাইতে হয়-শিবির সেক্রেটারি
১৩ মার্চ ২০২৫ ১৫:৫৯
স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এসেও ধর্ষকদের বিচার চাইতে সমাবেশ করতে হয়Ñ মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় এমন আক্ষেপ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, মেয়েটি বাইরের লোক নয়, ঘরের লোক দ্বারাই ধর্ষিত হয়েছে। তাকে নিরাপদ ঘর দিতে সমাজই ব্যর্থ হয়েছে। গত ৯ মার্চ রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে’ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতার এত বছরে এসেও ধর্ষকদের বিচার চাইতে হয়, আক্ষেপ শিবির সেক্রেটারির। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ প্রমুখ।
নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ২৬ হাজারের বেশি ধর্ষণের মামলা রেকর্ড হয়েছে। আর ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আমরা অধিকাংশ ধর্ষণের কোনো বিচার পাইনি। নারী ও শিশু নির্যাতনের যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, তাতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ থেকে ৩২ হাজার মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘসূত্রতার কারণে মাত্র পাঁচ শতাংশ মামলার বিচারকাজ হতে দেখা গেছে। বিচারহীনতার কারণে বহু ধর্ষক সমাজেই বসবাস করছে এবং আরও ধর্ষণের ঘটনা ঘটাচ্ছে।
সাদ্দাম বলেন, আজ নারীরা মিছিল করে বলছে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত মৃত্যুদণ্ড। অথচ ১৫০০ বছর আগে ইসলাম তা বলে গেছে, ধর্ষকদের পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করার জন্য। কিন্তু এখন ধর্ষণের একটা মামলা করা হলে ৭-৮ বছরেও তার কোনো বিচার হয় না। এ বিচারব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
শিবিরের এ সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ইদানীং আরেকটি বিষয় লক্ষ করা যাচ্ছে। কোনো ঘটনা ঘটলে একটি দল বলছে, দেশে নির্বাচিত সরকার নেই বলে এমন ঘটনা ঘটছে। তাদের বলতে চাই, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আপনাদের মাইনাস করা হবে। জনগণ আপনাদের সমর্থন দেবে না, তাদের পালস বোঝার চেষ্টা করুন। আমরা আর কোনো গুম, খুন ও ধর্ষণের রাজনীতি দেখতে চাই না। তিনি আরও বলেন, কেবল বিচারব্যবস্থা পরিবর্তনই নয়, দেশে চলা অপসংস্কৃতিও বন্ধ করতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থাকে পুরোপুরি ঢেলে সাজাতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।